ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

বরিশালের হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা

২০২০ মার্চ ৩১ ১৭:৫৮:৫৪
বরিশালের হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : করোনা সতর্কতায় যাত্রীবাহি গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ও পণ্যবাহী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষ ঘরে থাকায় সামাজিক কলহ-সংঘাত কমে যাওয়ায় দক্ষিনাঞ্চলবাসীর চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দিনে দিনে কমে আসছে রোগীর সংখ্যা। একইভাবে জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কমেছে রোগীর সংখ্যা।

তবে রোগীর ও স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসকদের না পাওয়ার খবরে তারা হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্তরিক রয়েছেন, তারা সবসময় হাসপাতালে অবস্থান করছেন এবং রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করায় এবং যানবাহন সংকটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের আসার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তিনি আরও বলেন, যাদের আসার প্রয়োজন তারা যেকোন উপায়েই আসছেন এবং আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ সকালের হিসেব অনুযায়ী এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫০৬ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। পরের দিন তা কমে ১ হাজার ১৯০ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২২ মার্চ রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে চলে যায়। ওইদিন সকালের হিসেব অনুযায়ী হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৯৮৪ জন রোগী অবস্থান করছিলো। যা আরও দুইদিন পর (২৫ মার্চ) গিয়ে দাঁড়ায় ৫২৩ জনে। এরপর থেকে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায়সমান সংখ্যক রোগী ভর্তি থাকছেন। সর্বশেষ ২৯ মার্চ ৫১১ জন রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। তবে গত ১৬ মার্চের পর থেকে করোনা আতঙ্কে বেশিরভাগ রোগীই নিজ ইচ্ছায় হাসপাতাল ত্যাগ করতে শুরু করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, যেখানে আগে গড়ে সাড়ে তিন থেকে চারশ’ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হতেন, সেখানে এখন এক থেকে দেড়শ’ রোগী ভর্তি হন। আবার বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারগুলোতেও আগের মতো দীর্ঘলাইন হয় না। একইভাবে জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এখন আর আগের মতো রোগী ভর্তি নেই। শুধুমাত্র করোনা আতঙ্কে ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে গড়ে চার থেকে ছয়জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

(টিবি/এসপি/মার্চ ৩১, ২০২০)