ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশিদের শনাক্তের পর ফেরত পাঠানোর নির্দেশ

২০১৯ অক্টোবর ০১ ১৬:৩১:৪৪
উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশিদের শনাক্তের পর ফেরত পাঠানোর নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশি ও অন্যান্য বিদেশিদের শনাক্তের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভারতের উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি আসামে হওয়া জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) মতোই বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে যোগীর এই নির্দেশকে।

মঙ্গলবার দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক এক চিঠিতে সব জেলা পুলিশের প্রধানকে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বাংলাদেশিদের শনাক্তের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে যোগীর এই নির্দেশকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে পুলিশের শীর্ষ ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বিতাড়িত করার এই নির্দেশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের পাশপাশি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সম্প্রতি আসামের নাগরিক পঞ্জিকা থেকে দেশটির প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে বাদ দেয়া হয়েছে। আসামের বিতর্কিত এই নাগরিক পঞ্জিকা ঘিরে ভারতে এবং ভারতের বাইরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে রাজ্যের সব জেলার উপকণ্ঠে ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বস্তি অঞ্চলগুলোতে চিরুনি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি ও তার সব নথি যাচাই-বাছাইয়েরও আদেশ দেয়া হয়েছে।

বিদেশিদের জাল নথি প্রস্তুত করতে সহায়তা করছে; এমন সরকারি কর্মচারীদের শনাক্ত করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। বাংলাদেশি বা অন্যান্য বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ নেয়া হবে। রাজ্যের সব নির্মাণ কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকের পরিচয়পত্র প্রমাণ হিসেবে রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আসামে প্রকাশিত এনআরসির প্রশংসা করেন। ওই সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশেও একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আসামের এনআরসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার প্রকাশের পুরো ব্যবস্থাপনা দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে। কারণ আসামে কারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কে বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছিলেন তা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। যারা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একদিন আগে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত আসামের বাসিন্দা ছিলেন; তারা যদি তা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে এনআরসিতে তাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এনডিটিভি।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০১, ২০১৯)