ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

অতীত থেকে বর্তমান

আ. লীগ ও বিতাড়িত আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিকের অবস্থান

২০১৯ ডিসেম্বর ২২ ১৫:৪৬:৫১
আ. লীগ ও বিতাড়িত আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিকের অবস্থান

মানিক বৈরাগী


আজকের লেখা টি বঙ্গবন্ধুর সময়ে অধিক প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পঁচাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন সময় প্রেক্ষাপটে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও জোট রাজনীতি নিয়ে। সাথে আওয়ামীলীগের বর্তমান অধিক ক্ষমতাধর, আস্থাভাজন নেতাদের রাজনীতি তুলনামূলক তুল্যমূল্য।

যেমন ধরুন ড.কামাল হোসেন তিনি এখন বিএনপির তারেক রহমানের অঘোষিত আইন উপদেষ্টা। তিনি মহাজোটের নেতা।তিনি বঙ্গবন্ধুর অধিক আস্থাভাজন ও স্নেহ ধন্য। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও তাঁর ভাই উভয়ই বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক সদস্যের ন্যায়। আবার জাসদ রবের আসম রব ৯৬র আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী।

বিএনপির কয়েক সিনিয়র নেতা সহ বর্তমানের আওয়ামীলীগ ও সরকারের অধিক ক্ষমতাধর ও আস্থাভাজন নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থা ও অবস্থান নিয়ে একটু লেখার বাসনা করেছি মাত্র। কার গত ২০ও ২১আওয়ামীলীগের জাতিয় সম্মেলন হলো।এই সম্মেলনে তৃণমূল কর্মীর প্রত্যাশা, প্রাপ্তি কি পূর্ণতা পেলো না অতিতের ন্যায় একি ভুলের পুনরাবৃত্তি হলো তা খতিয়ে দেখা। আপনি আপনারা এখন আওয়ামীলীগ করেন না খুব ভালো কথা। আপনি ও আপনারা আওয়ামীলীগ কে পছন্দ করেন না তাও আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর সবাইকে আওয়ামীলীগ করতে হবে এমন কোন কথা নাই।এ বিষয় টি আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগ ভিন্ন মত কে সম্মান করেছে যুগে যুগে।

আপনি আপনাদের আওয়ামীলীগ এর বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক প্লাট ফর্ম, জোট ও দল গঠন করতেই পারেন।এটিও আপনার সাংবিধানিক অধিকার।স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও আওয়ামীলীগ বিরোধী বাম ডান জোট বরাবরই ছিলো, আছে থাকবে। আপনি নিয়মিত আওয়ামীলীগ এর চুন থেকে পান খসলেই সমালোচনা করবেন, বেশি বেশি করবেন। এটিও আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বান্দিক অবস্থান।

আপনি আওয়ামীলীগ কে ডিঙ্গিয়ে নিজের মতাদর্শের রাজনৈতিক জোট প্লাটফরম গঠন করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন। এটি খুবই স্বাভাবিক। এসব রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। প্রশ্ন হচ্ছে
আওয়ামীলীগ বিরোধী জোট আপনারা কে কাকে কাদের নিয়ে করবেন? এই যায়গায় যদি দেখি দেশ বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে যাদের নেতিবাচক অবস্থান,দেশের শান্তি প্রিয় মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান হয় তখোন আপনার সাথে আমার আর সহমত পোষণ করার প্রশ্নই আসেনা।
আপনি আপনার যদি নিছক ক্ষমতায় যাবেন যেনো তেনো প্রকারে, যাদের অতিত বর্তমান অবস্থা রাষ্ট্র বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের সম্পর্ক, জড়িত, বাস্তবায়ন কারি, খুন, সন্ত্রাস, মাদক, চোরাকারবারি অভিযোগ রয়েছে।

তাদের সাথে আপনি জোট করে, বঙ্গবন্ধুর সাথে অতিত সম্পর্ক চাউর করে নিজেকে আদর্শিক, ন্যায়বান, মুক্তিযোদ্ধা, শুধু শেখ হাসিনার জন্য আপনি আওয়ামী বিরোধী পক্ষ।এসব কথায় যদি মানুষ কে বলে বেড়ান, তাতেও আমার আপত্তি নেই। কিন্ত আপনার জোটে আপনার সাথে যখন দেখি একি মার্কা বা প্রথিক নিয়ে জাতির পিতার হত্যাকারিও নির্বাচন করছে,যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসর ও নির্বাচন করছে।তখোনই আপনি জ্ঞানপাপী হলেন, জাতির সাথে প্রতারণা করলেন।আপনার সাথে যখন দেখি ১৫ আগষ্ট, ৩রা নভেম্বর, ১৭আগষ্ট, ২১আগষ্টের খুনি, ইন্দন দাতা,আশ্রয় পশ্রয় দাতারা আপনার জোট সঙ্গী, সফর সঙ্গী, নির্বাচন সঙ্গী, লুট্ররা, সাম্প্রদায়িক শক্তি তখোন আর আপনাদের বিশ্বাস করার চাইতে দেশবাসী র আপনাদের প্রতিরোধ করা ন্যায় সঙ্গত।

