ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

২০১৮ সেপ্টেম্বর ২০ ১৫:২৬:২০
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। পাকশী হার্ডিঞ্জব্রীজ এলাকায় স্রোতের তীব্রতা দেখে মনে হয় এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

রেলওয়ের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানান যায়, পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জব্রীজ পয়েন্টে সিলেভেল হতে পানির বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। গত বুধবার সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমা ছুঁই-ছুঁই অবস্থা।

হার্ডিঞ্জ ব্রীজের ১৫টি স্প্যানের নিচেই এখন পানিতে পরিপূর্ণ। নদী শাসন বাঁধ (গাইড ব্যাংক) পানি পৌছে গেছে পর্যন্ত। অথচ মাসখানেক আগেও ১৫টি স্প্যানের ৮ টির নিচেই পানি ছিল না। হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে অস্থায়ী যে দোকানপাট গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার তীব্র স্রোত ও পানির তীব্রতা দেখতে শত শত মানুষ পদ্মা পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন।

পানি বাড়ায় পদ্মার চরে জেগে উঠা সাঁড়া ইউনিয়নের সাহেবনগর ও মোল্লার চরের বসতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় চরের অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঁড়া , পাকশী ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

সাঁড়া ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর মধ্যবর্তী চরে গড়ে উঠা বসতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নদীর তীরে যেসব আবাদি জমি ছিল তা তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রানা সরদার জানান, নদীতে পানি বেড়েছে। নদী শাসন বাঁধ থাকায় ভাঙ্গনের কবল থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পেয়েছে। স্রোতের তীব্রতা বেশি থাকলেও নদী শাসন বাঁধের কোথাও কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।

লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীকুন্ডার চরাঞ্চলের ফসলি জমিতে পানি উঠেনি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলের ফসলি জমি ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মার পানি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হার্ডিঞ্জব্রীজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা এখন ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। এখানকার বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার।

পাকশী হার্ডিঞ্জব্রীজ এলাকার নৌকার মাঝি বিমল জানায়, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পদ্মা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। কয়েক বছর পর এবার পদ্মায় বেশি পানি দেখা যাচ্ছে। পাকশী হঠাৎ পাড়া বাসিন্দা আমির হোসেন (৭০) জানান, বহু বছর পর পদ্মা নদীতে এতো পানি দেখলাম।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮)