ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » খেলা » বিস্তারিত

সবাইকে বুঝিয়ে ওয়ান ডাউন ব্যাটিংয়ে সাকিব

২০১৯ জুন ০৯ ০৮:৫৫:১০
সবাইকে বুঝিয়ে ওয়ান ডাউন ব্যাটিংয়ে সাকিব

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাটিং অর্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পজিশন তিন নম্বর। দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে এই পজিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ দলে সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানই এই পজিশনে ব্যাটিং করছেন। কিন্তু খুব বেশি দিন হয়নি সাকিব আল হাসান এখানে ব্যাটিং করছেন। কয়েক বছর আগেও এই পজিশনে নিয়মিত কেউই ছিলেন না। ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, এনামুল হক ও মাহমুদউল্লাহরা এই পজিশনে ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু কেউই থিতু হতে পারেননি। বলা যায়, এই জায়গা পাকা করে ফেলেছেন সাকিব।

২০১৪ সালে প্রথমবার তিন নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই আউট হন তিনি। ওই ব্যর্থতার তিন বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফের তিন নম্বরে সুযোগ আসে সাকিবের। মাঝে চারটি ম্যাচ ৫ নম্বরে ব্যাটিং করলেও এই সময়ের বাকি ম্যাচগুলোতে তিন নম্বরেই ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের পর এই পজিশনে ব্যাটিং করে দারুণ সফল সাকিব।

তবে তিন নম্বর পজিশনটি নিজের করে নিতে টিম ম্যানেজমেন্টকে দৃঢ়তার সঙ্গে বোঝাতে হয়েছে। সাকিবকে প্রমাণ করতে হয়েছে এই পজিশনে ব্যাটিং করার যোগ্য তিনি। সোফিয়া গার্ডেনসে বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি শেষে একথাই জানালেন সাকিব, ‘হ্যাঁ, সবার কাছে প্রমাণ দিতে হয়েছে যে এখানে আমি ব্যাটিং করার যোগ্য। যদি আমি এই পজিশনে রান না পাই তাহলে সতীর্থরাই বলবে যে আমার পাঁচে ব্যাটিং করা উচিত। এজন্য বলছি এখানে ব্যাটিং করতে সবাইকে অনেক বোঝাতে হয়েছে।’

তিন নম্বরে ব্যাট করে সাকিবের গড় সবচেয়ে বেশি। ১৮ ম্যাচ খেলে গড়ে ৫১.৯৬ রান। অন্যদিকে চার নম্বরে ৩১ ম্যাচে গড় রান ৪১.৬৯। সবচেয়ে বেশি বার ৫ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন সাকিব, সেখানে ১৩৩ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ৩৫.৩৩। ৬ নম্বর পজিশনে ১৫ ম্যাচ ব্যাটিং করে গড় রান ২২.৫০। সবচেয়ে কম ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেছেন সাকিব। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিন ম্যাচে ব্যাটিং করে গড়ে ২০ রান করেছিলেন তিনি।

লম্বা ক্যারিয়ারে সাকিব তিন থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত ব্যাট করেছেন। সবচেয় সফল তিন নম্বরেই। এই পজিশনে ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে সাকিব বলেছেন, ‘এটা ভিন্ন অনুভূতি। নতুন চ্যালেঞ্জ বলা যায়। আমি এখনও এই পজিশনে ব্যাটিং শিখছি বলবো। এখনও বড় কোনও কিছু করে ফেলিনি। এটা মাত্রই শুরু হলো। আমি দলের হয়ে যতটুকু পারছি অবদান রাখার চেষ্টা করছি, সেটা বোলিং-ব্যাটিং যাই হোক না কেন। এটা আমার জন্য দারুণ একটি সুযোগ। আমি এখন উপভোগ করছি তিনে ব্যাটিং করে।’

ক্যারিয়ার জুড়ে অনেক রেকর্ডের মালিক হলেও বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি না থাকার দুঃখ ছিল তার। সেই দুঃখ সোফিয়া গার্ডেনসেই ঘোচালেন তিনি। কিন্তু দল না জেতায় আক্ষেপ তার, ‘নিজের সেঞ্চুরির অনুভূতিটা খুব ভালো, বিশ্বকাপে প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগছে, দল জিতলে আরও ভালো লাগতো।’

(ওএস/পিএস/০৯ জুন, ২০১৯)