ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

মস্কোতে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

২০১৯ এপ্রিল ২৩ ২২:৪৯:৩৭
মস্কোতে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বারেক কায়সার, মস্কো (রাশিয়া) : নাচ-গান, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজনে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে মস্কোর গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈশাখের বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে সরব হয়েছিল রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আনিতা বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের সংস্কৃতিতে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। আপনাদের উৎসাহ আমাদের সামনে পথ চলতে সহায়ক হবে। উৎসবে আসার জন্য বিদেশি বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা।

অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম বিভাগের পিএইচডি গবেষক বারেক কায়সার ও মেডিকেল অনুষদের ছাত্রী শাজমীম হোসেন।

শুরুতেই ‘এসো হে বৈশাখ’ সমবেত কন্ঠে গান গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিল্পীগোষ্ঠী। একটু পরেই ‘আইছে পহেলা বৈশাখ আগামী লইয়া’- গানের সঙ্গে নেচে দর্শক মাতিয়েছেন আনিতা বিশ্বাস। ‘আইলো আইলো রে’- গানের সঙ্গে রোদেলা ও প্রীতির নৃত্য বেশ উপভোগ্য ছিল।

মিষ্টি সুরে ‘মন মাঝিরে’ গান গেয়েছেন নাহিদ ও নিশি। এছাড়া ‘ঢাকাই শাড়ি’ গানে নেচেছেন প্রীতি ও সাদিক। আনিতার সঙ্গে ভিনদেশি মেয়ে আলেকজান্ডার আদুয়েভা ও এলিনা বেলিসেনকোর কন্ঠে বাংলা গান শুনে মুগ্ধ শ্রোতারা। পরে বাংলা সিনেমার একাল-সেকালকে তুলে ধরতে ছায়াছন্দে অংশ নেন রাশিক-প্রীতি, রোদেলা-সাদিক, রুমা-সাকিব ও নিশি-মাহাদী।

বাংলা হিপহপে নেচেছেন নিশি, সাদিক, রাশিক ও ভিনদেশি মেয়ে আন ও নি। রোদেলার ‘বন্ধুরে কাছে আসো’ গানের সঙ্গে নাচও দর্শকদের অনেক দিন মনে থাকবে! ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে’ গানে নেচেছেন- নাহিদ, সাকিব, সাদিক, রাশিক ও মাহাদী। বাপ্পির ‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দিবো আকাশে’ শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে গেছে। হাসির খোড়াক হয়ে বাড়তি পাওনা ছিল প্রীতি, রাশিক ও মাহাদীর ‘নান্টু ঘটক! জমকালো ফ্যাশন শোর আগে ছিল নাহিদের ‘মিনি কনসার্ট’। এতে কাহন বাজিয়েছেন নিলয় বসাক।

অন্যদিকে বৈশাখী এ আয়োজনে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন- প্রবাসী পরিষদের সভাপতি ড. শহীদুল হক শানু, অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাজুয়েটস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস পিপলসের কাউন্সিল চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর জলিল, বাংলাদেশি বন্ধু ভøাদিমির কোৎসার ও দারিয়া আলেকসিয়েভনা।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমাজ কল্যাণ সংস্থা দব্রি মিরের পক্ষ থেকে ইফতেখার আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশান্ত ধর, ডা. হাবিবুর রহমান শেখ, কল্লোল দাস, আবদুল্লাহ আল মামুন রাজিব, কাজী শিবলি সুমন, সাদ্দাম হোসেন, তাহিনা তামান্না খালেক প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বড় দায়িত্ব পাওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর জলিলকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া রেড ডিপ্লোমা পাওয়ায় স্বরুপ দেব এবং ডিপ্লোমা পাওয়ায় সজীব খানকে সনদ তুলে দেয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

(বিকে/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৯)