তখোন আপনি আপনারা আর গণতান্ত্রিক বলেন, সমাজতান্ত্রিক বলেন, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী বলেন।সব কথার কথা, ভণ্ডামি, ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। আমি বলছি না আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি আপনাদের থেকে অনেক উচুতে। হ্যাঁ আপনি মাজে মাজে কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন জাতির কাছে মিড়িয়া কে ব্যবহার করে।আমি অশ্বিকার করছি না, কিছু অভিযুক্ত লোক আমাদের আওয়ামীলীগ এ আছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সমেত আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।

এ বিষয়ে উদাহরণ দেই ধরুন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন এর জামাতা।তিনিও বঙ্গবন্ধুর সময়ে কবি জসিম উদ্দিনের সহায়তায় আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে বঙ্গবন্ধু জোট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিলেন, সাথে আইন বিষয়ক ব্যাক্তিগত সচিব বানিয়েছিলেন। তিনি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাষ্ট্র বিরোধী রাজনীতির সাথে আতাত করে পাটকলের বারোটা বাজিয়েদেন। দায় মাথায় নিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান একমাত্র সেনাপতি যার জন্য একটি মাত্রপদ সৃষ্টি করেছিলেন উপপ্রধান সেনাপতি। এইপদ জিয়া পরবর্তী নিজেই বিলুপ্ত করেন। আজোবধি এই পদ আর কোন শাসক গোষ্ঠী এইপদ পুণঃরায় সৃষ্টি করেননি। জিয়া বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরের বিষয় আপনারা ভালো জানেন।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, তিনিও আওয়ামীলীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধুর সময়ে যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালের অন্যতম কৌশলি ছিলেন। তার পরবর্তী অবস্থান আপনারা ভালো জানেন।এবং এই সময়ে এসে তিনি আইনজীবী হলেন যুদ্ধাপরাধীদের। সেই সময়ের তার দায়ভার আওয়ামীলীগ কেই বহন করতে হচ্ছে। এবং তিনিই সবচেয়ে বেশি আওয়ামীলীগের সমালোচক। তেমনি ভাবে ব্যারিস্টার মওদুদ ও।

এখন আপনারা ও সেই সুযোগ সুবিধাভোগীদের অন্যতম। তো আপনারাই আওয়ামীলীগ কে অধম করেছেন। তো এ কথা বলতে চাই, আওয়ামীলীগ নাহয় অধম, আপনি উত্তম হবেন না কেন?
আর যেসব আওয়ামী নেতাদের আপনারা উদাহারণ দেন আমরাও তাদের সমালোচনা করি। এরা কিন্তু আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক নন। এরা আশ্রয়ের নামে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা সজাগ থাকি। কিন্তু আপনারা বঙ্গবন্ধুর সময়ে যারযার অবস্থানে থেকে নীতিনির্ধারক ছিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা আওয়ামীলীগ থেকে উত্তম না হয়ে নিকৃষ্ট হতে যাবেন কেন?আওয়ামীলীগ, শেখ হাসিনা যা পারেনি তা আপনাদেরই পারতে হবে। আপনারা আদর্শিক গণতন্ত্র চর্চা না করে দেশটা কে বিশ্ব জঙ্গিবাদী রাজনীতির দিকে কে ঠেলে দিতে পারেন না।শুধু ক্ষমতারোহণের জন্য বিশ্ব মাফিয়া, অস্ত্রচোরাকারবারী সাথে আতাত করতে পারেন না, সহায়তা নিতে পারেন না। বর্তমান সংসদ জাতিয় সংসদ নির্বাচন কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না। আপনি আপনাদের মধ্য দিয়ে যখন এসব হতে দেখি তখোন আপনারা ভেকধারী ভণ্ড প্রতারক, রাজনৈতিক প্রতারক ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনাদের যখন এমন অবস্থানে অবস্থান করেন তখন প্রতিহত প্রতিরোধ করা ফরজ হয়ে যায়। দেশের মানুষ এখনো আপনাদের প্রতিরোধ গড়েনি এটাই আপনাদের জন্য মঙ্গল। তো আপনারা হইলেন মুখে শেখ ফরিদ বগলে ইট।কথার আড়ালে ছলচাতুরী। গণতন্ত্রের নামে আখের গোচারি।

