ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত

স্বাস্থ্যশিক্ষা তৃণমূলে নিতে মন্ত্রীকে দুদকের চিঠি

২০১৯ আগস্ট ২১ ২২:৩৭:৪৮
স্বাস্থ্যশিক্ষা তৃণমূলে নিতে মন্ত্রীকে দুদকের চিঠি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: স্বাস্থ্যশিক্ষা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনার মন্ত্রণালয়ের তথা সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। দেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রতীয়মান হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা সেবাখাতের কার্যক্রম যেভাবে স্পষ্ট হচ্ছে, অপ্রিয় হলেও সত্য স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ম্রিয়মান। আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মূলভিত্তি হচ্ছে ‘প্রতিরোধ প্রতিষেধকের চেয়ে উত্তম’। এ কথাও সত্য যে, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগ মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমে কিছু তথ্য প্রচার করে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ইস্যুতে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশের মানুষকে পরিবেশগত কারণেও সংক্রামক রোগের প্রকোপসহ বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচারে সর্বস্তরে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের নিবিড় বা বহুল প্রচার ও প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে, এই বিশাল জনসংখ্যার দেশে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারের জন্য অন্তত উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা সেল স্থাপন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। শুধু সেল স্থাপন নয়, তাদের চার্টার অব ডিউটিজে সুনির্দিষ্ট কর্ম বণ্টন করা উচিত।

এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তৃণমূল পর্যায়ের যেখানে জনসমাগম ঘটে, এমন স্থান যেমন- গ্রোথ সেন্টার, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, নাটক, গানসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

এভাবে সচেতন করা গেলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে পরবর্তী প্রজন্ম অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। সর্বোপরি জনস্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করা গেলে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস পেতে পারে বলে কমিশন মনে করে।

দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মনে করে, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ায় যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি বা হয়রানির কথা শোনা যায়, তা বহুলাংশে কমে আসবে।

কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২১, ২০১৯)