ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড? কেন?

২০১৯ ডিসেম্বর ১২ ১৪:২৬:১৮
প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড? কেন?

রণেশ মৈত্র


বিগত ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, এর প্রায় বিদায়লয়ে বিশিষ্ট জাতীয় দৈনিক “জনকণ্ঠ” তার লাল কালিতে মুদ্রিত ব্যানার হেডিং এ লিখেছে “প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে।” বিষয়টির বিস্তারিত জানতে ক্ষুদ্র একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে কৌতুহল হলো এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম পূরো খবরটি।

প্রকাশিত ঐ খবরটিতে বলা হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীর চাপ আর বহন কারা সম্ভব হচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে। তাই এই বিশাল চাপ সামলাতে দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইনের খসড়া জমা হতে পারে মন্ত্রণালয়ে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জনকণ্ঠকে বলেছেন,“আমরা আইনের খসড়া তৈরীর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কাজ অনেকটাই করে ফেলেছে। তাদের একটি ঘরোয়া সভা আছে খসড়া নিয়ে। এটি করেই হয়তো আগামী মাসে (ডিসেম্বরে) খসড়াটি জমা দেবে মন্ত্রণালয়ে অধিদফতরের পক্ষ থেকে। জমা দিলেই আমরা আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে দ্রুত ক্যাবিনেটে দিয়ে দেব। যেভাবে কাজগুলো শেষ করতে চাই সেভাবে এগুলে আগামী অর্থ বছরেই প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা বোর্ড কার্য্যকর করতে পারব।

অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ. এফ. এম মঞ্জুর কাদির জনকণ্ঠকে বলেছেন, এস এস সি বা এইচ এস সি তে সব বোর্ড মিলিয়ে যে পরীক্ষার্থী হয় তার চেয়ে বেশী পরীক্ষার্থী হয় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায়। তাই পরীক্ষার জন্য অবশ্যই একটি শিক্ষা বোর্ড থাকা উচিত। এই পরীক্ষা নিতে গিয়ে আমরা প্রচ- চাপে রয়েছি। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরীক্ষা সময় বিজিএস সহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তখন আমাদের প্রধান অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। হাজার হাজার কাজের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়াটা খুব কষ্টকর।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলে, আসলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থাকবে। এ পরীক্ষা তুলে দেওয়া হবে না। কারণ খোঁজ নিলে দেখা যাবে সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ডের মত দেশেও প্রাথমিক পরীক্ষা আছে। মান সম্মত পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রাথমিকে প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষা রাখতে হবে। আর এই পরীক্ষা রাখার জন্য একটি বোর্ড জরুরী হয়ে পড়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও পরীক্ষা শিঘ্র বাতিল হবে না। তাই পরীক্ষা চালু রাখতে হলে কি প্রক্রিয়ায় শিক্ষা বোর্ডকে কার্য্যকর করা যায় তার পথ বের করতে এখন কাজ করছেন কর্মকর্তারা।

বোর্ডের জনবল নিয়োগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এ এফ এম মঞ্জুর কাদির বলেছেন ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট এখন আর কার্য্যকর নেই। অর্থাৎ ইউনিটের কাজ নেই। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড হলে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট বিলুপ্ত করে এর জনবল শিক্ষাবোর্ডে একীভূত করা হবে।

খসড়া তৈরী কাজের জন্য জড়িত এক কর্মকর্তা শিক্ষা বোর্ড গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলছিলেন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩০ লাখেরও বেশী পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার চাপ সামলাতে পারছে না অধিদফতর। এস.এস.সি. ও এইচ. এস.সি’তে যেখানে ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার জন্য বোর্ড আছে ১০টি, সেখানে প্রাথমিকে ৩০ লাখের জন্য বোর্ড একটিও নেই।

জানা গেছে, এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বোর্ড গঠনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পক্ষ হতে সুপারিশ আসার পর পরই কাজ সুরু হয়। ৩০ লাখেরও বেশী শিক্ষার্থীর পরীক্ষার জন্য কোন বোর্ড না থাকা শিক্ষার মানের জন্য সুখকর নয় বলে দ্রুত বিষয়টিতে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি না থাকায় জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না বলেও সংসদীয় কমিটি মত দেয়। কমিটি শিক্ষার মান বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে তাদের কাজে গতিশীল হওয়ারও সুপারিশ করেছে। তারপরই অধিদফতর শিক্ষা বোর্ড গঠনে একটি প্রস্তাব পাঠালে তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

