ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

সৎ ও ব্যতিক্রমধর্মী এমপি অসীম উকিল

২০১৯ অক্টোবর ০৩ ২৩:৪৪:০৫
সৎ ও ব্যতিক্রমধর্মী এমপি অসীম উকিল

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : সৎ, ন্যায় নীতিবান, সাহসী ও ব্যতিক্রমধর্মী এম.পি অসীম কুমার উকিল। আপাদমস্তক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রজীবন থেকে জয় বাংলা স্লোগান ধারন করে নব্বইর দশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন। আদর্শীক রাজনীতিতে বলিয়ান হয়ে দীর্ঘপথ পারি দিয়ে আজ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশ রতœ শেখ হাসিনা নেত্রকোনা-৩ আসনে তার হাতে তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি এই আসনে এম.পি নির্বাচিত হবার আগে নির্বাচনী সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেক সফলতার স্বাক্ষর দেখিয়েছেন তিনি।

নন্দিত কথা সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হুমায়ুন আহমেদের নিজ হাতে গড়া তার জন্মস্থান কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। এই বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ আসাদুজ্জামান। বয়সে তরুণ হলেও এই বিদ্যাপীঠের ভার বহন করার যোগ্যতা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে চলছেন। আসাদুজ্জামান বলেন, আমি অবাক ও বিস্মিত হয়েছে যে অসীম কুমার একজন এম.পি ।

তিনি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মোটর সাইকেল যোগে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে ছুটে আসবেন একেবারেই কল্পনা করতে পারিনি। সম্প্রতি সকাল সাতটার দিকে তিনি নিজেই আমাকে ফোন করে বললেন, আধা ঘন্টার মধ্যে আমি আপনার বিদ্যালয়ে আসছি। এজন্য বাড়তি কোন আয়োজন করার দরকার নেই, শুধু আপনি নিজে উপস্থিত থাকবেন। আমি হাত মুখ ধুয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে যেতেই এম.পি অসীম কুমার উকিল এসে উপস্থিত হলেন। দেখলেন সবকিছু ঘুরে ঘুরে। কিভাবে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রীক উন্নয়ন করা যায়। প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কথা শুনে তিনি খুবই খুশি। তবে এম.পি.ও ভূক্তি না হওয়ার বিষয়ে তিনি আক্ষেপ করেছেন।

তাছাড়া হুমায়ুন আ‏হমেদ স্যারের ভাই ড. জাফর ইকবাল স্যারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এই প্রতিষ্ঠানের এম.পিও ভূক্তি সহ অন্যান্য উন্নয়ন এবং হুমায়ুন আহমেদ স্যারের জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদ স্যারের জীবদ্দশায় বলতেন আমার এই প্রতিষ্ঠানে যদি কোনদিন কোন এম.পি মন্ত্রী আসেন সে ক্ষেত্রে যাতে গাড়ীর বহর নিয়ে না আসেন। আমি এমনটি চাই। এম.পি অসীম কুমার উকিলের একা একা খুব সকালে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে যাওয়া যেন হুমায়ুন আহমেদ স্যারে মনের ইচ্ছাটাই পূরণ করতে পেরেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাজরীনা তৈয়ব বলেন, এখানে যোগদানের আগে মনে মনে অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আওয়ামীলীগের অনেক বড় নেতা আবার এম.পি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোথায় হোচট খাই। কিন্তু এখানে যোগদান করে দেখলাম হাসপাতালের রোগীদের খাবার সহ বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখতে আমাদের অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি হাসপাতালে চলে আসেন। এরকম সৎ নির্ভীক ও কর্মঠ এম.পি আসলেই ব্যতিক্রম। সকল মহলের সহযোগিতা পেলে তিনি এই এলাকাকে মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারবেন।

মোজাফরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নেত্রকোণা যাত্রা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, সত্যিই আমরা ভাগ্যবান একজন সৎ, আদর্শবান ও কর্মীবান্ধব এম.পি পেয়েছি। যার নেশা আর পেশা শুধু রাজনীতি আর এলাকার উন্নয়ন। তার পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য যদি দলের নেতাকর্মীরা মেনে চলি তাহলে এই এলাকাটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপ নেবে। কেন্দুয়া ঝংকার শিল্পীগোষ্ঠীর আহ্বায়ক গীতিকার মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, অসীম কুমার উকিল একজন আদর্শবান নেতা।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানীত দলের যে কোন নেতাকর্মী অসীম কুমার উকিলের দেখানো পথে হাটলে সে আলোর সন্ধান খোঁেজ পাবে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালী বলেন, এম.পি অসীম কুমার উকিল সত্যিই একজন ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব। তিনি কথা এবং কাজের মিল রেখেই চলছেন বুঝাযায়। সময়কে অনেক গুরুত্ব দেন। যদি সকাল ১১টায় কোন প্রোগ্রাম থাকে তা হলে তিনি ঠিক ১১টার আগেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। এটি একটি বড় গুণ।

তাছাড়া নেতাকর্মীদের কোন কাজের জন্য এখন আর পয়সা খরচ করে ঢাকায় গিয়ে দেখা করতে হয় না। তিনি নিজেই প্রতি মাসে ৩/৪ বার নির্বাচনী এলাকায় ছুটে আসেন সব মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতে। অনেক সময় মোবাইল ফোনে কথা শুনেও কাজের সমাধান করে দেন তিনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোঃ বজলুর রহমান বলেন, নীতি আদর্শের দিক দিয়ে এম.পি অসীম কুমার উকিল অনেক এগিয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামীলীগের রাজনীতি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চান না তিনি। তার মতো আদর্শীক নেতা বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এম.পি অসীম কুমার উকিল একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। তিনি কেন্দুয়ায় মডেল মসজিদ ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের পর ওই মসজিদের নির্মান কাজ প্রতিনিয়ত যে ভাবে দেখভাল করছেন তাতে তার রাজনীতির আদর্শই ফুটে ওঠে। তার কর্মকান্ডে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ খুশি। কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র ও নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ আসাদুল হক ভূঞা বিভিন্ন মঞ্চে বক্তৃতায় এম.পি অসীম কুমার উকিলের রাজনৈতিক আদর্শ, গুণাবলি ও ক্ষমতার পরিধি নিয়ে যে সফলতার গল্প তুলে ধরেন তা সকল মহলে প্রশংসা কুড়ায়।

তিনি বলেন, আমাদের ভাগ্য অনেক ভালো, অসীম উকিলের মতো একজন সৎ আদর্শবান কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতাকে এ.পি হিসেবে পেয়েছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গীতিকার মোঃ নূরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, অসীম কুমার উকিল দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন তার উদাহরণ তিনি নিজেই। এমন সাহসী ও আদর্শীক নেতার বর্তমান রাজনীতির মাঠে খুব বেশি প্রয়োজন। তার পরিকল্পনায় যদি আমরা বাধাগ্রস্থ না করি এবং তার নাম ব্যবহার করে যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থের ফায়দা লুটার চেষ্টা না করি তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথেই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছবেন এম.পি অসীম কুমার উকিল। সেক্ষেত্রে কেন্দুয়া আটপাড়া হতে পারে সারা বাংলাদেশে একটি উদাহরণ। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন সবাই মিলে আমরা শেখ হাসিনা তথা এম.পি অসীম উকিলের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করি।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০১৯)