ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মিডিয়া » বিস্তারিত

‘অনলাইন মিডিয়া পৃথিবীর বাস্তবতা’ 

২০১৯ জানুয়ারি ২৭ ১৬:০২:১৪
‘অনলাইন মিডিয়া পৃথিবীর বাস্তবতা’ 

নিউজ ডেস্ক : অনলাইন মিডিয়া পৃথিবীর বাস্তবতা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রতি ২-১ ঘণ্টা পর পর আমি অনলাইনে ঢুকি। নতুন প্রজন্মের অনেকে পত্রিকা পড়ে না। আমি অনলাইনে আপডেট জানার পরও সকালে পত্রিকা পড়ি। এটি অভ্যাস।

তিনি বলেন, অনলাইনের প্রয়োজন আছে। দেশের অনেক অনলাইন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সংবাদ পরিবেশন করছে। কিছু অনলাইনের এ দায়বদ্ধতা নেই। সম্প্রচার নীতিমালা পাস হলে অনলাইনগুলো নিবন্ধন করা হবে। ইতিমধ্যে অনেক অনলাইনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেবেন কখনও ভাবিনি। কলেজ জীবনে আমি অনেক মাইকিং করেছি। দলের পক্ষে অনেক প্রেস রিলিজ লিখেছি। প্রধানমন্ত্রী দলের ও রাষ্ট্রের মাইক আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। ছয় বছর দলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওঠাবসা আমার।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকে সাংবাদিকদের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গেছি। রিপোর্টাস ইউনিটিতে গেছি। আজ নিজের শহরে সাংবাদিকদের মিলনমেলায় আসতে পেরেছি। নির্বাচনের পর নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে তথ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।

‘শনিবার সচিবালয় খোলা রেখে মন্ত্রিসভা কমিটির সভা করা হয়েছে। সংবাদপত্র মালিকদের দুইটি সংগঠন। সাংবাদিকদের সংগঠন আছে। সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে। মূলত পত্রিকার জন্য ওয়েজ বোর্ড ছিল। টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশে অনেক এফএম রেডিও আছে। দুই-একটির শ্রোতার সংখ্যা অনেক টেলিভিশনের দর্শকের চেয়ে বেশি। তাদেরও সম্প্রচার নীতিমালার আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, দেশ বহুদূর এগিয়েছে। বদলে যাওয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি বলে আমরা অনুধাবন করছি না। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে বাস্তবে নেই। সন্ধ্যার পর 'মা একমুঠো ভাত দাও' সেই ডাক শোনা যায় না। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষ গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একটি শিশু যে কার্টুন দেখে সেটিও গণমাধ্যম। সত্য সংবাদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হলেও পরিবেশিত হবে। দেশের বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হলেও হবে। তবে বীভৎস দৃশ্য টেলিভিশনে পরিবেশিত হলে সমাজে কী প্রভাব ফেলবে সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা। দরিদ্রতা ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে।

মন্ত্রী বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। চট্টগ্রামে আজ অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেটা আছে ৫ বছরে দ্বিগুণ হবে। চট্টগ্রামের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ৯ ঘণ্টা সম্প্রচার শুরু হবে। কয়েক মাস পর ১২ ঘণ্টায় উন্নীত করা হবে। নতুন বছরের শুরুতে বিটিভির দ্বিতীয় টেরিস্টরিয়াল চ্যানেল হিসেবে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল বাড়ানোর কথা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে এ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের অসুস্থতার পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনা, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার খরচ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিক করা, মিরসরাই পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সভাপতির বক্তব্যে কলিম সরওয়ার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের ক্রান্তি লগ্নে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এ জনপদের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ এ ক্লাবে ছুটে আসেন তাদের আকুতি জাতির সামনে তুলে ধরতে।

তিনি তথ্যমন্ত্রীর প্রতি বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন রূপে সাজানোর এবং বন্দর, পর্যটনসহ পিআইবির বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের আহ্বান জানান।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৯)