২০১৩ সালে ২৬,০০০ স্কুল জাতীয়করণ হওয়ায় এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩,০০০ এর বাড়লেও অধিদফতরের লোকবল আছে আগের মতই। স্কুল ও শিক্ষকের দেখভাল করাই একটি অধিদফতরের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সময়মত অনেক কাজই করা সম্ভব হয় না। এরপরও আবার থাকে পরীক্ষার দায়িত্ব।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ একরামুল কবীর বলেন, ৩০ থেকে ৩২ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার বোঝা। অধিফতরের উপর দিলে আসলে তা নেয়া কঠিন। একটি বিকল্প চিন্তা করতেই হবে। বোর্ড হতে দেরী হলে কমপক্ষে বর্তমানের দশ বোর্ডকে এ পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া যায়। তাতেও সুফল পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এ শিক্ষাবিদ।

কিন্তু অপ্রয়োজনীয় একটি বোর্ড নতুন করে গঠন করা হবে কোন? কেন নতুন নতুন আমলা কর্মচারীর প্রাধান্য সৃষ্টি করা হবে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে? বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা, উপরোক্ত বর্ণনা অনুসারে, প্রাথমিক সমাপনী ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা পরীক্ষা ও তার বিপুল সংখ্যাধিক্য। এই সংখ্যাধিক্য এমনই যে তা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ১০টি বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যার চাইতেও বেশী।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা যদি উঠিয়ে দেওয়া যায় তা হলে নিশ্চয়ই সকল ঝঞ্ঝাট মুক্ত হওয়া সম্ভব। নতুন আর একটি বোর্ড প্রাইমারী এডুকেশন বোর্ড নামে গঠনেরও যৌক্তিক কোন কারণ থাকে না। এই পরীক্ষা তুলে দেওয়া হবে বলে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীও বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছিলেন।

বাংলাদেশের শিশুদের শিক্ষা কোন নিয়মে পরিচালিত হওয়া উচিত তা নিয়ে সরকারিভাবে যেন একটা ছেলে খেলা চলছে বেশ অনেকদিন যাবদ। বহুদিন ধরে শুনলাম, প্রাথমিক সমাপনী হবে অষ্টম শ্রেণী পর্য্যন্ত পড়ার পর। এই ব্যবস্থা বহুদেশে প্রচলিত আছে এবং অষ্টম শ্রেণী সমাপন করার পর কোন বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণেরও দরকার করে না। বেশী বেশী পরীক্ষা নিলেই তার শিক্ষার বা শিক্ষার মানের কোন উন্নয়ন আদৌ ঘটে না-যেমন ঘটে না দ্বিতল ত্রিতল দালান কোঠায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি স্থানান্তর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নিজ নিজ জমিতে বহুতল বিশিষ্ট দালান-কোঠা নির্মাণের মধ্যে।
আমাদের নিজ নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা কি? প্রাথমিক পর্য্যায় পর্য্যন্ত আমরা পূরাপূরি কাঁচা ঘরে পড়েছি। শিক্ষকগণ ছিলেন উচ্চমানের এবং তাঁরা শিক্ষাদানও করতেন গভীর দরদ ও আন্তরিকতা দিয়ে। তাঁদের বেতনও ছিল নাম মাত্র। প্রাথমিক পর্য্যায় তখন শেষ হতো চতুর্থ শ্রেণী শেষ হওয়ার সাথে সাথে। কোন বোর্ডের অধীনে কোন সমাপনী ব্যবস্থাও তখন ছিল না। বৃটিশ আমলেও ছিল না পাকিস্তান আমলেও না।

১৯৭২ এ যখন দেশবাসী মরণপণ লড়াই করে স্বাধীন সার্ববৌম বাংলাদেশ গঠন করলেন তখন আমরা সবাই যেন অতিমাত্রায় স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে গেলাম। শুরু হলো আমলাতন্ত্রের দাপট কম ছিল তা নয়। তবে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি আমলাদের বৃহদংশ বিশেষ ভূমিকা পালন করায় তাঁরা যেন সেই ক্ষমতা ও অধিকারবলে সর্বজ্ঞ সেজে গেলেন। এক শ্রেণীর হঠাৎ গজে ওঠা রাজনীতিক নানা স্বার্থে ঐ আমলাদের পৃষ্ঠপোষক সেজে গেলেন। ধীরে ধীরে প্রকৃত, ত্যাগী, দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদেরকে যেন কেলির গুঁতা দিয়ে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হলো। আজ তা আরও ফুলে ফলে বিকশিত হয়েছে।

এই ফাঁকে আমলাতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ এবং আমলাতন্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া কিভাবে বাংলাদেশে ঠাঁই করে নিলো সেই প্রক্রিয়ার দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।

সম্ভবত: সামরিক আমলাতন্ত্রের নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর দেশের মহকুমাগুলি তুলে দিয়ে বা সেগুলির মান উন্নীত করে জেলায় রূপান্ত করলেন। পাঠনীতিতে আমরা পেলাম ১৭ জন জেলা প্রশাসকের স্থলে ৬৪ জন জন জেলা প্রশাসক; ১৭ জন পুলিশ সুপারের বদলে ৬৪ জন এস.পি. এবং ৫ জন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আগের একজনের স্থলে) এবং ২/৩ জন করে এডিশনাল এস.পি. (একজন ডি এস পির স্থালে)। ফলে অসংখ্য উচ্চপদের আমলা, তাঁদের মানসম্মত বেতন, অফিস, বাসভবন, যানবাহন প্রভৃতিও হু হু করে বাড়তে থাকলো।

অপর অবৈধ সামরিক শাসক হোসায়েন মোহাম্মদ এরশাদ পয়দা করলেন উপজেলা পদ্ধতি প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরনের নামে। তৈরী হলো উপজেলা কমপ্লেক্স, ভবনাদি এবং যানবাহন। স্বাধীন ভিয়েতনামে (আমাদের চাইতে দীর্ঘ মেয়াদী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা প্রাপ্ত) প্রথম দিকে মন্ত্রীরা চলতেন বাইসাইকেল চড়ে কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তার দিব্যি এবং চোখ ধাঁধাঁলো ব্যতিক্রম। মন্ত্রীতো দূরের কথা। এম. পি. উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউ এন ও প্রমুখের গাড়ীর (কতটা তাঁদের দরকার সেটা ভাবার বিষয়) দিকে তাকালেও বুঝা যায় সে সব গাড়ী কত দামের।

আর একটি প্রশাসনিক উন্নয়ন ইদানীং ঘটে চলেছে। একের পর বিভাগ সৃষ্টি। অতীতের তিনটি বিভাগের পরিবর্তে ইতো মধ্যেই আমরা পেয়েছি ১০ টি বিভাগ। ফলে অন্তত: বাড়তি সাতজন বিভাগীয় কমিশিনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশিনার, পুলিশের ডি.আই.জি, এডিশনাল ডি.আই.জি. তাঁদের অফিস, বাসস্থান যানবাহন প্রভৃতি। শিক্ষাক্ষেত্রেও তার প্রবল ঝাপটা লাগলো একের পর এক শিক্ষাবোর্ড গঠন হতে শিক্ষায় প্রতিটি সমাপনী স্তরের জন্য এক একটি বোর্ড এবং সেখানেও বিপুল সংখ্যক আসলা কর্মচারী, গাড়ি-ঘোড়ার প্রাচুর্য্য, প্রাচুর্য্য তাঁদের মান সম্মত আবাস স্থলেরও।
আমলাদের সংখ্যাবৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতার সাথে যদি চোখ ফেরানো যায় শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে চোখে অবশ্যই পড়ে মান মানের চূড়ান্ত অবনতি।

এত ধাপের পরীক্ষার অনুকূলে প্রধান যুক্তিই হলো শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যস্ত রাখা। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা হয় না দেশে পয়দা হলো লাখ লাখ নানা মানের নানা পর্য্যায়ের কোচিং সেন্টার। আ্র এই কোচিং সেন্টারই হলো যেন ভাল ফলাফল অর্জনের পথে গ্যারান্টি। ভাল ফলাফল মানে জি.পি.এ. ফাইভ, গোল্ডেন ফাইভ প্রভৃতি নামক সোনার হরিণ। আর তার সাথে যেন দৌড়ে পালাচ্ছে শিক্ষার মান।
অনেক বলা হলো এবারে শেষ করি।

এক. দিবারাত্র পড়ার বোঝা দিয়ে আটকে রাখা নয়-ব্যবস্থা করুন মান ও দায়িত্ব বোধ সম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীর সকল পর্য্যায়ে এবং ক্লাসরুম পড়া (কোটিং সেন্টার নয়)।

দুই. পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা হ্রাস।

তিন. মাধ্যমিকের আগে কোন বোর্ড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

চার. অষ্টম শ্রেণী পর্য্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর নির্ধারণ তবে তাদের সমাপনী পরীক্ষা কোন বোর্ড গ্রহণ না করে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির শিক্ষকদের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক।

পাঁচ. সকল পর্য্যায়ের শিক্ষার জন্য সঙ্গীত, নৃত্য শিক্ষা (ডিগ্রী পর্য্যন্ত) বাধ্যতামূলক করুন।

ছয়. সকল স্তরে শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানাবিধ ক্রীড়া শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করুন।

এই ছয় দফা বাস্তবায়ন করে ২৫ বছর দেখা হোক তার ফলাফল। আমি নিশ্চিত বর্তমানের চাইতে অনেক উন্নত মানের ছাত্র-ছাত্রী দেখা যাবে শিক্ষার্থীর মান উন্নয়নের ফলে।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।