এখন আসাযাক বর্তমান বর্তমান আওয়ামী নেতাদের কর্ম ও তৃণমূল কর্মীর বাসনা অতিতের আওয়ামী নেতা ও বর্তমান বিরোধী পক্ষের নেতাদের সাথে তুল্যমূল্য করাযাক। আওয়ামীলীগ থেকে নিজে নিজে বিতাড়িত বর্তমানে আওয়ামীলীগ বিরোধী জোট নেতা, এক নেতা একজইন্যা পার্টির নেতাদের কিছু উদাহরণ তুলে ধরলাম যারা কথায় কথায় আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটাতে হুংকার ছাড়ে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জন্য উদগ্রীব ওৎ পেতে থাকে, ষড়যন্ত্র তৈরি করে সভাসমাবেশ করে তাদের অধিকাংশই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপকার ভোগী, সুবিধা ভোগী, অতিব, জরুরি বিশ্বাসী আস্থাভাজন নেতা ও চামচা। এমন কি অনেকেই শেখ হাসিনা সরকারের ও বিভিন্ন সময়ের মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রীর পুত্র ও বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরর বর্তামানে আওয়ামীলীগ বিরোধী অবস্থানের কথা উল্লেখ করলাম।

এখন আসা যাক বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামীলীগের অসম্ভব প্রভাবশালী, ক্ষমতাধর, ভীষণ আস্থাভাজন নেতা, মন্ত্রী, এমপি আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন, মানবিক, সামজিক, শিক্ষা প্রগতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র ও সরকার কে বিপদে ঠেলেদেয় বারবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সহায়তা করে তারা, তাদের অবস্থান আবারও আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারা হয়, দেশি-বিদেশি চক্রান্তের কারণে আল্লাহ না করুক কোন বিপদ ঘটে তাদের অস্থান উপর্যুক্ত লোকজনের মতো হতে কতক্ষণ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাকি তাঁর স্ত্রী, পুত্র কন্যাদের বলতেন জনকের কোন বিপদ ঘটে তখন মুস্তাকের কাছে সহায়তা চায়, তার কাছে যেতে। উপর্যুক্ত কথাটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনেক বার তাঁর বক্তব্যে বলেছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে রাজনীতি বিজ্ঞান সেই বিশ্বাসের কথা বলেনা।কারণ বিশ্বাস ও কর্মপন্থা একনয়। বঙ্গবন্ধু যদি রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার সময়ে বিশ্বাস আস্থা এসব ভাববাদী বিষয় গুলো কে এড়িয়ে রাজনীতি বিজ্ঞানের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন তখন হয়তো খন্দকারের প্রতি অগাধ আস্থা না রেখে তার কর্ম মূল্যায়নের পদ্ধতি কে অনুসরণ করে মুল্যায়ন করতেন তাহলে পনের আগস্ট নাও ঘটতো।

সেই সয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বুঝা কঠিন নয় যে কর্মের দায় ও দায়িত্বের প্রতি বিশ্বাসের চেয়ে কর্মের দায় ও দায়িত্বের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন হয়তো এমন ঘাতকদের অপরাধ করার সুযোগ হয়তো হতো না।

আর একটি বিষয় খেয়াল করলাম যেসব তরুণ যুদ্ধ ফেরত নেতা যারা বঙ্গবন্ধু কে হৃদয় দিয়ে পিতার আসনে বসিয়ে অধিক চামচামি না করে রাজনৈতিক, সরকার পরিচালনার বিষয়ে পদ্ধতি গত দ্বিমত পোষণ করতেন, একটু অভিমান করতেন তারা খন্দকারদের চাটুকারিতায় রাজনীতির পথ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেখতে পাই তারাই পঁচাত্তরের পর এই আওয়ামীলীগের হাল ধরেছেন। পঁচাত্তরে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।

কানভারী রাজনীতি হয়তো বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করে সাময়িক বিজয়ী হয়েছেন। এই সময়ে এসে আমারা আবারো দেখছি কানভারী রাজনীতি, অধিক তৈলকরণ , ড্রয়িংরুমের রাজনীতি। মারা যাচ্ছে মাঠের রাজনীতি। বাড়ছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধ প্রবনতা। চলছে সিন্ডিকেট পলিটিক্স।

দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভুলে গেলে চলবে না, অতিত নিকটেও এখন যারা খুব গালবাজ, অধিক ক্ষমতাধর, বারেবারে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হচ্ছে তাদের সাথে বাড়ছে জনগণের দুরত্ব, বাড়ছে কর্মীর সাথে দুরত্ব, তাদেরকে কারণে বিতর্কিত হচ্ছে ক্ষমতা, রাষ্ট্র পরিচালনা, রাজনৈতিক অপরাধ প্রবনতা, এবং সর্বোপরি নষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক আস্থা, জনপ্রিয়তা।

