ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিরাজগঞ্জবাসী

২০১৭ অক্টোবর ২২ ১৮:২৮:৪২
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিরাজগঞ্জবাসী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : অসহনীয় লোডশেডিং চলছে সিরাজগঞ্জের সর্বত্র। জেলা শহর ও তার আশ পাশের উপজেলা মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। মূল শহরে ৫০ হাজার বাসিন্দা। কিন্তু চাহিদানুপাতে বিদ্যুৎতের অপ্রতুলা রয়েছে চরম। চরম অব্যবস্থাপনা আর চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণেই এই সংকটের কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে ২ ঘন্টা হচ্ছে লোডশেডিং। লোডশের্ডি নিয়ন্ত্রনে রেশনিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ বন্টনের ব্যবস্থা থাকলেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে । স্থানীয়রা দায়ী করেছেন জেলার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোং (নেসকো) বা সাবেক পিডিবির আবাসিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের ২১ টি বিদ্যুৎ সঞ্চালন অঞ্চল বা ফিডারের মধ্যে গোশালা ফজলুল হক রোডে শহরের মিরপুর ফিডারটি সবচেয়ে বেশী অবহেলিত। শহরের অন্য এলাকায় যেখানে সরকারী অফিস আদালত এভং রাজনৈতিক নেতাদের বসবাস সেসব স্থানে বিদ্যুতের ফিডার নামেমাত্র লোডশেডিং দেয়া হয়। আবার ফোন করলেই সেখান থেকে লোডশেডিং তুলে অন্য ফিডারের ওপর চাপ বাড়ানো হয়।
এ অবস্থা শুধু সিরাজগঞ্জ শহরে না। উপজেলা গুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসায় এখানকার পোল্ট্রি খামারীরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো পণ্যের উৎপাদন করতে পারছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস থেকে এভাবেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রায় লক্ষ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়ছে। লেখা-পড়া করতে না পারায় বিপাকে পড়ছে অভিভাবকরাও। কর্তৃপক্ষ বলছে জাতীয়ভাবে বিভাজন করে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের জন্য ২৮ শতাংশ এবং পল্লী বিদ্যুতের জন্য ৭২ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

জাতীয়ভাবে চাপ থাকার কারণেই গ্রামঞ্চল ও শহরে এমন অবস্থা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান স্থাণীয় পিডিবির এক নির্বাহী কর্মকর্তা।

(এমএসএম/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০১৭)