ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

আরেক ইরানি জেনারেলকে হত্যার মার্কিন চেষ্টা ব্যর্থ

২০২০ জানুয়ারি ১১ ১৪:৫০:৩৬
আরেক ইরানি জেনারেলকে হত্যার মার্কিন চেষ্টা ব্যর্থ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে যে রাতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরাকে হত্যা করা হয় ওই একইরাতে ইরানের আরেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে ইয়েমেনে হত্যার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের সেই হত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

সিএনএন-এর ওই দুই সূত্র হলেন মার্কিন কর্মকর্তা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওই মিশন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে অপর মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের কমান্ডার সোলেইমানিকে হত্যা ছাড়া ওইরাতে আর বড় ধরনের কোনো অপারেশন চালানো হয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র রেবেকা রেবারিখ সিএনএন-কে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ইয়েমেনে মার্কিন অভিযানের প্রতিবেদন দেখেছেন। কিন্তু ওই অভিযানের সত্যতা কিংবা তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।’

পেন্টাগনের মুখপাত্রা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘ইয়েমেন ২ জানুয়ারি বিমান হামলার প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। ইয়েমেন হলো সন্ত্রাসী ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিপক্ষদের জন্য একটি নিরাপদ এলাকা। সেখানে অভিযান নিয়ে কথা তোলা হলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই অঞ্চলটির অভিযান নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি।’

তবে পেন্টাগনের এই বিবৃতি সত্ত্বেও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেন্ট্রাল কমান্ড ইয়েমেনে মার্কিন অভিযান নিয়ে ‘অন দ্যা রেকর্ড’ তাদের একটি রুটিন বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আর ইয়েমেনের ওই অভিযান নিয়ে প্রথম প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় আরেক মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী সোলেইমানিকে হত্যার ওই একই রাতে ইয়েমেনে কুদস ফোর্সের আরেক অন্যতম কমান্ডার ও আবদুল রেজা শাহ আলীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ইরানের অভিজাত ওই কুদস ফোর্সের গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অভিযান পরিচালনা ছাড়াও বাহিনীর অর্থনৈতিক বিষয়টির দেখভাল করতেন তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরানবিষয়ক বিশেষ দূত ব্রায়ান হুক ঘোষণা দেন, আবদুল রেজা শাহ আলীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নেটওয়ার্ক এবং তার সহযোগী-সংক্রান্ত কোনো তথ্য কেউ মার্কিন প্রশাসনকে দিতে পারলে তাকে সর্বোচ্চ ১৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কৃত করা হবে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২০)