ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

ভারতের চাওয়া সরকারে ফের শেখ হাসিনা, সিদ্ধান্ত জনগণের

২০১৮ অক্টোবর ১২ ২৩:১৬:১৫
ভারতের চাওয়া সরকারে ফের শেখ হাসিনা, সিদ্ধান্ত জনগণের

রূপক মূখার্জি, নড়াইল : ভারতের সকল রাজনৈতিক দল প্রত্যাশা করে, বাংলাদেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল পুন নির্বাচিত হোক। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে আস্থার সম্পর্ক শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকুক- সেটিই দেখতে চায় ভারত। বৈদেশিক নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা জরুরী বলেই মনে করে ভারত সরকার। তবে তাদের (ভারত) বিবেচনায় এটাও আছে যে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ অর্থাৎ ভোটাররা। ভারতের কূটনৈতিক মহল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতের কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক গত এক দশকে যে নতুন এক মাত্রায় উন্নীত হয়েছে তাতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কয়েক দশকের পুরানো সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানসহ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার ভূমিকাকে ভারত অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবে মূল্যায়ন করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সাহস দেখিয়েছে, সেটিকেও মূল্যায়ন করে ভারত সরকার।

ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সূত্রে প্রকাশ, গত প্রায় ১০ বছরে শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে নিরাপত্তা খাতে সর্বাত্বক সহযোগিতা দিয়েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারই বাংলাদেশের ভূ-খ- ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে না দেওয়ার ঘোষনাই শুধু দেয় নাই, পুরোপুরি তা কার্যকর করেছে। তা ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারত। ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নীতিকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভারত। সব কিছু মিলে, শেখ হাসিনার সরকারের কোন বিকল্প দেখছেন না ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ কারনে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর আস্থা রেখে শুভ কামনা আছে ভারত সরকারের।

কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিএনপির সাথেও ভারতের যোগাযোগ আছে। সম্প্রতি, বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ভারত সফর করে সে দেশের গুরুত্ব পূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্টজনদের সাথে বৈঠক করে আলাপ-আলোচনা করেছেন। এ সব আলোচনায় বিএনপি বর্তমান বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পূর্নগঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা বলেছেন। ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিএনপির নীতি নিয়ে দ্বিধা ও সন্দেহ আছে ভারতীয় কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ভারতের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখার আশ্বাস দিলেও ক্ষমতায় এসে বিএনপি তা বাস্তবায়ন করে নাই বলে অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক মহলে সন্দেহ-সংশয়ও আছে। ভারত বিগত ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার পরামর্শ দিয়েছিল। এবারও বা ভবিষ্যতেও তেমনি পরামর্শ দেবে ভারত। নির্বাচন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়। এ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের কোন নজির নেই। তা ছাড়া, দেশ পরিচালনা করতে হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০১৮)