প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
চাটমোহরে স্কুল ও ক্যাডেট কোচিংয়ের রমরমা বাণিজ্য
২০১৭ নভেম্বর ২৪ ১৬:৩৯:৪০চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে শুরু হয়েছে প্রাইভেট স্কুল ও ক্যাডেট কোচিংয়ের রমরমা বানিজ্য।
শিক্ষাবর্ষকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রতিযোগিতা। খোলা হয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলও। ঢাউস সাইজের বিশাল বিশাল বিলবোর্ড আর অসংখ্য প্রচার বোর্ডে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের খোঁজে ছুটছেন এসকল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ (!) ও শিক্ষকরা। চাটমোহর পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন সদরে স্কুল ও কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষা বানিজ্য শুরু করা হয়েছে।
বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা এরসাথে সরাসরি জড়িত। অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন প্রকার তদারকি বা নজরদারী নেই। যে ইচ্ছে, সেই খুলে বসছেন এসকল স্কুল-কলেজ আর কোচিং সেন্টার। দেখা যায়,বাহারী রংঙের আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন ও লিফলেট দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে। চমকপদ লিফলেট, হ্যান্ডবিল বিতরণ করে নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের নেই কোন সরকারি অনুমোদন।
চাটমোহর পৌর শহরে বেশ কয়েকটি স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যাডেট একাডেমী বা কোচিং সেন্টার রয়েছে। ভাড়া বাসা বা বাড়িতে এ সকল স্কুল এন্ড কলেজ ও কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে নেই খেলার মাঠ, চিত্রবিনোদনের স্থান বা খোলামেলা পরিবেশ। আন্তঃ ও বহির বিভাগের শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই। যার কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও জাতীয় সংগীত কোনটিই পরিবেশিত হয় না।
আবার কোনো কোনো কোচিং সেন্টারের সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত’। সরকারি পাঠ্য বই দিয়ে তারা স্কুল চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি শিক্ষার্থীর মাসিক ফি ইচ্ছামতো ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। শিক্ষা বছরের শুরুতেই সরকার স্বীকৃত মাধ্যমিক স্কুল বই না পেলেও এসকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সরকারি বিনামূল্যের বই চলে যায়। শিক্ষা বোর্ড স্বীকৃত পরীক্ষা জেএসসি ও এসএসসি’র ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে কোচিং সেন্টারগুলো এ-প্লাস, গোল্ডন এ-প্লাস এর ছবি সম্বলিত পরিসংখানসহ বিল বোর্ড রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাঁটিয়ে দেয়।
অথচ এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয় অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে। বোর্ড স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের প্রকাশিত ফলাফলকে নিজেদের কোচিং সেন্টারের ফলাফল বলে দাবি করা হয়।
জানা গেছে, এসকল শিক্ষার্থী উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে ভর্তিকৃত ছাত্র। ঐ সকল স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না করে কোচিং সেন্টারগুলোতে তারা ক্লাস করে আসছে।
মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোন শিক্ষার্থীকে গড়ে শতকরা ৭৫ ভাগ উপস্থিতি না থাকলে বোর্ডের জেএসসি, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ নেই।
(এসএইচএম/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০১৭)