ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » বিনোদন » বিস্তারিত

‘প্রয়োজনে ৯০ দিন চলচ্চিত্র শিল্প বন্ধ থাকবে’

২০১৯ নভেম্বর ২০ ১৫:২০:১৮
‘প্রয়োজনে ৯০ দিন চলচ্চিত্র শিল্প বন্ধ থাকবে’

বিনোদন প্রতিবেদক : বিপর্যস্ত চলচ্চিত্র শিল্পের ব্যবসায়িক খরা থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় এই নিয়ে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটি বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। ইতোমধ্যে তারা কিছু নিয়ম-কানুনও তৈরি করেছেন। এখানেই তারা শেষ করেননি। ঠিকভাবে তাদের প্রবর্তিত নিয়মগুলো পালন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য একটি মনিটরিং টিমও গঠন করেছে।

এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে লগ্নীর অপচয় রক্ষা করা, শিল্পীদের যথাযথভাবে শিডিউল রক্ষা করা এবং সুষ্ঠুভাবে যাতে একটি ছবি নির্মিত হতে পারে ও বাজার থেকে কিভাবে লগ্নীর অর্থ ফেরত আনা যায় ইত্যাদি।

প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেছেন, যদি কোনো শিল্পী প্রযোজক পরিবেশক সমিতির প্রবর্তিত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে নব্বই দিনের জন্য চলচ্চিত্র শিল্প বন্ধ করে দেয়া হবে।

চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য প্রযোজক পরিবেশক সমিতি যেভাবে কঠোর হওয়ার কথা বলছে, সেভাবে অন্য একটি বিষয়কে নিয়ে ভাবছে না। সেটা হলো - দর্শক সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে না পারলে তাদের সব উদ্যোগই ভেস্তে যাবে। দর্শকের এখনকার বেশি মনোযোগ হলো এনড্রয়েড ফোন, টেলিভিশন এবং ইউটিউবে। প্রশ্ন হচ্ছে, দর্শক যে উপায়েই চলচ্চিত্র বিনোদন উপভোগ করা করুক না কেন, তার মূলই হলো প্রযোজক পরিবেশকদের হাতে। টেলিভিশনে লাগামহীনভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটা নিয়ন্ত্রণ আনা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে প্রযোজকদের। কোটি টাকার একটি ছবি মাত্র অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে রাইট বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই রাইটের বলে কিছু ব্যবসায়ী টিভি চ্যানেল এবং ইউটিউবে ছবিগুলো বিক্রি করছে। দর্শক নেটে অল্প কিছু এমবি খরচ করে ছবিটি দেখে নিচ্ছে। লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, চলচ্চিত্র দেখার ব্যাপারে দর্শকের আগ্রহ আছে। হঠাৎ হঠাৎ করেই মনের মতো ছবি পেলে দর্শক সিনেমা হলে ছুটে আসছেন। এ ব্যাপারেও প্রযোজক পরিবেশক সমিতিকে আগ্রহী হতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দর্শকের আগ্রহকে সমুন্নত রাখতেই হবে।

(এম/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৯)