ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

স্ত্রীকে হত্যার ১৩ বছর পর পুলিশের জালে বন্দি স্বামী 

২০২০ জানুয়ারি ১৪ ১৭:০৭:৪৭
স্ত্রীকে হত্যার ১৩ বছর পর পুলিশের জালে বন্দি স্বামী 

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি স্বামী খলিলুর রহমান (৫৫) ১৩ বছর পর পুলিশের জালে বন্দি। এলাকায় খুনি খলিল নামেই বেশ পরিচিত সে । গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার কারনে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খলিল উপজলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়ীয়া এলাকার মৃত আ.করিম আকনের ছেলে ও নিহত তাজেনুর আটক খলিল আকনের দ্বিতিয় স্ত্রী। নিহত তাজেনুর চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী এলাকার আ. রশিদ আকনের মেয়ে। তাজেনুরের বাড়ী ও খলিলের বাড়ী একই এলাকায়।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন থেকে বরগুনা সদর থানা পুলিশ ও পাথরঘাটা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৬ সালে চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়ীয়া এলাকায় স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী এ মৃতদেহ তাজেনুরের বলে পুলিশকে জানান। তাজেনুরের দেহে ২২টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে তাজেনুরের সৎ ছেলে ইসমাইলকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করে পুলিশ সেই থেকে তাজেনুরের স্বামী খলিল পলাতক রয়েছে।

আটক খলিল আকন বলেন,আমার প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে ইসমাইলের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতে আপিল করার পরেও আদেশ বহাল রয়েছে।

ওই হত্যা মামলার ১ আসামি তাজেনুরের সতিনের ছেলে ইসমাইল কারাগারে রয়েছেন। আমি আদালত থেকে ছারা পেয়েছি। দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পরে তাজেনুর হত্যার অন্যতম আসামি স্বামী খলিল আকনকে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত তাজেনুরের পিতা আ.রশিদ মিয়া বলেন খলিল ছাড়া পেলে আমেকে খুন করবে। খলিলকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছে বলে আমারা জানি।

এলাকাকাবাসী জানান এমন অপকর্ম নেই যা খলিল করেনি বহু নিরিহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে।অনেককে সর্বশান্ত করেছে। খলিলের তৃতীয় স্ত্রীও নিরিহ মানুষকে টাকার মামলা দিয়ে হয়রানি করার অনেক অভিযোগ আছে বলে ভুক্তভুগীরা জানান।

পাথরঘাটা থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, তাজেনুর হত্যা মামলার আসামি খলিলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা নং-জি.আর ১৯৮/৬।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২০)