ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

আপিলেও বাতিল খালেদার প্রার্থিতা

২০১৮ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:১৮:১৯
আপিলেও বাতিল খালেদার প্রার্থিতা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপিল শুনানিতেও বাতিল হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানায়।

খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কেবল কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে মত দেন। তবে ভিন্ন মত পোষণ করেন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাহাদাত হোসেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা তিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ফলে ৪-১ ব্যবধানে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ হয়ে যায়।

তিন আসনেই আপিল খারিজ হওয়ায় নির্বাচন করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে তার।

শনিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানি পেন্ডিং (স্থগিত) রাখেন নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগ। আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় এর আগে খালেদার জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা আপিল করেছেন তাদের বিষয়ে আজ (শনিবার) শেষ দিনের মতো নির্বাচন কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ মোট ২৩৩ জনের আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের প্রার্থিতা ফেরতের আবেদন যথাক্রমে ৩৮৫, ৪৪০ ও ৪৭৮ নম্বর শুনানির তালিকায় ছিল। শুনানির তালিকায় আসার পর নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আজ (শনিবার) বিকেল ৫টায় শুনানি হবে বলে পেন্ডিং রাখে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলায় একটিতে ১০ বছর ও অন্যটিতে ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন। খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে কারাদণ্ড বহাল থাকায় তার এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮)