ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

একাদশ নির্বাচনে আ. লীগে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতার ঝলকানি

২০১৭ ডিসেম্বর ০৮ ১৫:০৫:১৬
একাদশ নির্বাচনে আ. লীগে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতার ঝলকানি

জে জাহেদ,বিশেষ প্রতিনিধি : আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকার বেশ বড় একটা অংশে থাকবে তরুণদের নাম। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন মুখগুলোর বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন এই দলে।

ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতাদের অনেকে এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। মনোনয়নের দৌড়ে পুরনো প্রার্থীদের সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা যেমন রয়েছেন তেমনি আছেন ছাত্রলীগ কিংবা অঙ্গসংগঠনের নেতাও।

মনোনয়ন প্রত্যাশী এসব আলোচিত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন :

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সচিব আব্দুল মালেক (পটুয়াখালী-১), সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর-৪) ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী (চাঁদপুর-৩), উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৫), কক্সবাজার ৩ আসনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার (নরসিংদী-৫), নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে আাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে প্রচারণায় নেমেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে ফরিদপুর-১ আসনে রীতিমতো জাগরণ তৈরি করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা এবং ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।

পটুয়াখালী-বাউফল (২) আসনটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জোবাইদুল হক রাসেল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌড়ে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে বাউফলবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন উঠেছেন দুঃসময়ের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। যিনি চট্টগ্রামে বেশ জনপ্রিয়।

কক্সবাজার (৩) সদর-রামু আসন থেকে কক্সবাজার ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের নাম শুনা যাচ্ছে বেশ জোরেশুরেই। ছাত্রনেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয় এই আসনের শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারে মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

তরুণ এই ছাত্রনেতা আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর গুড বুকে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা। কক্সবাজারের এই আসনটি যেকোন উপায়ে নিশ্চিত করতে ইশতিয়াকের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী বলেই ধারণা করছেন আওয়ামী হাইকমান্ড।

আলোচিত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি (জামালপুর-৫), নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, হাসান আলী (সিরাজগঞ্জ-১), হাবিবুর রহমান স্বপন, চয়ন ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৫)। গাইবান্ধার-৫ সাঘাটা ফুলছড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন।

মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি না হয়েও সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় অনেক পাকা রাস্তা, সেতু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। সুখে-দুঃখে এলাকার জনগণের পাশে থেকে সাধ্যের মধ্যে কাজ করেছি। এক্ষেত্রে আমি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে দুই উপজেলার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ (বাগেরহাট-৪), নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরীন (বরগুনা-১), কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর-৪)।

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান দিপু (নারায়ণগঞ্জ-৫), ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের সাবেক ভিপি সাজ্জাদ হোসেন শাহীন (ময়মনসিংহ-৪)। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী (শরীয়তপুর-৩)। ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহে আলম। সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না পিরোজপুর-২ আসনের নৌকার টিকিট প্রত্যাশী। পিরোজপুর-১ আসনে আলোচিত হয়ে উঠেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা। পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আলী আশরাফ।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জন নওগাঁ-৫ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নড়াইল-১ আসন বা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নারী সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, মনিরুজ্জামান মনির (ঝালকাঠি-১), শফি আহমেদ (নেত্রকোণা-৪), অজয় কর খোকন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। একই আসনে মনোনয়ন চান ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুল হক রানাও।

ঢাকার আসনগুলোতে নতুনদের মধ্যে আলোচিত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন মনিরুজ্জামান তরুণ (ঢাকা-১),আওলাদ হোসেন (ঢাকা-৪), স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম (ঢাকা-৭), আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুবলীগের ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট (ঢাকা-৮), সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন (ঢাকা-১৪), যুবলীগের মঈনুল হোসেন খান নিখিল, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু (ঢাকা-১৫)।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেকোনো একটি আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। আর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা-১৩ আসনে।

