ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত

শীতে ঘরোয়া উপায়ে বিদায় জানান সর্দি-কাশিকে!

২০১৭ নভেম্বর ০৯ ১৬:২৪:১৫
শীতে ঘরোয়া উপায়ে বিদায় জানান সর্দি-কাশিকে!

স্বাস্থ্য ডেস্ক : এলো এলো বলে শীত প্রায় চলেই এলো। এই সময় ঠাণ্ডা লাগা, সর্দিকাশি, গলা ব্যাথা সহ আরও কত কি যে পিছু নয়, তা বলার কথা নয়! এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার উপায়? রাস্তা আছে বন্ধুরা। এমন কিছু ঘরোয়া উপাদান আছে যা দিয়ে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দিকাশি, গলা ব্যাথার মতো সমস্যাকে সহজেই দূর রাখা সম্ভব। সেই সব উপাদানেরই হদিশ দিতে চলেছে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

আদা চা

আদা চা খেতে কেমন লাগে আপনার? বেশ ভাল নিশ্চয়। জানেন কি, এই সুস্বাদু আদা চা সর্দি, কাশিতে দারুণ কাজ করে। এই বিশেষ ধরনের চাটি নিয়মিত পান করলে নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়, সেই সঙ্গে শ্বাসকার্যে বাধা হয়ে ওঠা কফ বুক থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। তাই তো দ্রুত সর্দি এবং কাশি সারাতে আদা চা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

দারচিনি, লেবু এবং মধু

সর্দি কাশিতে একদম কাবু হয়ে গেছেন? কিছুতেই সারাতে পারছেন না? তাহলে ম্যাজিক তো একটা করতেই হবে। তো সেই ম্যাজিকের হদিশ পাবেন আপনার রান্নাঘরেই। দারচিনি, মধু আর লেবু। ব্যস, এতেই সর্দি-কাশি আপনাকে ছেড়ে একদৌড়ে নিরুদ্দেশ। এই তিনটি উপাদান মিশিয়ে আপনাকে একটি সিরাপ বানাতে হবে। শুধু নিয়মিত পান করতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে!

হালকা গরম জল

হালকা গরম জল সর্দি, কাশি এবং গলা বসে যাওয়ার মতো সমস্যায় দারুণ কাজ করে। এটি ঠাণ্ডা লেগে গলা ফুলে যাওয়া এবং যে কোনও সংক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে।

হলুদ এবং দুধ

শরীরে কোথাও আঘাত লাগলে অনেকেই দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করেন। এছাড়াও আরও একটি গুণ রয়েছে এই পানীয়ের। তা হল এটি সর্দি-কাশি সারাতে দারুণ কাজ করে। তাই তো এই সময় সুস্থ থাকতে শুতে যাওয়ার আগে হলুদ মেশানো দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নুন মেশানো জলে গারগেল করা

সর্দিকাশি,গলা ব্যাথার মতো সমস্যায় দারুণ কাজ করে নুন মেশানো জল। এই জল দিয়ে গারগেল করলে সর্দি, কাশি দ্রুত সেরে যায়। এছাড়াও, এই জলের মধ্যে এক চিমটে হলুদ দিয়ে দিলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

ব্র্যান্ডির সঙ্গে মধু

ব্র্যান্ডি শরীর গরম রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও, সহজে বুকে ঠাণ্ডা বসে যেতে দেয় না। আর এর মধ্যে যদি মধু মেশানো যায়, তাহলে তো কথাই নেই। তাই সর্দি, কাশির সমস্যায় ব্র্যান্ডি এবং মধু খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়।

মশলা চা

তুলসি, আদা, গোলমরিচ মিশিয়ে চা পান করলে শরীরের খুবই উপকার হয়। এই চা সর্দি, কাশি কাবু করতে দারুণভাবে কাজ করে।

মধু, লেবুর রস এবং গরম জল

গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই পেটের যে কোনও সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়। এছাড়াও, এই পানীয়টি সর্দিকাশি দূর করতেও দারুণ সিদ্ধহস্ত।

আমলকী

আমলকী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন একটা করে আমলকী খেলে লিভার সহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ উপকৃত হয়। একইসঙ্গে সারিয়ে তোলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা।

আদা- তুলসি

আদার রসের সঙ্গে তুলসি পাতা বাঁটা এবং মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। এছাড়াও, সর্দি সারাতেও এটি দারুণভাবে কাজ করে।

ফ্ল্যাক্সসিড

ফ্ল্যাক্সসিড প্রায় সবরকম শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় দারুণভাবে কাজ করে। একইসঙ্গে কাজ করে সর্দিকাশির সমস্যাতেও। এক্ষেত্রে প্রথমে ফ্ল্যাক্সসিড সেদ্ধ করে নিতে হয়। তারপর ফ্ল্যাক্সসিড নরম হয়ে এলে, সেদ্ধ করা জল ছেঁকে নিয়ে সেই জলের মধ্যে কয়েকফোঁটা লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করলে সর্দিকাশির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আদা এবং নুন

কয়েক টুকরো আদা কেটে তার মধ্যে নুন মেশাতে হবে। এবার এই আদার টুকরো মুখে নিয়ে একটু একটু করে কামড়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে খেতে হবে। এতে সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যাথা কমে যাবে।

রসুন

কয়েক কোয়া রসুন ঘিয়ের মধ্যে অল্প ভেজে গরম অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই ঘরোয়া টোটকাটি সর্দি, কাশির সমস্যা কমাতে দারুণভাবে উপকার করে।

গুঁড়

জলের মধ্যে গোলমরিচ, জিরা এবং গুঁড় মেশান। এরপর এই মিশ্রণ গরম অবস্থায় পান করলে বুকে কফ বসে থাকতে পারে না।

গাজরের রস

গাজরের রস সর্দিকাশিতে দারুণ কাজ করে। খুব আশ্চর্যের হলেও এটি খুবই সত্যি। আসলে এই সবজির শরীরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান এবং ভিটামিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)