ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে হেনস্ত করায় সর্ব ইউরোপিয়ান ঐক্য পরিষদ এবং আয়ারল্যান্ড ঐক্য পরিষদের নিন্দা

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৫:০৯:৫৮
বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে হেনস্ত করায় সর্ব ইউরোপিয়ান ঐক্য পরিষদ এবং আয়ারল্যান্ড ঐক্য পরিষদের নিন্দা

প্রবাস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী আয়ারল্যান্ড ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে বাংলাদেশের মন্ত্রী দ্বারা হেনস্ত হওয়াতে সর্ব ইউরোপিয়ান হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং আয়ারল্যান্ড শাখা সম্মিলিতভাবে নিন্দাজ্ঞাপন এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিশ্বজিৎ সাহা তনু সম্প্রতি বাংলাদেশে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করার জন্য দেশের বাড়ি ফরিদপুরে যান। ২ সেপ্টম্বর জন্মাষ্টমীর উৎসব কে সাফল্য মন্ডিত করে তোলার জন্য বিশ্বজিৎ সাহা তনু, তাঁর মেধা, অর্থ এবং পরিশ্রম দিয়ে ফরিদপুর বাসীদের সহযোগিতায় এবার স্মরণকালের রেকর্ডসংখ্যক পদযাত্রায় হাজার হাজার মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে।

বিশ্বজিৎ সাহা তনুর অসাধারণ সাফল্যের জন্য কমিটির সকলের অনুরোধে প্রতিবছরের মতো এবারো হাতির পিঠে চড়ে ফরিদপুর শহর প্রদক্ষিণ করছিলেন।

এ সময়ে জ্ন্মাষ্টমীর সভার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী উপস্হিত ছিলেন।যা মন্ত্রী মহদয়ের আত্ম সম্মানে আঘাত লাগে যে তার সামনে দিয়ে হাতির পিঠে চড়াকে ঔদ্যত্ত হিসাবে দেখেন । একজন সংখ্যালঘুর হয়ে হাতির পিঠে চড়াকে মন্ত্রী মহদয় মেনে নিতে না পেডে রেগে গিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে গ্রেফতার করার জন্য।

অতপর, পুলিশ বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে উনার নিবাস থেকে গ্রেফতার করে এবং সারাদিন জেলে রেখে পরেরদিন উনাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয় । কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে মুচলেকাসহ সাদা কাগজে লিখিত নেয়া হয় যে যাতে বিশ্বজিৎ সাহা কোন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে এবং এ ব্যাপারে যেন কোন সংবাদ প্রকাশ না হয়।

এ ঘটনায় ফরিদপুরের সনাতন বিশ্বাসী এবং সকল জনসাধারণের মধ্যে এক ক্ষেপের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে এই নেক্কারজনক এবং বিদ্বেষমুলক আচরনের খবর আমরা জানতে পারি।

ফরিদপুরের সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী মন্ত্রী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই রকম ভয়ানক বিদ্বেষ দেখানো নতুন নয় এর আগেও এই মন্ত্রী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের চোখ তুলে নেবার হুমকি দেন জনসমাবেশে! এছাড়া এই মন্ত্রীই বিখ্যাত সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে জেলে পাঠিয়েছিলেন এবং মুক্তিযাদ্ধা মানস মুর্খাজীকেও জেলে পাঠিয়েছিলেন।

আমরা জানতে চাই, সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রিত্ব উভয় পদে থাকা একজন সন্মানি মন্ত্রী হয়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এমন প্রচন্ড বিদ্বেষ অমানবিক মনভাব কেন? তা বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধে বিশ্বাসীরা জানতে চায়! যে ব্যক্তি জনগনের ভোটেই নির্বাচিত সে একজন জনপ্রতিনিধী, কি করে এই মন্ত্রী জনগনের বিরুদ্ধে ধর্ম বিদ্বেষ তৈরী করেন?

আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এটা কি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলা নাকি ৭১ এর সেই রাজাকারদের রাজত্ব?

সামনে সাধারন নির্বাচন আসছে সংখ্যালঘুরা এমনিতেই নিরাপত্তা হীনতায় রাতে তাঁদের ঘুম নেই, তার উপর যদি মন্ত্রী মহদয়দের এমন বিদ্দেষ মুলক আচরণ এবং কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় তবে সংখ্যালংঘুরা কার কাছে আশ্রয় পাবে?

(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮)