ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত

আরএডিপিতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৭:২৮:২৭
আরএডিপিতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার : প্রস্তাবিত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) সরকারি (জিওবি) খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিপরীতে প্রকল্প সাহায্য কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও প্রস্তাবিত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনামূলক চিত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল গত ৭ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রস্তাবিত আরএডিপিতে জিওবি খাতে ২৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা (২৫ শতাংশ) বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প সাহায্য খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা (১৫ শতাংশ) কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল এডিপি বরাদ্দের তুলনায় মোট ১৯ হাজার ৬৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট এডিপি বরাদ্দের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে ১ হাজার ৪৫১ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ অর্থবছরে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৪৫১টি।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রকল্প সাহায্য খাতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করেছে। ৫৮টির মধ্যে ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ জিওবি খাতের প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।

জিওবি খাতে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে এ রকম মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪ হাজার ৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৬২৪ কোটি ৯ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩ হাজার ৮১৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২ হাজার ২৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২ হাজার ২৪৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ১ হাজার ৪৫৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ ১ হাজার ৩৫৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১ হাজার ৬০২ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

অন্যদিকে ২৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ জিওবি খাতে প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৩০০ কোটি ৮৬ লাখ, সেতু বিভাগ ২ হাজার ৫৩৬ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০০ কোটি ২৪ লাখ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২৬৪ কোটি ৪ লাখ, ভূমি মন্ত্রণালয় ২১০ কোটি ৪৪ লাখ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ১৭৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা কমানোর প্রস্তাব করেছে।

এ বিষয়ে কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান বলেন, ‘প্রতি বছরই কেউ ভালো পারফর্ম করে, কেউ বিভিন্ন কারণে আটকে যায়। এ জন্য আমাদের এডজাস্ট (সামঞ্জস্য) করতেই হয়। আজকে যারা একটু পিছিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে, তারা কথা দিয়েছে, তাদের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। সর্বোপরি আমরা সন্তুষ্ট।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯)