ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ

২০১৯ ডিসেম্বর ০৩ ১৬:১১:০৩
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বিশেষ প্রতিনিধি : বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে বিদ্যুতে মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না মন্তব্য করে বিদ্যুতের মূল্য নতুন করে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। নিয়োগ, ক্রয়, উৎপাদন, সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জেনেছি গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কোনো প্রকার বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও ৫৩ হাজার কোটি টাকা পিডিপির কাছ থেকে নিয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বেই আজ জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করলে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার ব্যবস্থা হবে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বর্তমান সময়ে যথাপযুক্ত নয়।

তারা আরো বলেন, দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎখাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না।

অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বিআরসি বিদ্যুতের অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ, বিতরণ, ব্যয় কমানোতে কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। এরা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণশুনানির নাটক করে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিলে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু মুষ্টিমেয় বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে উৎপাদন না করেও বসিয়ে বসিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে টাকা দিচ্ছে। এ মুনাফা-লুটপাটের অর্থ জোগান দিতেই বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনের আশ্রয়ও যাতে নেয়া না যায় সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ৮ বার লোকসানের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু লোকসান কমেনি।

বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতে লোকসানের মূল কারণ পিডিবির সিস্টেম লস, সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। কিন্তু সরকার তা দূর করতে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, চাল, সয়াবিন তেল, আদা, রসুনসহ নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ যখন দিশেহারা, ঠিক তখন সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা জনগণকে আরও দুর্ভোগে ফেলবে।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯)