ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » শিক্ষা » বিস্তারিত

কলাপাড়ায় এক বছরে ঝরে পড়লো এক হাজার ৫৬৮ শিক্ষার্থী

২০১৭ নভেম্বর ২৯ ১৭:৩৩:৩১
কলাপাড়ায় এক বছরে ঝরে পড়লো এক হাজার ৫৬৮ শিক্ষার্থী

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২০১৭ সালে পঞ্চম শ্রেণী পার করতে ঝরে গেল এক হাজার পাঁচ শ’ ৬৮ শিশু। প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার্থীদের তথ্যনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে এ ঝরে পড়ার তথ্য।

কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯টি কিন্ডার গার্টেনসহ মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০৪টি। গত জানুয়ারি মাসের ভর্তি রেজিস্টার অনুসারে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয় পাঁচ হাজার নয় শ’ ৬০ শিশু। এছাড়া স্বতন্ত্র এবং সংযুক্ত ৮১টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় ভর্তি হয় ৮৩৬ শিশু। এর মধ্যে সমাপনি পরীক্ষার ফরম পূরণ (ডিস্ট্রেকটিভ রোল) করার সময় ঝরে গেছে ১২৫৫শিশু। এছাড়া সমাপনি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে ১৮২ জন। ইবতেদায়ী পর্যায়ে অনুপস্থিত থাকে ১৩১ জন।

ঝরে পড়ার হার ২৬ দশমিক ৩০ ভাগ। যেখানে পঞ্চম শ্রেণিতে ঝরে পড়ার হার শতকরা ২৬ ভাগেরও বেশি। প্রাথমিক শিক্ষার এ বেহালদশায় উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। ঝরে পড়ার কারন হিসেবে দারিদ্র্য আর অসচেতনতাকে দায়ী করেন অধিকাংশ শিক্ষকরা। আবার ভর্তি রেজিস্টারে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম অন্তভুক্ত করা হয়। এমন দশা ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ক্ষেত্রে। মধ্য টিয়াখালী বাঁধঘাট সংলগ্ন মোহাম্মাদিয়া নুরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ১৮ শিক্ষার্থীর সবাই ছিল অনুপস্থিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই একই শিক্ষার্থীরা অপর একটি মাদ্রসার শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে। মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির অন্তত নয়জন শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। এদের কোন সঠিক খবর জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার কারন হিসেবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিলাল সিকদান বলেন, এর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে যারা গেল বছর ফেল করেছে। বিষয়টি তিনি অনুসন্ধান করবেন বলে জানান।

(এমকেআর/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)