ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত

তরুণদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে

২০১৭ অক্টোবর ১০ ১৮:০২:৫৫
তরুণদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার : সামাজিক সচেতনতার অভাবে তরুণদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য সর্বস্তরে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আর মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন আইন প্রণয়ন।

মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ও তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর লালমাটিয়ায় সিডিএসবি মিলনায়তনে সামাজিক সংগঠন স্বপ্নপুরী কল্যাণ সংস্থা এই আলোচনার আয়োজন করে।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে আয়োজক স্বপ্নপুরী কল্যাণ সংস্থার প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ হাসান বলেন, পারিবারিক কলহ, হত্যা, আত্মহত্যা, বিষণ্নতাসহ সব সামাজিক অপকর্মের কারণ হলো মানসিক অসুস্থতা। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণ প্রজন্মকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কোর্স চালু করতে হবে। সুস্থ জাতি গঠনে অবিলম্বে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন এবং দ্রুত এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

আলোচনায় মিডিয়া মিক্স কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান আশরাফী রিক্তা বলেন, কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন নির্ভরশীল। তাই কর্পোরেটদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা মানসিক দিক থেকে সন্তুষ্ট থাকে।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারের সহজলভ্যতা এবং এই ব্যবহারের গতিবিধি নির্ধারণের যথাযথ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যেকেউ ইন্টারনেটের বিশাল জগতে যেখানে ইচ্ছে সেখানে বিচরণ করতে পারে। যে বয়সে মানসিক বিকাশ ঘটে সেই বয়সে তাদের অনেকেই যেমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিত্যনতুন বিষয় জানতে ও শিখতে পারছে, একইভাবে হয়ত ভুলবশত কিংবা কৌতূহলবশত নিজের অজান্তেই পরিচিত হয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতের সঙ্গে, যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে বাড়ছে বিকৃত মানসিকতা। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য দেন থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক জিনিয়া ফেরদৌস রুনা, ইয়াং জার্নালিস্ট ফোরামের অফিস সম্পাদক মানজুর হোছাইন, দ্যা একটিভ সার্ভিসেসের সিইও মুহাম্মদ তুহিন ভূঁইয়া, ফিউচার ফোর্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ নাঈম, ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের যোগাযোগ সম্পাদক সাঈদা আফরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০১৭)