ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

মালয়েশিয়ায় বাস খাদে, ছয় বাংলাদেশিসহ নিহত ১১

২০১৯ এপ্রিল ০৮ ১১:০৬:৪৯
মালয়েশিয়ায় বাস খাদে, ছয় বাংলাদেশিসহ নিহত ১১

প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের বহনকারী একটি বাস খাদে পড়ে ছয় বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন।

রবিবার রাতে দেশটির একেএল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস এইট পেকেলিলিংয়ের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি নিলাই, নেগরি সেম্বিলানের হোস্টেল থেকে শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাচ্ছিল।

বাসে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। হতাহতদের মধ্যে মালয়েশীয় ছাড়াও ১২ জন বাংলাদেশি, ১২ জন নেপালি, ১৪ জন ইন্দোনেশীয় রয়েছেন। নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে সেরডাং হাসপাতালে।

নিহত ছয় বাংলাদেশির মধ্যে মো. রাজিব মুন্সি (২৬), মো. সোহেল (২৪), মুহিন (৩৭), আল আমিন (২৫) ও গোলাম মোস্তফা (২২) নামে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সূত্র: মালয়েশিয়ান দৈনিক বেরিতা হারিয়ান।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন নাজমুল হক (২১), মো. রজিবুল ইসলাম (৪৩), ইমরান হুসাইন (২১), জাহিদ হাসান (২১), শামিম আলি (৩২), মোহাম্মদ ইউনুস (২৭), মো. রাকিব (২৪)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে সেরডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরের চারজনকে পুত্রজায়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট জেলার পুলিশ প্রধান জুলকিফি আদমশাহ জানান, রাত ১১টার দিকের এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে আট শ্রমিক এবং বাসচালক নিহত হন। পরে সেরডাং এবং পুত্রজায়া হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও দুইজন।

জুলকিফি বলেন, বাসটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিল। তারা মাসকার্গোয় চুক্তিভিত্তিক কাজ করতো। আহতদের সেরডাং, পুত্রজায়া, বানটিং এবং কাজাংয়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

জুলকিফি আরও জানান, বাসে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে দুইজন মালয়েশীয় নারী রয়েছেন। এছাড়া বাকি ৪১ জন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের নাগরিক। তাদের বয়স ২১ থেকে ৪৩ বছর। এসব শ্রমিক রাত বারোটার শিফটে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান মোহদ ফাধিল সালেহ জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে একটি জরুরি কল পাই। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে শুরুতে বাসের পাশে পড়ে থাকা আহতদের উদ্ধার করি। পরে বাস কেটে বাকি হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। পুরো কাজ শেষ করতে এক ঘণ্টা সময় লাগে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৮, ২০১৯)