ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মিডিয়া » বিস্তারিত

‘ভারতের রেজিস্টার্ড কোম্পানি সেদেশে বিজ্ঞাপন প্রচার করতেই পারে’

২০১৯ অক্টোবর ২৪ ১৭:১৯:০৯
‘ভারতের রেজিস্টার্ড কোম্পানি সেদেশে বিজ্ঞাপন প্রচার করতেই পারে’

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের রেজিস্টার্ড কোম্পানি দেশটির টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার করলে সেটি বাংলাদেশের আইনের আওতায় পড়ে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সম্মেলন কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবু, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্টের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজা, সারাবাংলা ডটনেট ও জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিভিশন শিল্পের সমস্যা অনেক দিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। তবে ইতোমধ্যে এ শিল্পের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। যারা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের পারমিশন পেয়েছে তাদের অনেকবার আমরা হুঁশিয়ার করেছি। বিদেশি চ্যানেলগুলোকেও তারা জানিয়েছে। ফলে দেশের যেসব বিজ্ঞাপন বিদেশি টেলিভিশনে চলে যাচ্ছিল সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি আবার ভারতের নিবন্ধিত। তাদের ভারতেও কারখানা রয়েছে। সেগুলো ভারতের রেজিস্টার্ড কোম্পানি।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের রেজিস্টার্ড কোম্পানি যখন বিজ্ঞাপন দেয় সেটি আমাদের আইনের আওতায় পড়ে না। এখানে কিছু জটিলতা রয়েছে। এরপরও আমারা ব্যাখ্যা চেয়েছি। অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি চ্যালেনের মাধ্যমে দেশে বিজ্ঞাপন প্রচার কিছুটা কমেছে তবে একেবারে বন্ধ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা করছি। এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে সম্প্রচার মাধ্যম এখনো ডিজিটাল হয়নি। সম্প্রচার মাধ্যমে ডিজিটাল করার জন্য আমরা কাজ করছি।’

বিদেশি চ্যানেল যেন ক্লিন ফিড দেয় এ জন্য আমাদের আরও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। যাতে দেশে আইন বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে আমরা যখন আইনের কড়াকড়ি করতে চাই তখন এদের যে একটা দর্শক বেইজড তৈরি হয়েছে সেটি কাজে লাগিয়ে ডাউনলিংক করা কোম্পানিগুলো ব্ল্যাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করে। এরপরও দেশের আইন অনুযায়ী অবশ্যই এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০১৯)