ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » বিনোদন » বিস্তারিত

‘বাংলা ভালো ভাষাও নয় ভালোবাসাও নয়’ বিতর্কে লজ্জা বললেন সুমন

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২১ ১৬:৩২:০০
‘বাংলা ভালো ভাষাও নয় ভালোবাসাও নয়’ বিতর্কে লজ্জা বললেন সুমন

বিনোদন ডেস্ক : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগে বাংলা ভাষা নিয়ে উটকো তৈরি হওয়া একটি বিতর্কের ওপর বেসরকারি এক এফএম চ্যানেল থেকে মন্তব্য জানতে তীব্র ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা ও গদ্যকার কবীর সুমন।

‘বাংলা ভালো ভাষাও নয় ভালোবাসাও নয়’ শীর্ষক ওই বিতর্ককে ‘লজ্জা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার কাছে এই বিতর্কের ওপর বক্তব্য জানতে চাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে প্রখ্যাত এই শিল্পী আত্মধিক্কারও প্রকাশ করেন।

ভাষা আন্দোলনে শহীদ বাংলাদেশের আবদুল জব্বার, শফিউর রহমান, আবদুল সালামকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবীর সুমন এ বিষয়ে বিস্তর কথা বলেন।

জ্বলন্ত লাভার মতো কবীর সুমনের উগরে দেয়া ক্ষোভ ছিল এমন-

“আমি কবীর সুমন। আমি ‘ভ্লগ’ করতে ভালোবাসি না। আবার করছি। করতে বাধ্য হচ্ছি। একটু আগেই একটা টেলিফোন এসেছিল আমার কাছে। একটি এফএম চ্যানেল থেকে বলা হলো একটা বিতর্কে অংশ নিতে। বিতর্ক এই রকম... ‘বাংলা ভালোবাসাও নয়, ভালো ভাষাও নয়’।

আজ বিশে ফেব্রুয়ারি। কাল একুশ। আমরা রয়েছি কলকাতায় যা বাংলা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। আমাকে বলা হলো, ‘প্লিজ আপনি বলুন। তারকারা সবাই মত দিচ্ছেন।’ এই তারকারা নিশ্চয়ই তামিল বা তেলুগু নন। কাশ্মীরের নয়। তারা বাঙালি। আমি হাসব না কাদব!

জানতে চাইলাম, আমার মতো প্রবীণ নাগরিককে এটা জিজ্ঞেস করতে খারাপ লাগছে না?
ছেলেটি হার মানছে না। বলছে, ‘তারকারা সব মত দিচ্ছেন!’

আর আমি রেওয়াজ করে যাচ্ছি। কাল একুশে ফেব্রুয়ারি এক সমিতির ডাকে আমি বাংলা খেয়াল গাইতে যাবো।

তাহলে কি হেরে গেলাম আমরা?

আমরা হেরে গেলাম?

অনেক দিন আগে, ১৯৭৬ সালে জার্মানিতে (প্রয়াত কবি) শহীদ কাদরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আমার। উনি বলেছিলেন, ‘সুমন, সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে আপনারা জিতে গিয়েছেন।’ আমি তাঁকে বলেছিলাম, বোধহয় নয়... বোধহয় নয়...

শহীদ বেঁচে গিয়েছেন। তাকে এ প্রশ্ন শুনতে হলো না...

আমি বেঁচে আছি। আজও বাংলায় বাহার রাগে খেয়াল রচনা করছি...”

কবীর সুমনের এমন ক্ষোভ প্রকাশের ভিডিওটি অনলাইনে প্রকাশ হতেই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ নিয়ে ওই এফএম চ্যানেলটির কর্তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ এটিকে বিভিন্নভাবে বাংলা ভাষার অমর্যাদারই ধারাবাহিকতা বলে উল্লেখ করেছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০)