ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

মৃৃত্যুর কারণ জানতে ১৪ মাস পর লাশ উত্তোলন

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৮:২১:১৯
মৃৃত্যুর কারণ জানতে ১৪ মাস পর লাশ উত্তোলন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় গোবিন্দগঞ্জে মৃৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ১৪ মাস পর নিহত আদিবাসী রমেশ টুডুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পিবিআই।

পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ১৪ মাস পর আজ মঙ্গলবার সকালে আদিবাসী সাঁওতাল রমেশ টুডুর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সুরতহাল রির্পোটের পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পিবিআই গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি দখল নিয়ে ২০১৬ সালে আদিবাসী পল্লীতে আদিবাসী সাঁওতালদের সাথে মিল শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটে ।

এসময় আদিবাসীদের ছোড়া তীরবিদ্ধ হয় ৯ পুলিশ সহ ৩০ জন আহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গল মার্ডি ও শ্যামল হেমব্রম নামে দুই আদিবাসী মারা যায়। অপরদিকে ঘটনার কয়েকদিন পর রমেশ টুডুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিহত দুজনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর সৎকার করা হলেও ময়না তদন্ত ছাড়াই রমেশ সরেনের মৃতদেহ আদিবাসী পল্লীর সিংটাজুড়ি গ্রামে সৎকার করা হয়।

এ ঘটনায় স্বপন মুর্মু বাদী হয়ে ও পরে গত ২৬ নভেম্বর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন । সাধারন ডাইরির পর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে রমেশ টুডুর মৃত্যুর কারণ জানতে হাইকোর্টে আবেদন করেন । হাইকোর্ট মামলাটি পিবিআই গাইবান্ধাকে তদন্তের নির্দেশ দেন ।

এ আদেশের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধার পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন রমেশ টুডু কিভাবে মারা গেলেন তার কারণ নির্ণয় করতে রমেশ টুডুর লাশ কবর উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন ।

আদালতের নির্দেশে মোঃ ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিউল আলমের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা পিবিআই সদস্যরা সিংটাজুড়ি গ্রামে কবর থেকে রমেশ সরেনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে ।

(এসআরডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮)