ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও সংবাদিকদের সম্মানে নিউইয়র্ক প্রেসক্লাবের নৌ-ভ্রমণ

২০১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৫:২৭:৪৯
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও সংবাদিকদের সম্মানে নিউইয়র্ক প্রেসক্লাবের নৌ-ভ্রমণ

প্রবাস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও সাংবাদিকদের সম্মানে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো ভিন্নধর্মী একটি ‘নৌ-ভ্রমণ।’ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত এ ‘নৌ-ভ্রমণ’-এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চলমান উন্নয়ন-কার্যক্রমের ওপর চমৎকার একটি সেমিনার পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার (নিউইয়র্ক সময়) সকাল থেকে অপরাহ্ন পর্যন্ত ক্লাবের সদস্যরা সপরিবারে এবং প্রবাসের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিত্বকারিরাও সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। জাতিসংঘের চলতি ৭২তম অধিবেশনের সংবাদ কভার করতে বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকরাও ছিলেন এ আয়োজনে।

উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় চলে গেছেন। সেখানে তিনি তার পুত্র, পুত্রবধূ এবং নাতনীদের সাথে পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন।

চমৎকার আবহাওয়ায় ইস্ট রিভারের এ নৌ-ভ্রমণে সকলকে স্বাগত জানান ক্লাবের সেক্রেটারি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতা শহিদুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রিজু। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো জাহাজের প্রথম, দ্বিতীয় এবং ওপরের খোলা জায়গা কলকাকলিতে মুখরিত হয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে আগ্রহী ৩ শতাধিক প্রবাসীর এ সমাগমে বাঙালি সংস্কৃতির পূর্ণ জাগরণ উজ্জীবিত হয়।
একদিকে চারপাশের মনোরম দৃশ্য অবলোকন, আরেকদিকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ‘টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার।

সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট, ঠিকানার সম্পাদক এবং মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। স্যাটেলাইট টেলিভিশন একাত্তরের এ্যাঙ্কর নাজনীন মুন্নির সাবলিল উপস্থাপনায় সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ‘এআই’ প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনিস চৌধুরী।

স্লাইড-শো’র মাধ্যমে আনির চৌধুরী সকলকে অবহিত করেন যে, সময়ের পরিক্রমায় এবং বাংলাদেশকে চলমান বিশ্বের সাথে সমানতালে এগিয়ে চলার স্বার্থে সারাদেশে ৫২৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৫৪টি রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। অর্থাৎ তৃণমূলের মানুষের কাছে সরকারের সবধরনের সার্ভিস পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে এসব সেন্টার অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের অবলম্বনেও পরিণত হয়েছে ডিজিটাল সেন্টারগুলো। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আনির চৌধুরী ক্যাটাগরিকেলী উল্লেখ করেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও ৩২৫টি পৌরসভা এবং ৪০৭ সিটি কর্পোরেশনের অধীনেও কাজ করছে ডিজিটাল সেন্টারগুলো। আর এসব পরিচালিত হচ্ছে পুরুষ আর মহিলার সমন্বয়ে। ১১২ রকমের সার্ভিস পাচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা। জন্মনিবন্ধনের কাজও চলছে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে।’ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ভ’মিকা আজ ঐতিহাসিকভাবে সত্যে পরিণত হয়েছে।

এসডিজি সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়কারি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যাপক প্রসার ঘটায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমস্যাগুলোও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা সহজ হচ্ছে। এরফলে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যার সমাধানও ত্বরিত হয়ে যাচ্ছে।। এভাবেই টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ কাজ করছে। চলমান কার্যক্রমে প্রবাসীদেরকেও সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রেসক্লাবের এমন আয়োজনে আমি অভিভূত। কারণ, বাংলাদেশ যে এগিয়ে চলছে তা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম।’

সেমিনারের অন্যতম প্যানেলিস্ট ছিলেন বাংলাদেশ পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র চেয়ারম্যান এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা উত্তরণ ঘটিয়ে এগিয়ে যাওয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে।’

কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের মূলশর্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে এই উন্নয়নের সাথে একিভূত করতে হবে।’ তিনি গল্পেরচলে বলেন, এক গ্রামে গিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। এক দরিদ্র কৃষকের বাড়িয়ে যাই। সেই কৃষককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ‘তোমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?’ জবাবে সে বলে, ‘আমার বাসা ছোট কিন্তু আশা ছোট নয়’।এই যে প্রত্যয় গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এটি আজ ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হয়েছে সর্বস্তরে।

পিকেএসএফ থেকে নেয়া ঋণের অর্থে একটি দোকান বসিয়েছেন এক ভিক্ষুক। তিনি বলেন, ‘স্যার আমার এ চেয়ারে বসুন। বসলাম। কিন্তু স্বাভাবিক কোন চেয়ার ছিল না। একটু উঁচু। আমি জানতে চাইলে পুনর্বাসিত সেই ভিক্ষুক বললেন, ‘স্যার, সারাজীবনের একটি স্বপ্ন ছিল চেয়ারে বসার। সেটি আপনি পূরণ করেছেন। সেজন্যে আপনাকে বসিয়ে আমি তার উদ্বোধন করলাম।’ কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, ‘এভাবেই গ্রাম-বাংলার মানুষেরা আশাবাদি হয়ে উঠেছেন। এই মনোভাবকে জাগিয়ে রেখেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে ধাবিত হতে হবে।

তথ্য-প্রযুক্তির উপকারিতা অপরিসীম। একইভাবে এর অপব্যবহার করাও হচ্ছে। সন্ত্রাসসহ নানাবিধ জঘন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তিকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন কাজী খলিকুজ্জমান।

বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এ কে এ মোমেন বলেন, ‘এমডিজি অর্জনের পথ ধরেই বাংলাদেশ এসডিজির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে এসডিজির যেসব ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, তার বাস্তবায়নে সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়নের সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটাতে যে অর্থের প্রয়োজন তা আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পাবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত দৃঢ়চেতা রাষ্ট্র নায়ক না হলে সে সব দেশে এসডিজি অর্জনের পথ সুগম হবে বলে মনে করি না।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ১৩ কোটিই এখন সেলফোন ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। ৩৪টি স্যাটেলাইট টিভি এবং ২৯টি রেডিও চলছে। অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ’ চিন্তা-চেতনার পরিপূরক হিসেবে অবিস্মরণীয় উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে বাংলাদেশ।’

ড. শাহজাহান বলেন, ‘৭ মাস আগে সকল টেলিফোনের জন্যে ভয়েস মেইল’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ গ্রাহক মেলেনি। প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি স্বজনদের গ্রাহক হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে। তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।’ আসছে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রæয়ারির শুরুতে ফ্লোরিডায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কেন্দ্র উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। তারপর বৈপ্লবিক উন্নয়নসাধিত হবে তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরে। এভাবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধ্যান-ধারণা অপরিসীম ভূমিকা রাখছে।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারমান নিজাম চৌধুরী বলেন, ‘গত ৮/৯ বছরে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষনীয়। বিশেষ করে কানেকটিভিটিতে অপ্রত্যাশিত অর্জন উন্নয়নশীল বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। একইভাবে এসডিজির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন সূচকের উর্দ্ধগতি অনেকেরই সপ্রশংস দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে।’ নিজাম চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তার পিতৃভূমি নাইজেরিয়া ভিজিট করতে গেলে সেখানকার জনগণ তাদের দেশের উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব তা জানতে চেয়েছিলেন। ওবামা সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখার পরামর্শ দেন।’ ‘বাংলাদেশ ইজ দ্য নেক্সট ইলেভেন টু ওয়াচ’ উল্লেখ করেন নিজাম চৌধুরী।

রাটগার্স ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মাহমুদ হাসান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে সাফল্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে দেশব্যাপী যে জাগরন সৃষ্টি হয়েছে তা অটুট রাখতে হবে।’
উত্তর আমেরিকায় উদ্যমী প্রবাসীদের মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরির উপযোগী যাবতীয় কোর্স প্রদানে খ্যাতি অর্জনকারি ‘পিপল এন টেক’র সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ সেমিনারের বিষয়বস্তুর আলোকে বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কিংবা সমাপ্তির পরই বন্যায় ভেসে যাচ্ছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত। এচিত্র প্রায় প্রতি বছরের। তাই টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় রাখা জরুরী।’

ইঞ্জিনিয়ার হানিফ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘প্রবাসের অভিজ্ঞতায় ভারতীয় নিজ দেশে ফিরে গিয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশেও যেতে চাই অনেকে, কাজ করার আগ্রহসহ বিনিয়োগের ইচ্ছাও রয়েছে। প্রবাসীদের ঐকান্তিক এ আগ্রহকে কাজে লাগাতে সরকারের পক্ষ থেকে উদারতা অবলম্বন করতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ÿেত্রে আরো বেশী কাজ করা দরকার। পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে স্বচ্ছতার প্রশ্নে।’ নিজ জন্মস্থান স›দ্বীপের প্রসঙ্গ উলেøখ করে এই সমাজকর্মী কাদের মিয়া বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও স›দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতে অনেক সময় লাগতো, জীবনের ঝুঁকিতো ছিলই। এখন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে স›দ্বীপে গিয়ে সারাদিন কাজ-কর্ম শেষে সন্ধ্যায় ৭টায় ফেরা যাচ্ছে চট্টগ্রামে। স›দ্বীপের সকল রাস্তা পাকা হয়েছে। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ছোঁয়ায়।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ‘এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে বেসরকারী খাতকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরাও সরকারের এ উদারতার সুযোগ নিয়ে দেশ গড়ার চলমান অভিযাত্রায় একাত্ম হতে পেরেছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি এবং এফবিসিসিআইর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। তারা প্রেসক্লাবের এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের একাত্ম করতে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।’

সমগ্র অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় সহায়তা করেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলী, নির্বাচন কমিশনার এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ, প্রধান সমন্বয়কারি মিজানুর রহমান, ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রিজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য নিহার সিদ্দিকী, কানু দত্ত এবং আজিমউদ্দিন অভি।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনুসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সভাপতি এডভোকেট মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মনমাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাথবর, পিপল এন টেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিফ, বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক লীগের প্রেসিডেন্ট খোরশেদ খন্দকার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কক্সবাজার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা নুরুল আজিম, নির্মাণ ব্যবসায়ী ও কম্যুনিটি লিডার নজরুল ইসলাম বাবুল, মোবস্বির হোসেন, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কম্যুনিটি লিডার আব্দুল কাদির চৌধুরী শাহীন এবং মিনহাজ সাম্মু, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, প্রেসক্লাকের নির্বাচন কমিশনার আকবর হায়দার কিরন, শিল্পকলা একাডেমির মণিকা রায়, কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল বাশার চুন্নু, এপেক্স ক্লাব অব নিউইয়র্কের মোহাম্মদ জাহাঙ্গির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাখাওয়াত বিশ্বাস, জামালপুর জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ শফিক গেন্দা, কক্সবাজার এসোসিয়েশনের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক সভাপতি আল জুবায়ের মানিক প্রমুখ। ভ্রমণের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল প্রবাসের প্রিয়শিল্পী শাহ মাহবুব, প্রমিতা খান প্রমি এবং রায়ানের জনপ্রিয় কিছু গান।

(এএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭)