ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

মোংলায় গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

২০১৮ জানুয়ারি ১৬ ১৮:৩৭:৩৬
মোংলায় গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলায় পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক এবং যুবদলের ৪ নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনের নামে সরকার উৎখাতে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোংলা থানার এসআই গৌতম হালদার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে এ মামলাকে কেন্দ্র করে মোংলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে অনেক নেতা-কর্মী গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। অবশ্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিএনপি’র নেতা কর্মীদের হয়রানী করতে উদ্দেশ্যমুলক সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা দিয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মোংলা পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে মোংলা পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডস্থ কেওড়াতলার মোংলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজের বারান্দায় ২০ দলীয় সমর্থিত বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ নাশকতামুলক কর্মকান্ড করার লক্ষে গোপন বৈঠক করছিল।

এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে বৈঠককারীরা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এতে বিএনপি’র মোংলা পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক, ছাত্রদলের মোংলা থানা সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেম, যুবদল নেতা মো. বাপ্পা ও ফয়সাল আহম্মদসহ আরো ১০/১৫ জন অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে এ মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে মোংলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নেতা কর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

অপরদিকে এ মামলাকে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমুলক দাবি করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম পৃথক বিবৃতি প্রদাণ করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মোংলা ও রামপালে বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকায় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে মোংলায় এই নাশকতার সাজানো মামলা করা হয়েছে।

আগামীতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে এই মামলায় আটক দেখিয়ে জেলে ঢুকানোর পায়তারা করছে। এ ধরণের মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবাণ জানাচ্ছি।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৮)