ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » খেলা » বিস্তারিত

মেসির শাস্তি আরও বাড়ল

২০১৯ আগস্ট ০৩ ১৫:০৬:৫৯
মেসির শাস্তি আরও বাড়ল

স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বছর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে হয়তো আর মাঠে নামা হবে না আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির। এবারের কোপা আমেরিকায় বেশ কিছু বিষ্ফোরক মন্তব্য করায় তাকে বড়সড় শাস্তিই দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল)। যার ফলে পুনরায় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপাতে আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে মেসির।

এবারের কোপা আমেরিকা জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলেন লিওনেল মেসি। যেকোনো অর্থে চেয়েছিলেন নিজের জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে দক্ষিণ আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরতে। কিন্তু তা পারেননি। বিদায় নিয়েছেন সেমিফাইনাল থেকে, টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তৃতীয় হয়ে।

শিরোপা জেতার আনন্দে ভাসতে না পারলেও, টুর্নামেন্টের মাঝে বিষ্ফোরক কিছু মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন মেসি। বিশেষ করে সেমিফাইনাল ম্যাচে হারের পর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মেসি। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

এরই সরাসরি দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের (কনমেবল) দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করে মেসি বলে বসেন, টুর্নামেন্টে এখন যাই করা হচ্ছে, তা মূলত ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানোর জন্যই। কাকতালীয়ভাবে এবারের কোপার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক ব্রাজিলই।

তবু একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এমন মন্তব্য করা মোটেও ভালো চোখে দেখেনি কনমেবল। ধারণা করা হয়েছিল যেমনভাবে মুখ খুলেছেন, তাতে দুই বছরের জন্যও নিষিদ্ধ হতে পারেন মেসি। তবে পাঁচবারের ‘ব্যালন ডি'অর’ জয়ী খেলোয়াড়ের ওপর এতটা কঠোর হয়নি কনমেবল।

প্রাথমিকভাবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লাল কার্ডের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং ১৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল মেসিকে। আর এবার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ এবং সঙ্গে ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।

এ শাস্তির কারণে আগামী সেপ্টেম্বরে চিলি ও মেক্সিকোর বিপক্ষে অক্টোবরে জার্মানির বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলতে পারবেন না মেসি। তবে তিনি চাইলে আগামী সাত দিনের মধ্যে কনমেবলের এ শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে হারের পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি দাবি করেন, ফাইনাল খেলার যোগ্য ছিল আর্জেন্টিনাই। মেসিও বাজে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ তুলেন। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। সেখানে ঘটে আরেক বিপত্তি।

করিন্থিয়াস এরেনায় চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় পাওলো দিবালার বাড়ানো বল মাঠের মধ্যে রাখতে গিয়ে চিলির ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় মেসির। মেডেল বারবার ধাক্কা মারতে থাকলেও মেসি ছিলেন নির্লিপ্ত।

তবু মেডেলকে ফাউল করতে উৎসাহিত করার অপরাধে এবং মাথা দিয়ে আঘাত করার ইঙ্গিত করায় মেডেলের সঙ্গে মেসিকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতলেও রাগে ক্ষোভে তৃতীয় হওয়া দলের সদস্য হিসেবে পদক নিতে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই উঠেননি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।

সেখানেই শেষ হয়নি। ক্ষুব্ধ মেসি এরপর করেন বিস্ফোরক এক মন্তব্য। যে মন্তব্যের কারণেই শাস্তির মুখোমুখি হলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসি দাবি করেন, এই আসরে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আগে থেকেই সবকিছু ঠিক করা।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০১৯)