ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিস্তারিত

ডমেস্টিকে প্লেনভাড়া কমানোর বিষয়টি দেখবেন প্রতিমন্ত্রী

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৮:০০:২৮
ডমেস্টিকে প্লেনভাড়া কমানোর বিষয়টি দেখবেন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) রুটে সরকারি এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি বেসরকারির ভাড়া কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দফতরে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অভ্যন্তরীণ রুটে প্লেনের ভাড়া অনেক কম- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। সরকারি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া তুলনামূলক কম। বেসরকারি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

এভিয়েশন অপারেটরস অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার তাদের দেশে পর্যটন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করার জন্য এক্ষেত্রে ভুর্তকি দিয়ে থাকে। সেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়া কিছু কম। কানেক্টিভিটির জন্য দেশটির গ্রোথ বেড়ে গেছে।

মফিজুর রহমান বলেন, এয়ারক্রাফট এবং এয়ারপ্লেন পরিচালনায় কিছু সমস্যা আছে, তা নিয়ে কথা বলেছি। গত অর্থবছরে যাত্রীর ট্যাক্স থেকে সরকারকে ৫০০ কোটির বেশি রাজস্ব দেওয়া হয়েছে। এখন প্লেনে চড়া লাক্সারি নয়, নেসেসারি। প্লেনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে যে প্রতিবন্ধকতা সেজন্য আমদানি নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানান মন্ত্রী।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের উন্নয়নে সরকারও অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এরইমধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী আসছেন। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। এজন্য দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গায় আমরা ফিরে এসেছি। এ খাতটাকে আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, এখাতে কিছু সমস্যা আছে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি চান এ খাতটা সাক্সেসফুল হোক।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে যে সমস্যা আছে সেগুলো দেখতে আমি একমাসের মধ্যে পাঁচবার বিমানবন্দর গিয়েছি। বিশেষ করে যাত্রীদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আসে। আমি সেখানে নিজে গিয়েছি, একসঙ্গে কাজ করেছি। এখন ইমিগ্রেশন শেষ করে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাগেজ পাওয়া যাচ্ছে, এটা খুব আশার কথা।

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ১০টি বিষয়ের উপর যে ফাইভ স্টারের মর্যাদা দিয়েছে এটা আমার জন্য খুব সম্মানের। এজন্য বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যেসব দাবি দাওয়া রয়েছে সেগুলো আমি নিশ্চয়ই দেখবো বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯)