ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

জামাত- যুদ্ধাপরাধী প্রশ্নে কাদেরর বক্তব্য মানি না, চাইনা আর কোন ১৫ আগস্ট 

২০১৯ জুলাই ০৩ ১৬:৪২:৩৫
জামাত- যুদ্ধাপরাধী প্রশ্নে কাদেরর বক্তব্য মানি না, চাইনা আর কোন ১৫ আগস্ট 

মানিক বৈরাগী


পরাধীন ভারতবর্ষের পরাধীন বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখাতেন কত শত লেখক বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক নেতা কর্মী। তাঁরা সংগঠিত হয়েছে, স্বপ্ন দেখেছে অমনি মুখথুবড়ে পড়েছে আত্মঘাতী বাঙ্গালি ও আত্মঘাতী লোভী নেতার কারনে। এভাবেই চলে গেলো কতশত বছর।স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো।

বাঙ্গালির সেই আরাধ্য স্বাধীন বঙ্গভূমি বাংলাদেশ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্তাক্ত হতে হতে শত সংগ্রাম শেষে একজনের হাতেই এ জাতি মুক্তি পেলো তার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর হাত ধরেই এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। তার হাতেই বাঙ্গালির মুক্তির রাজনৈতিক ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
এ আওয়ামীলীগ ও তাঁর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেও কত শত বাধা বিপত্তি বিভক্তির পথ ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশ। এ ছাত্রলীগের পতকায় কতশত নেতা হয়েছেন মহিয়ান গৌরবোজ্জ্বল,কত নেতা হয়েছেন নিন্দিত ঘৃণিত।তবুও আপন গতিতে বাঙ্গালি ছাত্রজনতা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিই আস্থা রেখেছে।

আজ ৭০ বছরে পরিনত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাণ মানুষের মনে প্রশ্নাঘাত করেছে।হৃদয় করেছে ক্ষতবিক্ষত।
কি সেই বক্তব্য যে এমন ঘৃণা ও উদবেগ সৃষ্টি করলো।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা আপনাদের কে সেই বক্তব্য জানানোর পূর্বে ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই।তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের চেনা-জানা ওবায়দুল কাদের কি ও কত প্রকার।

কথায় আছে বাঙ্গালি খুব স্মৃতি কাতর ও স্মৃতি ভ্রষ্ট জাতি।খুব সহজেই ভুলে যায় আদর আপ্যায়নে সুখে আয়েশে বা চরম দুঃখে। প্রথমে একটি উদৃতি দিয়ে আপনাদের মগজের জানালা খোলে দিতে চাই তাহলো প্রয়াত আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেমন বীরের জন্মদেয় তেমনি বেইমান মোনাফেকেরও জন্মদেয়।"

আমরা সবাই ওবায়দুল কাদের কে খুব ভালোবাসি আওয়ামীলীগ পরিবারের চরম দুর্দিনের সারথি হিসাবে। আমরা তার কাব্যময় ধীরলয়ে টেনেটেনে করা বক্তব্য খুব আগ্রহ ভরে শুনতাম।শুনে আবেগে গদগদ হতাম।এভাবেই তিনি আমাদের মোহাবিষ্ট করতেন, করেছেন আমাদের প্রাণের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে।
আর জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কতশত বেদনা জারিত নীলকণ্ঠি।তিনি দেশ-জাতির কল্যানে নীরবে হেসে হেসে এসব হজম করেন। তাঁর পিতা জনক মুজিবও হজম করতেন। এই মহত্তম গুণের কারনে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন নিজেকেও বলিদান করেছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদ স্বদেশ পূণর্গঠনে মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কারি ছাত্র সংগঠন সমুহের প্রতি আহবান জানালো তখনি প্রতিবিপ্লবী কার্যক্রম শুরু হলো খোদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভেতরেই। এই প্রতিবিপ্লবী আত্মঘাতী রাজনীতি শুরু করলেন জাতির জনকের খুবই আস্থাভাজন ছাত্রলীগের প্রগতিশীল অংশের মুক্তিযুদ্ধ ফেরত ছাত্রনেতারাই। আবার এই অতিপ্রগতিশীলতা কে সাধারণ ছাত্র সমাজ বিভ্রান্ত হলেও তা গ্রহণ করেনি।এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অবস্থা টান টান উত্তেজনা। একদিকে স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ছাত্র সংঘ, এন এস এফ,আলবদর আলশামসের ঘাতকেরা যেমন ঘাপটি মেরে বসে আছে সুযোগ সন্ধানের আশায়।সুযোগ খোজছে চিনা পন্থি বাম রাজাকার ও প্রতিবিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ও।

স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বিভক্তির ফলে ডাকসুতে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কারি মস্কো পন্থী ছাত্র ইউনিয়ন বিপুল বিজয় লাভ করে। ছাত্রলীগের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মণি গ্রুপে ও সিরাজুল আলম খান গ্রুপ। অথচ এ দুজন সাবেক ছাত্রনেতা ই মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএলেফ গঠনে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছিলেন।

স্বাধীনতার পর মণি দেশপূণর্গঠন করতে চেয়েছিলেন মুজিববাদর্শের মুজিবাবাদের কর্মপদ্ধতির মধ্যদিয়ে।আর সিরাজুল আলম খান ছেয়েছিলেন জার্মানের হিটলারের পদ্ধতির মধ্যদিয়ে। এই বিরোধের ফলে ৭২এর জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলনে বিভক্তি শুরু হয়।সেই বিভক্ত ছাত্রলীগের এক অংশের নাম হয় মুজিববাদী ছাত্রলীগ আর অপর অংশের নাম হয় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী ছাত্রলীগ। মুজিববাদী ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ শহিদুল ইসলাম এবং এম এ রশীদ।

এদিকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী গ্রুপের ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন আফম মাহবুবুল হক এবং শরিফ নূরুল আম্বিয়া।

প্রিয় পাঠিকা আজকের ওবায়দুল কাদের ছিলেন সেই বৈজ্ঞানিক ছাত্রলীগের পরবর্তী নেতৃত্বের কর্মী।
১৯৭৩সালে ডাকসুতে নির্বাচন। নির্বাচনে শক্তিশালী দুটি প্যানেল অংশনেয়। একটি প্যানেল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মুজিববাদী ও মস্কো পন্থী ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ ভাবে।এই প্যানেলে ছাত্র ইউনিয়নের নূহ আলম লেনিন (বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগ নেতা)এবং মুজিববাদী ছাত্রলীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা। আর বৈজ্ঞানিক ছাত্রলীগ একক ভাবে প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্যানেল জমাদেন।বৈজ্ঞানিক ছাত্রলীগের ডাকসু সহ সভাপতি আফম মাহবুবুল হক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম। আর এই প্যানেলের হয়ে হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মুহসিন হল ছাত্র সংসদ প্যানেলের সহ সভাপতি মুশতাক হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের।

উল্লেখ্য সেই আকাঙ্ক্ষিত ডাকসু নির্বাচন বাতিল হওয়াতে কাদের সাহেব কে আর বৈজ্ঞানিক ছাত্রলীগে দেখা যায়নি। ১৯৭৪সন ১৩মার্চ বঙ্গবন্ধু অসুস্থ হলেন।তাঁর শ্বাসনালী দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল প্রচুর।দেশে অনেক চিকিৎসা হলো।তবুও সুস্থ হতে পারছেন না বঙ্গবন্ধু। পিজি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বোর্ড ও জাতিয় অধ্যাপক ডাক্তার নুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু কে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিলেন।বঙ্গবন্ধু বিদেশে যাবেন না। ফুসফুসের রক্তক্ষরণ অবনতির দিকে এগুলে সোভিয়েত রাশিয়া বঙ্গবন্ধু কে সেখানে চিকিৎসা নিতে আহবান করলে বঙ্গবন্ধু রাশিয়া গমন করেন চিকিৎসা নিতে।

বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত রাশিয়া অবস্থান কালিন সময়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কুখ্যাত রাজাকার দবির উদ্দিন প্রধানের কুপুত্র শফিউল আলম প্রধানের হাত ধরে ওবায়দুল কাদের পুনরায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। অবশ্য শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগে অংশগ্রহণ পরবর্তী কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ ফজলুল হক মণির হাত ধরে।শেখ শহিদুল ইসলাম কে ও চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা পুনরায় ফিরিয়ে আনেন শেখ ফজলুল হক মণি।

শহিদুল ইসলাম ও প্রধানের মধ্যে শুরু থেকেই মতদ্বৈততা চলছিলো।কাদেরর যোগদানের ফলে সেই মতদ্বৈততা আরো বেগবান হয়।এই শফিউল আলম প্রধান গ্রুপের অন্যতম নেতা ওবায়দুল গং ছাত্রলীগের প্রায় সভায় শেখ ফজলুল হক মণি বিরোধী বক্তব্য শ্লোগান দিতো। এবং দোষ চাপাতো শেখ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত রাশিয়া চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ৪এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ৭জন ছাত্রলীগ নেতাকে মুহসিন হলে ধরে এনে রাত দুটায় গেস্ট রুমে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ঘটান খোদ শফিউল আলম প্রধান।আর মুহসিন হল ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
৪ঠা এপ্রিল সোভিয়েত রাশিয়া থেকে ফেরেন শেখ কামাল। কামাল সকালে খাবার টেবিলে এই দুঃসংবাদ শুনে নাস্তা অর্ধেক রেখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন।

কামাল নিহত ছাত্রলীগ নেতাদের দেখে দুঃখে বিহবল হন।তিনি এই অপরাধের সাথে জড়িত সকল কে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন। এর কয়েকদিন পর ৭ এপ্রিল শফিউল আলম প্রধান সহ ১৫জন প্রধান গ্রুপের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গ্রেফতার হন। আর শফিউল আলম প্রধানের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল আওয়ামীলীগ কার্যলয়ে ১০এপ্রিল থেকে ১২এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানের মুক্তির দাবিতে অনশন করেছিলো আজকের ওবায়দুল কাদের।যার খবর ও বিবৃতি হক কথা, গণকন্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় বড় আকারে প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত রাশিয়া থেকে দেশে এলে অনশন ভঙ্গকরেন এই গ্রুপ।

উল্লেখ্য শেখ শহিদুল ইসলাম পরবর্তী তে জাতিয় পার্টির নেতা ও এরশাদের শিক্ষা মন্ত্রী হোন।প্রধান কে জিয়া জেল থেকে মুক্তিদেন এবং জাগপা নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তাজুল ইসলাম বিএনপি জাতিয় পার্টি হয়ে আবার বিএনপি নেতা হন। ওবায়দুল কাদের এখন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

১৯৭৫র পর ওবায়দুল কাদের কে জিয়া গ্রেফতার করেছিলেন আর শফিউল আলম প্রধান কে মুক্তি দিয়েছিলেন ৩০হাজার রাজাকারদের সাথে। তিনি পরে মুক্তিপান। পঁচাত্তর পরবর্তী ছাত্রলীগের হাল ধরেন।ডাকসু তে কয়েকবার নির্বাচন করেছিলেন কিন্তু ছাত্র সমাজ ওবায়দুল কাদের কে গ্রহণ করেনি। ওনি মান্নার কাছে দুবার পরাজিত হন। সেই মান্নাকে আওয়ামীলী যোগাদান করানোর ওকালতি ওবায়দুল কাদের করেন।

মান্না আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়েও গেলেন।আওয়ামীলীগ, দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ সরকার পথনের যা যা পন্থা অঅবলম্বনের জন্যে যতপ্রকার ষড়যন্ত্র করা দরকার সবই করেন। ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলে গ্রেফতার হন।আদালত থেকে মুক্তি পেলে জেলগেইটে ফুল হাতে অভিবাদন জানানো বিচিত্র রাজনীতির রাজনৈতিক নেতা ওবায়দুল কাদের।

বিগত ফখরুদ্দিন মঈনউদ্দীন এর সময়ে মাইনাস টু ফর্মুলার অংশ হিসাবে ওবায়দুল কাদের ও জড়িত বলে অনেকে ধারনা করেন।জেলে যাওটাও চুক্তিভিত্তিক বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল নামক কথা আদায় সভায় খুব হাসি খুশিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিয়মিত স্টেইটমেন্ট দিতো। মাইনাস টু ফর্মুলায় শুধু ওবায়দুল কাদের না আরো অনেক প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতাও অংশ নিয়েছিলেন।এই সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়ার সাথে শেখ হাসিনা’র জীবনেরও সংশয় ছিলো। অভিজ্ঞ শেখ হাসিনা তখন এক বক্তব্যে বলেছিলেন আওয়ামীলীগের যেসব নেতা গ্রেফতার হয়েছেন আপনারা নিজেরা আমার উপর সব দায় চাপুন।এবং এই এদের হাত থেকে নিজেকে আগে রক্ষা করুন।

বর্তমান সরকারের বিগত দ্বিতীয় মেয়াদ কালিন সময়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নিবেদিত কর্মীকে স্থানিয় আওয়ামীলীগের কোন্দলের কারনে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে র‍্যাব কে ব্যবহার করে হত্যা করাহয় তখন ওবায়দুল কাদের এই অযাত অন্যায্য হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলো। তার এই বেফাঁস কথার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কাদেরের কথার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর সমালোচনা, সাবেক নির্যাতিতরা এর প্রচুর সমালোচনা করেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন।এই অধম নির্যাতিত ছাত্রনেতাও কলম ধরতে বাধ্য হয়েছিলো বিবেকের তাড়নায়। যদিওবা ওবায়দুল কাদের নিজেই ছাত্রলীগের দু-দুবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সভাপতি সম্পাদক।

আজকের এই লেখা লিখতে বাধ্য হয়েছি কারন তিনি এমন স্পর্শকাতর হৃদয়ে আঘাত করেছেন যা মোটেও মেনে নেয়ার মতো নয়।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি,বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন আওয়ামীলীগে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যারা এনেছিলো,বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার, আওয়ামীলীগের চরম দুর্দিনের নির্যাতিত নিপিড়ীত নেতা কর্মীরা খুশিতে শেখ হাসিনার প্রশংসায় মুখরিত তখনি নাখোশ হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখনি আওয়ামীলীগ কে সঠিক মুক্তিযুদ্ধের প্রগতির ধারায় ফিয়ে আনার উদ্যোগ নেন এর কয়েকদিন পর ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা কে উদ্যোগ বিতর্কিত করতে বিপরীত পন্থা বেচে নেন।

সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। বিগত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগ একটি কার্যকর বিতর্ক মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের ধারায় জনতাকে নির্বাচন উপহার দেয়ার কথা বলেন, এবং আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা মোনয়নে দুর্দিনের নিবেদিত নেতা কর্মীদের নির্বাচনে মূল্যায়নের কথা বলেন এর ক'দিন পর ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কে আওয়ামীলীগ স্বাগত জানাবে।

ফলে আওয়ামীলীগের ভেতর তিনি কোন্দলে জড়িয়ে পড়লেন।দলে বিভক্তি তৈরী করলেন।
এই বিভক্তির কারনে সারাদেশে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও নৌকার ভরাডুবি হলো। আওয়ামীলীগের কোন্দল কে আরো স্থায়ী রুপ দিলো। সম্প্রতি সারাদেশে আওয়ামীলীগের ভেতর অনুপ্রবেশ কারীদের কারনে বিভিন্ন ধরনে অপরাধ ও অস্থিরতা বিরজ করছে।দেশ ও রাজনীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।ফলে দেশে বিদেশে আওয়ামীলীগের সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে তখন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনে বিএনপি জামাত,যুদ্ধাপরাধীদ, তাদের সন্তানদের বিতাড়নের ঘোষণা দিলেন। তখনি অসুস্থ ওবায়দুল কাদের সিংহের মতো তাজা হয়ে গেলেন।

শেখ হাসিনা চিন সফরের প্রাক্কালে ৩০ জুন ধানমন্ডির সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিক ডেকে এমন একটি ঘোষণা দিলেন যাতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামীলীগ কে যেনো মানুষ আর বিশ্বাস করতে না পারে। যা বিগত ২১বছর আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে তাকে এক বক্তব্যে ভন্ডামিতে পরিনত করেছেন।

ওবায়দুল কাদের হাতে যে সব ব্যক্তি জামাত বিএনপি, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তান আওয়ামীলীগে যোগাদান করেছে তারা যেনো বিতাড়িত না হন। অথচ এদের হাতেই আজ আওয়ামীলীগ সরকার শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।আন্তর্জাতিক মহলে শেখ হাসিনার উজ্জল মুখ আজ বিমুর্ত হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সম্প্রতি ফেনি তে নুসরাত হত্যা কান্ডের অধিকাংশ আসামীর সাথে ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন জেলার জামাত বিএনপির নাশকতা মামলা সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যাক্তি ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদানের সংবাদ দেখা যায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে যোগাদানের হাস্যোজ্জ্বল ছবি ভেসে আসে। শুধু তা না বিভিন্ন রাষ্ট্র সমাজ বিরোধী মাদক মানব পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ছবি দেখা যায়। এসব আড়াল ও তাদের রক্ষা করার জন্যেই কি প্রধানমন্ত্রী চিন সফরের প্রাক্ষালে সভাপতির কার্যালয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের নামে এদের বৈধতা প্রদানের জন্যে এ প্রক্রিয়া বলে আমরা মনে করি। এমনিতেই সারাদেশ এখন অযাচিত আওয়ামীলীগ। সেখানে আবার কিসের সদস্য সংগ্রহ।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি একরাম কে ফেনী শহরে একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্যে একরামুল হক কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে, গুলি করে,গাড়ি সহ আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।এ হত্যাকান্ডের অংশনেন আওয়ামীলীগের বিবদমান গ্রুপের সাথে যোগদান কারি বিএনপি জামতের অনুপ্রবেশকারীদের বিশাল একটি অংশ।যা ওবায়দুল কাদেরর ভাষায় কাউয়া, হাইব্রিড। তাহলে বলুন কাদের সাহেব জামাত বিএনপি কিভাবে আপনি জায়েজ করবেন।

মহেশখালীর পৌরসভার মেয়র মকসুদ, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান।সে তৃণমুল পৌরসভার কাউন্সিলর, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পদক সালামত উল্লাহ কে হত্যার উদ্যেশ্যে রাতের আধারে হামলা করে। আর মকসুদ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়।নিশ্চয় আপনার পশ্রয়ে। অথচ মকসুদের গোটা পরিবার ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। র‍্যাবের হাতে ইয়াবা সহ ঢাকার গ্রেফতার হয়েছে তার সন্তান ও ভাইরা ভাই। মকসুদের সাথে ওবায়দুল কাদের অনেক ঘনিষ্ঠ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।প্রশ্ন হচ্ছে এই রাষ সমাজ বিরোধীদের আপনি আশ্রয় পশ্রয় দেন।

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ছাত্রলীগের এইট মার্ডার, হাটহাজারীর অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলা সহ অস্ত্র চোরাকারবারি জামাত ক্যাড়ার নজরুল কে ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতিক সহ জায়েজ করে নেয়া আপনার দায়িত্ব ছিলো।তার সাথেও আপনার হৃদ্ধতা পূর্ণ সম্পর্কের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।

ইয়াবা গডফাদার হিসাবে খ্যাত আব্দুর রহমান বদির সাথে কাদের সখ্যতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন ঘুরে ফিরে। আবার সাবেক জামাত নেতা বর্তমান আওয়ামীলীগ এমপি নদবীর স্ত্রী, যুদ্ধাপরাধী মুমিনুল ইসলামের কন্যা রিজিয়া নদবী মহিলা আওয়ামীলীগ বানানোর জন্যে কাদেরের যে তৎপরতা, পরবর্তীতে পত্রপত্রিকায় খবর রটে গেলো তখন আপনি সভাপতির কার্যালয় কে ব্যবহার করলেন সাংবাদিক ডেকে এনে তার পক্ষে সাফাই গাইলেন।মানুষ জানতে চায়, জামাত শিবিরের হাতে নির্যাতিতরা প্রশ্ন করে দুর্দিনের ওবায়দুল কাদের এত কি মধু পায় এসব যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবেরর কাছে।

চোখে বাঁধে,দৃষ্টি কটু লাগে যখন কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দলিয় ও রাষ্টিয় সফরের পথে অবকাশ যাপনে দলিয় এমপি যথা সময়ে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় সামান্য টুকু দেরি না করে এমপির গায়ে হাত তোলা, চড়থাপ্পড় মারা। লোকে বলে হটাৎ বিশাল ক্ষমতা হজম হতে দেরি হয়েছে।তাই বলতে চাই এসব জায়েজের জন্যে কি ৩০ তারিখেরর বক্তব্য? কাদের যেসব যুক্তিদিলেন তা শিশু সুলভ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মহিলা আওয়ামীলীগের এক নেত্রীর যৌন ইঙ্গিত পূর্ণ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হয়। কাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই তিনি কি জানেন না জার্মানি ও ইতালিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের সেই সব দেশে তারা সহ তাদের বংশধরেরা যে রাজনৈতিক ভাবে এখনো নিষিদ্ধ। তাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যন্ত নিষিদ্ধ। বিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে বসনিয়া হারজেগোবিনায় যুদ্ধাপারধীদেরও একি অবস্থা। তো আপনি যাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে আওয়ামীলীগ কে ব্যবহার করে যে মিশনে নেমেছেন তার পশ্রয়ে যুগের পর যুগ জামাতের দখলে তাকা চট্টগ্রাম কলেজ মহিসন কলেজ পুণঃ উদ্ধারের জন্যে লাশ নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে যায়। তাও আবার নদবীর শ্বশুর রিজিয়ার পিতা।

বাঁশখালীর এই যুদ্ধাপরাধীর জানাজা কে ইস্যু করে লাশের রাজনীতি করতে চেয়েছিলো। ফলশ্রুতিতে কি হলে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কে ছুরিকাঘাতে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হলো।
এই হলো অনুপ্রবেশকারীদের ভূমিকা ও আসল উদ্যেশ্য।

সারাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের প্ররোচনায় আওয়ামীলীগ সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে নির্যাতন চলছে তানিয়ে তো কাদেরের কোন মাথাব্যথা দেখলাম না। নেত্রী যখন শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা দিলেন আপনি কেন অধৈর্য হলেন?কি এমন উদ্ভেগ ও আবেগ? জামাত শিবিরের হাতে নির্যাতিত রা জানতে চায়? জানি সঠিক উত্তর দিতেও আপনি একটি শব্দ উচ্চারণ করতে প্রায় ৫মিনিট সময় নিবেন।আর এই ৫মিনিটে শেখ হাসিনা একটি কর্ম সম্পাদন করেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারী কর্মীদের সাথে যৌন ইঙ্গিত পূর্ণ ছবি বিরোধী পক্ষ খুব রসালো করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। এসব লক্ষণের ফলে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়না বরং ম্লান হয়ে পড়ে।

ওবায়দুল কাদের কি ভুলে গেছে ১৯৯২-৯৩সনের দিকে জামাত গোলাম আজম কে আমির বানানোর ফলে সারাদেশে কি অবস্থা হয়েছিল? শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, কবি সুফিয়া কামাল প্রয়াত হলেও এখনো বেচে আছেন শহীদ জয়া বেগম মুস্তারি শফি আরো অনেকে। মুক্তিযুদ্ধের এই বাংলায় জমাত শিবিরের ঠাই হয়না,তাদের গ্রহণ করেনা।

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৭৪থেকে ৭৫সাল পর্যন্ত। সব অপরাধী খন্দকার মুস্তাক ও অপরাপর আওয়ামীলীগের হাত ধরে দলে দলে বাকশালে যোগদান করা শুরু হয়েছিল। আর যোগাদান কারিরা সারা দেশে দলিয়ে কোন্দল এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো তা সেই সময়ের মুরুব্বীরা আমার থেকে ভালো লিখতে পারবে।

একদিকে যোগদানকারীদের অত্যাচার, অপরদিকে জাসদ, মাও বামদের গুপ্তহত্যা। বেড়েছে চোরাচালান, পাটকল ও পাটের গুদামে আগুন, ব্যাংক লুট এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছিলো। ফলে পাকিস্তান ফেরত সামরিক বেসামরিক আমলা ও সৈনিকেরা জাসদের গণবাহিনী, সর্বহারা পার্টি যৌথ প্রচেষ্টার কুফল ১৫আগস্ট সংঘটিত হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে খন্দকার মুস্তাক,জিয়া ও অপরাপর নেতাদের কারনে ১৫আগস্ট সংঘটিত হলো। ৭৪-৭৫ এ আওয়ামীলীগ এ যোগদান করা বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধীর কি ৭৫র পর আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত ছিলো প্রশ্ন রাখতে চাই জনব কাদের।

সাম্প্রতিক বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল,বিমান কেন্দ্রিক স্পর্শকাতর অপরাধ, শেখ হাসিনার বহন কারি বিমানে ফুয়েল ফুরিয়ে যাওয়া,অঅনুমোদিত খাবার সরবরাহ, নাটবল্টু খোলে যাওয়া, পাইলট বিনা পাসপোর্টে কাতার চলে যাওয়াসহ পাইলট অভিজ্ঞতা ছাড়া এসব কি তারই লক্ষ্মণ নয় কি।

তো পরিশেষে জনাব ওবায়দুল কাদের কে জানাতে চাই খোদা না করুক আপনার হাত ধরে আমরা আর কোন ১৫আগস্ট দেখতে চাইনা। আশাকরি আপনি আপনার উদ্যেশ্য প্রণোদিত, রাষ্ট্র, সরকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ ও পিতা মুজিবের আদর্শ ও চেতনা বিরোধী বক্তব্য দ্রুত পরিহার করুন। না হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩লক্ষ নির্যাতিত মা বোনের বিদেহী আত্মা এই আওয়ামীলীগ কে ক্ষমা করবেনা। অভিশপ্ত হবে আওয়ামীলীগ।

৭৫র পরবর্তী সামরিক, সাম্প্রদায়িক জামাত বিএনপি জাতিয় পার্টির হাতে নিহত নির্যাতিত সকল ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ হতে অভিসম্পাত দিতে খোদা রাজি হবেন।
এই বাংলাদেশ শেখ মুজিবের পরে শেখ হাসিনা কে বিশ্বাস করে আপনাকে নয়। আপনার জামাত জঙ্গি যুদ্ধাপরাধী জায়েজের পক্ষে দেয়া বক্তব্য দ্রুত প্রত্যাহার না করলে ওরাই এই জামাত শিবির বিএনপি যুদ্ধাপরাধী রাই আর একটি আগস্ট ঘটাতে বেশি সময় নিবেনা।আপনি এদের টার্গেট না।টার্গেট শেখ মুজিবের দুই তনয়া।

পরিশেষে পাঠিকারা ইতি টানার পুর্বে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাতিদের ষড়যন্ত্র ও অপরাধ থেকে বাংলাদেশ কে রক্ষা ও শেখ হাসিনা, রেহেনার জন্যে নিরাপদ বাংলাদেশ হোক এই আমাদের প্রার্থনা। আমিন।

ঋণ স্বীকার

১-বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস-ড.মোহাম্মদ হান্নান
২- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ -এম এ ওয়াজেদ মিয়া
৩-বিভিন্ন পত্রিকার আর্কাইভ
৪-ম ন আবচার।

লেখক : কবি ও নব্বইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা, কক্সবাজার।