ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, অবশেষে মামলা

২০১৯ মার্চ ১৮ ২১:৩৪:২২
কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, অবশেষে মামলা

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : প্রতিবেশী প্রবাসী শামীম দ্বারা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী গত দুই দিন আগে ধর্ষণের শিকার হলেও থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দরিদ্র পরিবার স্থানীয় ভাবে ধর্ষণের বিচার চেয়ে উল্টো ধর্ষকের পরিবার দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ১৮ মার্চ, সোমবার সন্ধ্যায় কাপাসিয়া থানায় ধর্ষিতার পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি তাতেরকান্দা গ্রামে।

ধর্ষিতার পরিবার জানান, উপজেলার খিরাটি তাতেরকান্দা গ্রামের পিতৃহীন দরিদ্র মায়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী (১৩) গত শনিবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা কন্যাকে নিয়ে দুদিন যাবৎ থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়।

ধর্ষিতার পিতা মারা যাবার পর তার মা পরিবারের ভরণ পোষণ মিটাতে পাশর্বর্তী মনোহরদীতে একটি ফুলের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তার তিন ছেলের দু’জনই গ্রামের বাড়িতে থেকে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালায়। তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা বাড়িতে বড় ছেলের পাশের রুমে থাকে। ঘটনার দিন গত শনিবার রাত ১১ টার দিকে তার কন্যা পড়াশোনা শেষে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে আবার ঘরে ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশি ও চাচাত বোনের স্বামী মাহাম্মদের ছেলে শামীম চৌকির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই শামীম তার মুখ চেপে ধরে চৌকিতে শুইয়ে জোড় পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার ডাকচিৎকারে বাড়ির পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শামীম দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার মা পরদিন সকালে বাড়িতে এসে মেয়েকে নিয়ে কাপাসিয়া থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। কোনো প্রতিকার না পেয়ে এলাকাবাসী ও শামীমের আত্মীয় স্বজনের কাছে বিচার চাইতে গেলে শামীম ও তার স্ত্রী তাকে মারধর করেন। কয়েকদিনের মাঝেই শামীম বিদেশে চলে যাবে জানান।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, প্রবাসী শামীম কয়েক মাস যাবৎ তাকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। তাতে সাড়া না দেওয়ায় সে ওই রাতে তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা বলেন, একজন মহিলা আমার কাছে এসেছিল, অভিযোগসহ আমি তাকে থানায় পাঠিয়েছি এবং ওসি সাহেবকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
কাপাসিয়া থানার এস আই মনির হোসেন জানান, একজন কিশোরীকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং

এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাতের মধ্যেই অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারে থানা পুলিশ অভিযান চালাবে।
সঞ্জীব কুমার দাস

(এসকেডি/এসপি/মার্চ ১৮, ২০১৯)