ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

এডিসের উৎসস্থল ধ্বংসে বছরব্যাপী কর্মসূচি নিতে হবে

২০১৯ আগস্ট ০৯ ১৬:৫২:১৭
এডিসের উৎসস্থল ধ্বংসে বছরব্যাপী কর্মসূচি নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংসে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে বছরব্যাপী কর্মসূচি নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে মশা নিধনের বিকল্প নেই। নাগরিকদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গু বর্তমানে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের নিচতলায় শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা সেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘দেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক-নার্সরা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ সংশ্লিষ্টরা রাতদিন সত্যিকার অর্থেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, পরিশ্রম করে চলছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনও তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়া হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া রোগীরা এখানকার চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ানদের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘জ্বর হলেই যথাসময়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেরি করে আসলে রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন পরীক্ষা না করিয়ে বাড়ি যাবেন না। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়লে বাড়ি যাবেন না। তবে রক্ত পরীক্ষার পর যাদের ডেঙ্গু ধরা পড়েনি তারা বাড়ি যেতে পারেন। ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল। পবিত্র ঈদুল আজহার ঈদের ছুটিতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা চলমান থাকবে, ইতোমধ্যে সে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ রোগীদের সুবিধার্থে ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রচলিত নিয়মে খোলা থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আগামী ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, দন্তসহ সব ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অর্থাৎ অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপকরা বিনামূল্যে রোগী দেখবেন। ওই দিন ৩০ টাকা মূল্যের টিকেটটিও বিনামূল্যে দেয়া হবে। গতবছর ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন ৪৪৮২ রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। আশা করি, এ বছরও জাতীয় শোক দিবসে প্রায় ৫ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করবেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেঙ্গু সেল পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহাবুবুল হক, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, চিফ এস্টেট অফিসার ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. নাজমুল করিম মানিক প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৯)