ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

রামসাগর দীঘিতে অতিথি পাখির সমারোহ

২০১৮ নভেম্বর ২৮ ১৪:৫৯:২৩
রামসাগর দীঘিতে অতিথি পাখির সমারোহ

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : প্রকৃতির নীলাভূমি জাতীয় উদ্যান দিনাজপুরের রামসাগর দীঘিতে এখন পরিজায়ী অতিথি পাখির সমারোহ। এসব পাখির কলকাকলীতে মুখোরিত হয়ে উঠেছে ওই দীঘি। তবে দুই বিভাগের দৈত শাসনে এই জাতীয় উদ্যান রামসাগর দীঘি’র বৈরী পরিবেশে পরিজায়ী অতিথি পাখি বিতাড়িত হওয়ার আশংকাই করছে স্থানীয়রা। তাই, রামসাগর দীঘিতে পরিজায়ী অতিথি পাখির অভায়াশ্রম তৈরী’র দাবী তুলেছেন,পাখিপ্রেমিরা।

দিনাজপুর শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে রামসাগর দীঘি। ২০০১ সালে এটি জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়। দিনাজপুরের রাজবংশের শ্রেষ্টতম নৃপতি রাজা রামনাথ ১৭৫০ থেকে ১৭৫৫ খৃষ্টাব্দে খনন করান এই বিশাল জলাধার। এ দীঘিকে নিয়ে রয়েছে কিংবদন্তী ইতিহাস।দীঘিটি একসময় ছিলো জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ. আকাশে ভেসে বেড়ানোর রং-বে রংয়ের নানা প্রজাতি আর পাখির কলকাকলীতে মুখরিত। বেশ কয়েক বছর পর আবারো এ শীত মৌসুমের শুরু’তে রামসাগর দীঘিতে পরিজায়ী অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে।।

এসব পাখির কলকাকলীতে মুখোরিত এখন রামসারগর দীঘি।তবে দুই বিভাগের দৈত শাসনে এই জাতীয় উদ্যান রামসাগর দীঘি’র বৈরী পরিবেশে পরিজায়ী অতিথি পাখি বিতাড়িত হওয়ার আশংকাই করছে স্থানীয়রা। রামসাগর দীঘিতে পরিজায়ী অতিথি পাখির অভায়াশ্রম তৈরী’র দাবী তুলেছেন,পাখিপ্রেমিরা।

রাম সাগরের ৬৮ দশমিক ৫৪ একর পাড়ভূমি স্থলভাগ বন বিভাগের আওতায় এবং ৭৭ দশমি ৯০ একর জলভাগ দীঘি নিয়ন্ত্রন করছে জেলা প্রশাসন। দুই বিভাগের দৈত শাসনে এই জাতীয় উদ্যানের কাংখিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামসাগর জাতীয় উদ্যানের এর তত্ত্বাবধায়ক এ.কে.এম.আব্দুস সালাম তুহিন। বৈরী পরিবেশে পরিজায়ী অতিথি পাখি বিতাড়িত হওয়ার আশংকাই করছেন তিনি।

নিরাপত্তা’র নিশ্চয়তা না পেয়ে দীঘি’র পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।কখনও উড়ে বসছে গাছে। বৈরী পরিবেশে এই পরিজায়ী অতিথি পাখিগুলো বিতাড়িত হওয়ার আশংকার কথা জানালেন দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান।

শীত মৌসুমের শুরুতেই জাতীয় উদ্যান রামসাগর দীঘি’তে অতিথি পাখি আশা শুরু করেছে। এই অতিথি পাখি’র কলকাকলীতে এখন মুখরিত রামসাগর দীঘি। রামসাগর দীঘি’কে অতিথি পাখি’র অভয়ারণ্য আশ্রয়স্থলে গড়ে তোলার দাবী জানিয়েছে পাখিপ্রেমিরা।

(এসএএস/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০১৮)