ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » শিল্প-সাহিত্য » বিস্তারিত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন আজ

২০১৯ জানুয়ারি ২৫ ১৬:০২:২৯
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন আজ

সাহিত্য ডেস্ক : বাংলা ভাষার সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৪তম জন্মদিন আজ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার বংশে তার জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মা জাহ্নবী দেবীর তত্ত্বাবধানে মধুসূদনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়।

নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্রাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মধুসূদন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের যুগপ্রবর্তক কবি। তিনি তার কাব্যের বিষয় সংগ্রহ করেছিলেন প্রধানত সংস্কৃত কাব্য থেকে, কিন্তু পাশ্চাত্য সাহিত্যের আদর্শ অনুযায়ী সমকালীন ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালির জীবনদর্শন ও রুচির উপযোগী করে তিনি তা কাব্যে রূপায়িত করেন এবং তার মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্যে এক নবযুগের সূচনা হয়। উনিশ শতকের বাঙালি নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ মধুসূদন তার অনন্যসাধারণ প্রতিভার দ্বারা বাংলা ভাষার অন্তর্নিহিত শক্তি আবিষ্কার করে এই ভাষা ও সাহিত্যের যে উৎকর্ষ সাধন করেন, এর ফলেই তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি ‘মধুকবি’ নামে পরিচিত।

মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কবির জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা-২০১৭-এর আয়োজনসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৭৩ সাল থেকেই এই মধুমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবার সপ্তাহব্যাপি এই মেলা শুরু হয়েছে গত ২১ জানুয়ারি থেকে । জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক এ দিন এ মেলার উদ্বোধন করেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।

এর আগে মহাকবির জন্মবার্ষিকী এবং মধুমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, জন্মভূমির প্রতি মাইকেল মধুসূদন দত্তের গভীর অনুরাগ আগামী প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেমের চিরন্তন নিদর্শন হিসেবে চির-জাগরুক থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনন্য সাহিত্যকীর্তি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

মধু কবির জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিদিনই এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ সাগরদাঁড়িতে আসছেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০১৯)