প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত
কিছু অভ্যাসেই বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্য!
২০১৯ জানুয়ারি ২৭ ১৮:৩৭:৫৭স্বাস্থ্য ডেস্ক : বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশগত। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে তা কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে শরীর থেকে মল প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে নির্গত হতে পারে না। পেট ভরে কিছু খাওয়ার ক্ষেত্রেও সব সময় যেন একটা ভয় তাড়া করে বেড়ায়। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলি কী কী।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ:
১. পানি কম খেলে।
২. ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল কম খেলে।
৩. দুগ্ধজাত খাবার যেমন, ছানা, পনির ইত্যাদি অত্যাধিক পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে।
৪. কায়িক পরিশ্রম, হাঁটা-চলা বা শরীরচর্চা একেবারেই না করলে।
৫. দীর্ঘদিন কোনো অসুস্থতার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকলে।
৬. অত্যাধিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদের ফলে।
৭. অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার হলে।
৮. ডায়াবেটিস হলে।
৯. মস্তিষ্কে টিউমার হলে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও কখনো সখনো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, ব্যথার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, খিঁচুনির ওষুধ সেবনের ফলেও এই সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
এছাড়া, যে সব ওষুধের মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামজাতীয় খনিজ পদার্থ থাকে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়ু বা হরমোনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্যও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঘরোয়া বেশ কয়েকটি উপায় আছে যেগুলোর সাহায্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া সম্ভব। যেমন, পাতি লেবুর রস, মধু, আঙ্গুরের রস, পালং শাক আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৯)