অসন্তোষ বাড়ছে কর্মীদেরর মধ্যে, অসন্তোষ বাড়ছে জনতার মাঝে। এই সম্মেলনে তৃণমূল কর্মীরা আশা করেছিলো একজন বিতর্ক হীন স্বচ্ছ জাতিয় চার নেতার উত্তরাধাকারি যে কোন একজন সুযোগ্য সন্তান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হবেন।

তৃণমূল কর্মীদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হলোনা। এমন একজন কে আবারো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলো যিনি এযাবৎ কালের সেরা ভাঁড় হিসাবে পরিগনিত হয়েছে। যিনি বিভিন্ন সময়ে খুব সূক্ষভাবে তার বক্তব্যে আমাদের প্রাণপ্রতিম দুই বুবুকেই প্যারালাল দাঁড় করিয়ে দেন।এসব আমরা বুঝি। কথা ও লেখা আর বাড়াবো না, আমার পাঠক পাঠিকার ধৈর্য্য চ্যুতি ঘটতে পারে তাই একটি উদাহারণ টানি বিগত ওয়ান ইলাবেনের সময়ে ৯৬ সনে যারা বেশি ক্ষমতাধর ছিলো তারাই বেশি ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের হয়ে দালালি করেছিলো। তখনো নেতা বান্ধব নেত্রী শেখ হাসিনা নেতা কর্মীদের আর্মির নির্যাতন থেকে বাচানোর জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন সব দায় দায়িত্ব শেখ হাসিনার উপর যেনো তুলে দেয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্ব ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে খোদা না করুক আবারো কোন রাজনৈতিক সামরিকায়ন হলে,বিরাজনীতি করণ অবস্থার সৃষ্টি হলে এরাই কি তখন খন্দকারের ভুমিকায় অবতির্ণ হবে?যেমন হয়েছিলো মাইনাস টু ফর্মুলার সময়ে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা বারবার তাঁর বক্তব্যে বলেন এতো নেতা থাকতে আমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বত্রিশ নম্বরে লাশ হয়ে পড়ে থাকলো, লাশ নিয়েও ষড়যন্ত্র হলো এতো নেতা থাকতে কেউ তো দেখতেও গেলো না। প্রাণপ্রতিম বুবু তখনও মাঠের কর্মীরাই প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলেন। নেতারা যায়নি, তখনো তৃণমূল কর্মীরা তৃণমূল নেতারা একটু ঘাঁড়ট্যারা, মুখের উপর অনেক অসঙ্গতির ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করতো তারাই ছুটে গিয়েছিলো, প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলো।

ঠিক একিভাবে আপনার ওয়ান ইলাবেনের সময় থেকে একটু ক্ষমতাহীন অতিতের দিকে তাকালে দেখা যায় আপনাকে হত্যার জন্যে ২১ বার পদক্ষেপ নিয়েছিলো হায়েনারা তখনো সেই সব ঘাঁড়ট্যারা নেতা কর্মীরাই বারেবারে বুক পেতে দিয়েছেন। আজকের এই নাদুস নুদুস উচ্চশিক্ষিতেরা তখন মাঠে ছিলো না।তাদের কেউ কেউ জেল জুলুমে অনেকেই এখন অসহায়, দিশেহারা, প্রতিবন্ধী, পদ পদবি হারা, কেউ কেউ উদোম গায়ে চলাফেরা করছে। এতোদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাদের কিছু না হোক এসবের হচ্ছে হোক।আগামী দুর্দিনে আবারো মাঠে হয়তো এরাই নামবে এই আরকি। যারা দু'কলম লিখতে পারে তারা হয়তো লিখে আপনার পাশে থাকবে।

এতো টুকুন তৃণমূলের প্রত্যাশা ও দোয়া। দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু কে বিশ্বাস করে একাত্তরে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, আর আপনার প্রতি আস্থা রেখে ২১ বছর তারপর ৮ বছর আপনার পাশে ছিলো জীবন দিয়ে, অঙ্গহানি করে, জমি বেচে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, চেতনার অগ্নি বীণা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলে বলে আপনাকেই ক্ষমতায় বসালো। এতটুনই ছিলো আমাদের প্রত্যাশা। আওয়ামীলীগ থেকে এর বাইরে তৃণমূল নেতা কর্মীরা আশা করা পাপ। নিরাপদ থাকুন, নিয়মিত থাকুক আপনার ক্ষমতা এই দোয়া আছে সবসময়।

লেখক : কবি ও নব্বইয়ের নির্যাতিত প্রগতিশীল ছাত্রনেতা কক্সবাজার, বাংলাদেশ।