ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

আম্ফানের তাণ্ডবে ‘ধ্বংস হয়েছে’ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা

২০২০ মে ২০ ২২:২৩:৫৯
আম্ফানের তাণ্ডবে ‘ধ্বংস হয়েছে’ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাস ছয়েক আগে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সেই ক্ষত এখনও শুকায়নি। এবার যেন শেষ পেরেক পুঁতে দিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার নবান্ন থেকে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আম্ফানের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলা।’

তিনি বলেন, ঝড়ের পুরোটাই বাংলার ওপর দিয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এদিন তা চরম আকার ধারণ করে। সারাদিন বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। সন্ধ্যা ৭টা বেজে ২০ মিনিটে কলকাতায় আম্ফানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। সোয়া ৮টার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, এখনও বিপদ কাটেনি বলে সতর্ক করেছেন মমতা।

মমতা বলেন, ‘ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবারও সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করব। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি, রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া—চারদিকে সর্বনাশ হয়ে গেছে।’

‘উই ক্যান ওভারকাম দ্য ডিজাস্টার, উইথ ইয়োর ব্লেসিংস অ্যান্ড উইথ ইওর সাপোর্ট’- বলেন মমতা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অফিসের অর্ধেক ভেঙে গিয়েছে। কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল, লাখও ছাড়াতে পারে। কত যে বাড়ি, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে… সব সর্বনাশ হয়ে গেছে। সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না, ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’

‘বনগাঁ-হাবড়ায় এখনও তাণ্ডব চলছে। নদীমাতৃক রাজ্য আমাদের, সব জায়গা জলে একাকার। ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে যারা রিলিফ ক্যাম্পে রয়েছেন, তাদের আগে দেখা আমাদের কর্তব্য।’

গোটা ধ্বংসের চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন সময় লেগে যাবে বলেও জানান তিনি।

কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ভয়াল গতিতে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দিল্লির আবহাওয়া দফতর। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র গতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করছে। রাজ্যে ঝড়ো হাওয়া আরও দুই-তিন ঘণ্টা ধরে চলমান থাকবে।

(ওএস/এসপি/মে ২০, ২০২০)