এ ছাড়া আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু (রাজবাড়ী-২), নারী সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগম মুক্তা (চাঁদপুর-৫),মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও জহিরউদ্দীন মাহমুদ লিপটন (ফেনী-৩)।

সাবেক ছাত্রনেতা ও মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান (পিরোজপুর-৩), নারী সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার লিটা, এমদাদুল হক (ঠাকুরগাঁও-৩), জামালপুরের ইসলামপুর থেকে নারী সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন।

এ ছাড়া বিশ্বনাথ সরকার বিটু (রংপুর-২), সাফিয়া রহমান (রংপুর-৩), রাশেক রহমান, জাকির হোসেন সরকার (রংপুর-৫), কামাল আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মমতাজ (নীলফামারী-২) মাজহারুল হক প্রধান, আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়-১), আব্দুল মালেক চিশতি (পঞ্চগড়-২) মনোনয়নের লড়াইয়ে আছেন।

২৮ কুড়িগ্রাম সংসদীয় ৪ আসনে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ ও ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সামাজিক কাজে নিজেকে ইতোমধ্যে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে যিনি রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতবারেও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বলে জানা যায়। দলীয় হাইকমান্ডে যার নাম তালিকায় রয়েছে বলে জানা যায়।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘লক্ষীপুরের রামগতি ও কমলনগরের মানুষ উন্নয়ন চায়। তাঁরা চায় আমি যেন আগামীতে নির্বাচন করি। মনোনয়ন দেয়া না দেয়া নেত্রীর বিষয়। তিনি যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমি তাঁর জন্য কাজ করব।’

নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ‘এলাকার জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই সব সময়ই। দলের হয়েই জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে অংশ নেব।’

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলালীগের সভানেত্রী ও মহিলা এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, দলের দুর্দিনে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, ২৮ দিনের শিশুপত্রকে বাড়িতে রেখে জেল খেটেছি। জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে দাড়িয়েছি। তাঁরা চায় আমি যেন আগামীতে নির্বাচন করি। মনোনয়ন দেয়া না দেয়া নেত্রীর বিষয়। তিনি যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমি তাঁর জন্য কাজ করব।’

মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমি এলাকায় কাজ করছি। মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময়ই থাকি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। ২০১৪ সালেও চেয়েছিলাম। কেন পাইনি সেটা আমার আজও জানা হলো না। আমার এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এবং আমার এলাকার নেতা-কর্মীরা প্রত্যাশা করেছিল যে, আমি মনোনয়ন পাব। এবার আমি প্রত্যাশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘দলের জন্য আমি কাজ করছি। দল যদি ভালো মনে করে তাহলে আমাকে মনোনয়ন দেবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্যই আমি কাজ করব।’

আমিরুল আলম মিলন বলেন, ‘নিয়মিতই এলাকায় আমি গণসংযোগ করছি। দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তাঁর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব আমি।’ এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাউসার বলেন, ‘এলাকার প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখার চেষ্টা করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি জায়গায় আমার পদচারণা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক রয়েছে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে। তরুণদের এগিয়ে নিতেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমি এলাকায় কাজ করছি। মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময়ই থাকি। আমার এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এবং আমার এলাকার নেতা-কর্মীরা প্রত্যাশা, আমি মনোনয়ন পাব। এবার আমি প্রত্যাশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। এলাকার জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই সব সময়ই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশাহ জানান, ‘স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি কাজ করছি। দলকে গুছিয়ে রেখে এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে আমাদের নেত্রী আমার উপর আস্থা রাখবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘এলাকায় জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও দলের প্রতি যাদের আনুগত্য রয়েছে তাদেরই আগামীতে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবারই ৮০ থেকে ১০০ জন নতুন প্রার্থীকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বিগত জাতীয় নির্বাচনে সেটা ৫০ জনেরও অধিক ছিল। এবার তা আরও বাড়বে। নতুন এ প্রার্থীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণদেরই প্রাধান্য দেয়া হবে।

(জেজি/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭)