ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » লাইফস্টাইল » বিস্তারিত

করোনাভাইরাস : গর্ভবতী মায়েরা কতখানি ঝুঁকিতে?

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৭:২২:৩১
করোনাভাইরাস : গর্ভবতী মায়েরা কতখানি ঝুঁকিতে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। এমন অবস্থায় গর্ভবতী নারীর ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আক্রান্ত দেশগুলোতে গর্ভবতী নারীদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কিছু দেশ। এমন অবস্থায় গর্ভবতী নারীদের কি নিজের এবং শিশু স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? করোনাভাইরাস কি আপনার অনাগত সন্তানের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে?

অসুস্থতা যেকোনো সময়ের জন্যই যথেষ্ট খারাপ, তবে আপনি যখন গর্ভবতী হন, তখন তা আরও জটিল হয়ে ওঠে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, এ সময়ে ভয়ংকর করোনাভাইরাস মানুষকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে। নিছকই ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু হয় এর লক্ষণ। সাধারণ ফ্লু মনে হতে পারে শুরুতে। কিন্তু এটি যেকোনো দিনই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ভাইরাসের আক্রমণের সঙ্গে নিউমোনিয়া জাতীয় অসুখের অনেকটা মিল। তাই এই দুই অসুখের পার্থক্য যত দ্রুত ধরা পড়বে, ততই মঙ্গল।

বিজ্ঞানীরা এখনও করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায় তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় এ ভাইরাস আপনার অনাগত সন্তানের জন্য বিপদ ডেকে আনবে কিনা- তা নির্দিষ্ট করে বলার সুযোগ নেই।

বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, ভাইরাসটি ধরা পড়লে সংক্রমণের সম্ভাবনা মোটামুটি কম। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায় এমন ভাইরাস ভ্রুণে ছড়িয়ে পড়তে পারে না বা জন্মজনিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে না। তাই আশা করা যায় এটি আপনার শিশুর ওপর প্রভাব ফেলবে না, এমনকি যদি আপনি সংক্রমিত হন, তবে তাও আপনার অনাগত সন্তানের ক্ষতি করবে না।

করোনাভাইরাসের ভয়ে অনাগত শিশুটির চিন্তায় গর্ভবতী নারীদের আতঙ্কিত না হলেও চলবে। তবে ঝুঁকির কারণগুলো এড়িয়ে চলা এবং সচেতন থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যেহেতু লক্ষণগুলো ফ্লুর মতোই সংক্রমিত হয়, তাই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো-

* নিয়মিত হাত ধোয়া জরুরি। সদ্য প্রকাশিত ডাব্লুএইচও-র নির্দেশাবলি অনুসারে সংক্রমণ ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়া এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ করতে মাস্ক পরার চেয়েও হাত পরিষ্কার রাখা স্বাস্থ্যকর এবং কঠোর হ্যান্ডওয়াশ অনুশীলন করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

* যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন বা সমস্যা মনে করেন, তবে সেদিকে নজর দিন। বাড়িতে থাকা এবং প্রচুর বিশ্রাম নেয়া সবার আগে জরুরি।

* প্রচুর তরলজাতীয় জিনিম পান করুন, হাইড্রেটেড থাকুন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি কোনো কৃত্রিম সাপ্লিমেন্টস এবং পানীয় পান করছেন না।

* নিজের ইচ্ছায় ওষুধ খাবেন না। গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* যদি আপনার লক্ষণগুলো বাড়তে থাকে তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০)