ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » শিক্ষা » বিস্তারিত

ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে ধোঁয়াশা

২০১৯ অক্টোবর ২০ ১৭:১৬:১৯
ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে ধোঁয়াশা

স্টাফ রিপোর্টার : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান যথা সময়ে নির্বাচনের কথা বললেও অভিভাবকরা বলছেন এখনই নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হবে।

অভিভাবকদের দাবি, ২ নভেম্বর জেএসসি এবং ১৭ নভেম্বর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। ১৪ অক্টোবর থেকে চলছে এসএসসি টেস্ট, নভেম্বরে শুরু হবে এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষা। এ অবস্থায় নির্বাচন কার্যক্রম চললে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হবে।

অভিভাবকরা জানান, কলেজের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণ্যিজ্যসহ সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানো এবং সব পরীক্ষা শেষে নির্বাচন করতে হবে। অভিভাকরা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাচন স্থগিত রাখতে অভিভাবকরা একটি আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফওজিয়া আক্তার বলেন, শিক্ষা বোর্ডের কাছে জবাব পাঠানো হয়েছে। যথা সময়ে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, নির্বাচন উপলক্ষে গত ১-৩ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। ২৫ অক্টোবর ভিকারুননিসার চার শাখায় একযোগে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাথমিক শাখা থেকে একজন, মাধ্যমিক শাখা থেকে দুজন, কলেজ শাখা থেকে দুজন প্রতিনিধি এবং শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনজন সদস্য নির্বাচন করা হবে। এছাড়া একজন সংরক্ষিত সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন। ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে নির্বাচিত এ সদস্যরা মূলত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন। উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, সিলেবাস, রুটিন সাজানোর বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

অভিভাবক প্রার্থী আব্দুল মজিদ সুজন বলেন, ভিকারুনিসায় যথাসময়ে নির্বাচন হোক আমরা সে প্রত্যাশা করি। নির্বাচনকে ঘিরে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে একরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রার্থীরা প্রত্যাশা করেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০১৯)