ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » আইন আদালত » বিস্তারিত

কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়া বাস চালকের সহকারীর জামিন

২০১৯ নভেম্বর ১৭ ১৫:৩৭:৫৩
কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়া বাস চালকের সহকারীর জামিন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীকে চাপা দেয়া বাসচালকের সহকরী বাচ্চু মিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি দুই হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম গতকাল (শনিবার) তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।

অপরদিকে বাচ্চু মিয়ার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত শুক্রবার বাচ্চু মিয়াকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

গত ২৭ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে গিয়ে কৃষ্ণা চৌধুরীর পা পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচ থেকে তার পা কেটে ফেলেন।

পুলিশ জানায়, অফিস শেষে বাসে উঠতে বাংলামোটরে সড়কের পূর্ব পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ওই সময় শাহবাগমুখী ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস ফুটপাতে উঠে গেলে তার নিচে চাপা পড়েন কৃষ্ণা রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেয়া হয়। সর্বশেষ সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি দ্রুতগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের সহকর্মী কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়। উনার বাঁ পায়ে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে অন্য সহকর্মীদের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখান থেকে পাঠানো হয় পঙ্গু হাসপাতালে।

ঘটনার পরদিন হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন কৃষ্ণার স্বামী রাধে শ্যাম চৌধুরী। এর আগে ট্রাস্ট পরিবহনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তিনি মামলা করেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৯)