ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত

সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ 

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৮:৩০:০০
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ 

স্বাস্থ্য ডেস্ক : সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক শব্দটি থেকেই এর অর্থ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সহজভাবে বললে, সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হলো নীরবে ঘটে যাওয়া হার্ট অ্যাটাক, যার তেমন কোনও লক্ষণ থাকে না।

তারপরও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কিছু লক্ষণ বের করেছেন যেগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাদের মতে, এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমনটি বলার সুযোগ নেই। তবে নিরাপদ থাকতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং এতে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- বুক ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এবং অতিরিক্ত ঘাম। তবে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এগুলো নাও দেখা যেতে পারে কিংবা দেখা গেলেও সবগুলোর পরিবর্তে বরং একটা উপসর্গ দেখা যেতে পারে। এ কারণে রোগী মনে করবেন তার হার্টে সমস্যা নেই, অন্য কোনও সমস্যা থেকেই এই লক্ষণ দেখা দিয়েছে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি।

এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু যদি এমন কিছু হয় যখন হার্ট অ্যাটাকের কিছুই রোগী বুঝতে পারবে না, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে। এমনকি জীবনাবসানও ঘটে যেতে পারে। এমনটা হওয়া অসম্ভব নয়। এমন অবস্থা হওয়াকেই বলে সাইলেন্ট এমআই বা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক!

যে কারণে সাইলেন্ট

রোগী এই সময় কিছু বুঝতে পারে না আর পারলেও খুব অল্প বা সাধারণ ব্যথা হিসেবে মনে করে তেমন পাত্তা দেয় না। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রধানত এমনটা দেখা যায়। যাদের শরীরে ডায়াবেটিসের জন্য নানা ধরনের কমপ্লিকেশন তৈরি হয়, তাদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হওয়ার কারণে শরীরের বোধশক্তি অনেকটাই কমে আসে, ফলে হার্ট অ্যাটাকের সময় তীব্র ব্যথা হলেও মানুষ সেটা বুঝতে পারে না সহজে।

চিকিৎসা- চিকিৎসার ব্যাপারে সাধারণ হার্ট অ্যাটাক আর সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। সাইলেন্ট এমআই থেকে দূরে থাকতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়।

যা করা উচিত

-ডায়াবেটিসের কম্পলিকেশন, যার শরীরে তৈরি হবে তাকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে।

-নিয়মিত কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা ডায়াবেটোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

-বুকে অল্প ব্যথা দেখা দিলে কিংবা অস্থিরতা বোধ করতে (যেটা হাইপোগ্লাইসেমিয়া নয়) দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে! অস্থিরতা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য নাকি সাইলেন্ট এমআইর জন্য তা বোঝার উপায় হলো- হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য যখন অস্থিরতা হয়, তখন গ্লুকোজ বা চিনি কিংবা অন্য কোনো খাবার খেলে সেটা দ্রুতই ঠিক হয়ে আসবে কিন্তু সাইলেন্ট এমআইর ক্ষেত্রে সেটা হবে না। আর ঘরে গ্লুকোমিটার থাকলে সহজেই এটা বোঝা যাবে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯)