ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিস্তারিত

ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল জেএমবির : র‌্যাব

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৬:২৭:৫২
ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল জেএমবির : র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার :ঢাকায় আবারও নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি। আর এ জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল ঢাকার বাইরের আঞ্চলিক সদস্যদের। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তেজগাঁও এলাকায় অবস্থান নেয় ছয় থেকে সাতজন জেএমবি সদস্য। তবে র‌্যাবের তৎপরতায় তা ভেস্তে গেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান।

এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় হামলার উদ্দেশে ঢাকায় আসা জিএমবির দুই সদস্যকে গত রাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তবে এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়।

কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে জেএমবি সদস্য মো. নুরুজ্জামান লাবু (৩৯) ও নাজমুল ইসলাম শাওনকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, জঙ্গিবাদী বই, ৭২৪ ইউএস ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবির সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, নুরুজ্জামান বাসের-ট্রাকের হেলপার ও লন্ড্রি দোকানে কাজ করতেন। আবার কখনও রিকশা বা দিনমজুর হিসিবেও কাজ করতেন তিনি। মাদরাসায় ভর্তি হলেও পড়ালেখা শেষ করেননি। ২০১৫ সালে সাইফ ওরফে রুবেল ওরফে রবিন ও সাগর ওরফে মারুফ ওরফে শিহাবের মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদীতায় উদ্বুদ্ধ হন তিনি।

নুরুজ্জামানের দায়িত্ব ছিল অন্য ধর্মের লোকদের হত্যা ও আক্রমণ করতে অনুপ্রাণিত করা। তার চলাফেরা সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে স্থানীয় জেএমবি একটি অটোরিকশা কিনে দেয়। অটোরিকশা চালিয়ে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরাতেন। বিশেষ করে মুসলিম থেকে ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানদের অনুসরণ করতেন তিনি।

এছাড়া বোমা বানাতে পারদর্শী বলে স্বীকার করেছেন নুরুজ্জামান। ঝিনাইদহ এলাকায় স্কুল মাঠে ও একটি গ্যারেজে সমমনাদের নিয়ে গোপনে বৈঠক করতেন তিনি।

গ্রেফতার নাজমুল সম্পর্কে লেফট্যানেন্ট কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার নাজমুল পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। ২০১৫ সালে তার মধ্যে উগ্রবাদী ধর্মীয় মতাদর্শের প্রতি আসক্তি সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের মার্চে আবু আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয়ে জেএমবিতে সম্পৃক্ত হন। একই বছর আব্দুল্লাহর মাধ্যমে জেএমবির সুলায়মান ওরফে আজাহারের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তিনি সুলায়মানের কথামত উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার শুরু করে।

গ্রেফতারদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে এবং বাকি পলাতক জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮)