ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » পাশে দাঁড়াই » বিস্তারিত

টাকার অভাবে কি যাবে সাদিয়ার জীবন!

২০১৯ জুলাই ১৯ ১৬:৫৪:৩৪
টাকার অভাবে কি যাবে সাদিয়ার জীবন!

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : সকাল হলেই পোশাক পড়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতো আট বছর বয়সী সাদিয়া আক্তার। প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাঝে মাঝে না খেয়েই স্কুলে যেতো সে। এজন্য মা-বাবার কাছে বকাও খেয়েছে।

কয়েকমাস আগেও হই-হুল্লোড়ে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সহপাঠীদের মাতিয়ে রাখতো। সাদিয়ার চঞ্চলতায় মুগ্ধ হয়ে পাড়া প্রতিবেশীরাও তাকে খুব আদর করতেন। কিন্তু সেই মেয়েটির জন্য এখন সবার চোখে অশ্রু! কারণ গ্ল্যান্ড (গলায়) ক্যান্সারে আক্রান্ত সাদিয়া! তবে মেয়েকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন দরিদ্র বাবা-মা। কিন্তু অর্থের কাছে অসহায় বোধ করছেন তারা। একমাত্র মেয়ের এমন করুণ অবস্থা দেখে ভেঙ্গে পড়েছেন বাবা-মা।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের আনকুটিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের হোটেল শ্রমিক রিয়াজ উদ্দিন ও গৃহবধূ বিথী আক্তার দম্পতির একমাত্র মেয়ে সাদিয়া আনকুটিয়া নঈম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার এমন অসুখের কথা শুনে কাঁদছেন সহপাঠি, শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা সবাই।

স্কুলে যাওয়া বা খেলাধূলার বদলে যন্ত্রণায় কাতর সাদিয়ার বেশিরভাগ সময় কাটছে হাসপাতালের বিছানায়। হাসিমাখা মুখখানি মলিন হয়ে গেছে। এখন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শিশুটি। অর্থাভাবে থেমে যেতে বসেছে সাদিয়ার জীবন। বর্তমানে শিশুটি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ তৌফিকের তত্ত্ববধায়নে রয়েছে।

শিশুটির বাবা রিয়াজ উদ্দিন জানান, শুরুরদিকে জ্বর হতো সাদিয়ার। দুই পাশের গলা ফুলে যেত। নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সেরে উঠতো। এভাবে চলে প্রায় চার বছর। প্রায় তিন মাস আগে হটাৎ করেই আবারও অসুস্থ হলে সাদিয়াকে ঢাকায় ‘বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেড’-এ নিয়ে যান। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গ্ল্যান্ড (গলায়) ক্যান্সার ধরা পড়ে সাদিয়ার। মেয়ের এমন রোগের কথা শুনে ভেঙ্গে পড়েন বাবা-মা। চিকিৎসক কোমো দেওয়ার কথা বললে অর্থাভাবে সাদিয়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তারা। এরপর আবারও সে গুরুতর অসুস্থ হলে পুনরায় ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে শিশুটিকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে পরপর তিনটি কেমো দেয়া হয়।

এদিকে সাদিয়ার পুরোপুরি সুস্থ হতে প্রয়োজন আরও প্রায় ১৫ লাখ টাকা-এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক। একজন হোটেল শ্রমিক বাবার পক্ষে যা যোগাড় করা কোনমতেই সম্ভব নয়। চিকিৎসার খরচ যোগাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালী মানুষের সহায়তা চেয়েছেন শিশুটির পরিবার।

সাদিয়ার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে তার বাবা রিয়াজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে- ০১৩১০৯০৫৩৩৩ (বিকাশ পার্সোনাল)।

(এসএইচ/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৯)