ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

মিল মালিক নয়, সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে ধান কিনতে হবে

২০১৯ মে ১৮ ১৫:২৯:১৮
মিল মালিক নয়, সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে ধান কিনতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : মিল মালিক নয়, সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ধান নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে কিনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, প্রয়োজনে বেসরকারি মালিকানাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাল রফতানি খাদ্য সংকটের ঝুঁকি বহন করে। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধান কাটছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রচারিত সংবাদে জানা যায়, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা। আবার ধান কাটতে একজন কৃষি শ্রমিককে তিন বেলা খাবারসহ মজুরি বাবদ খরচ হয় ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কাটতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন।

কাদের আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বিদেশে চাল রফতানির কথা চিন্তা করছে। আমরা মনে করি, চাল রফতানির পূর্বে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে চাল/খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন হলে দ্রুততার সঙ্গে আমদানি করা সম্ভব নয়। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম জহির, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা আদেলুর রহমান আদেল, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, রেজাউল রাজী চৌধুরী স্বপন, সোলায়মান সামী, দ্বীন ইসলাম শেখ, জাকির হোসেন মৃধা, আনোয়ার হোসেন তোতা, শেখ মো. ফয়জুল্লাহ শিপন, মো. নুরুজ্জামান, ওলিউল ইসলাম প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/মে ১৮, ২০১৯)