স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই কিন্তু রক্ষা করতে কি পেরেছি আমরা?

তপু ঘোষাল

আজ হিংসা শুধু সাংবাদিক সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পুরো বাঙালি জাতি থেকে শুরু করে পুরো বিশ্ব আজ হিংসার আগুনে পুরে ছাড় খাড় হচ্ছে প্রিতিনিয়ত। দেশ স্বাধীন হলেও আমাদের আজ স্বাধীনতা কোথায়। সবাই টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আজ ইট কাট পাথরের দেওয়ালের মাঝে বেশির ভাগই জন্তু জানোয়ারের বসবাস। একে অপরকে সহ্য করতে পারেনা। কারও মাঝে নেই ঐক্য একতা, ভাতৃত্ব বোধটুকু নেই। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না এক মুহুর্তের জন্য। একবার কেউ ক্ষমতা হাতে পেলে অন্য দের মূল্যায়ন না করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।

স্বাধীন দেশে ৭১ এর হায়েনাদের মত গন ধর্ণনের স্বীকার হচ্ছে অসংখ্য নারী। কত ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর জনগন জানতে পারে, আর অনেক ঘটনা লোক লজ্বায় ভয়ে আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তবে কি? এই দেশে সেই ৭১ এর জানোয়ারদের রক্ত বীজদের বংশধর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তা না হলে কেন এত বড় জঘন্য অপরাধ প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে অপরাধীরা, আর কিভাবেই বা শাস্তি না পেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে তারা।

৭১ এ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সমস্ত বাঙালি জাতি একত্রিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়লে আমরা আজ স্বাধীনতা পেতামনা। স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই রক্ষা করতে কি পেরেছি আমরা? আমরা যদি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে থাকি তাহলে ছোট বড় যত ধরণের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, জাতীর বিবেক সাংবাদিকদের জন্য যেসব প্রেসক্লাব গড়ে উঠেছে, সেখানে স্বাধীনতা বিরোধী যদি কোন লোক বা স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন বংশধর থেকে থাকে, তবে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে হবে মুহুর্তের মধ্যে।

কারণ তারা দেশের কখনও ভাল চাইবেনা। তারা সংগঠন গুলির সাথে থাকবে নিজেকে বাঁচানোর জন্য, উপরে উপরে সরকারের গুনগান গাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তারা সবসময় চাইবে দেশের ক্ষতি করার জন্য। কারন তারা রাজকারের সন্তান। দেখাযায় তারা কখন জয় বাংলা শ্লোগান টিও মুখে উচ্চারন পর্যন্ত করতে পারেনা।

যখন দেখি স্বাধীনতা বিরোধীরা একটা সংগঠন এর নেতা, যখন দেখি বাংলাদেশের পতাকা ওদের হাতে, যখন দেখি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবিটিও ওরা ক্ষমতায় আসার পর অফিসের দেওয়ালে টানানো নেই। একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে ওর ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে। তাও আবার স্বাধীন দেশে। উঃ দেখে বড় কষ্ট হয়।

লেখক : সাংবাদিক