ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

ভয়ংকর দুঃসংবাদ : বিপদে যেন না করি ভয়

২০২০ মে ২৩ ১০:৪৯:২২
ভয়ংকর দুঃসংবাদ : বিপদে যেন না করি ভয়

রণেশ মৈত্র


কী আর করা যাবে। মানুষ নিতান্তই অসহায়। কপালে হাত দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে দিবারাত্র ডাকা ছাড়া ভিন্ন কোন পথের সন্ধান নেই। সর্বত্র মৃত্যু, সর্বত্র লাশের মিছিল। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না-অর্থাৎ আতংকিত মানুষ যোগ দিচ্ছেন না করোনায় মৃত কোন আপনজনের জানাযায় পর্য্যন্ত। হিন্দুর শব দাহ করার জন্য দেহ কাঁধে নিয়ে কীর্ত্তন গাইতে স্মশানযাত্রা ও দাহ করার জন্য স্মশান বন্ধুও বহু ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে না। মারাত্মক ছোঁয়চে রোগ কলেরা বসন্তের রোগীদের মৃতদেহ নিয়ে অতীত যুগেও তো এমন কিছু ঘটতে দেখা যায় নি।

আজ আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ নতুন নতুন আবিস্কারের যুগ। নতুন নতুন বিজয়ের যুগ। নতুন আবিস্কার চিকিৎসা বিজ্ঞান সহ সকল ক্ষেত্রেই। এই বিজ্ঞান দেশ থেকে কলেরা তাড়িয়েছে বসন্তের (ঝসধষষ চড়ী) উচ্ছেদ সাধন করেছে। আরও বহু রোগের ক্ষেত্রের একই কথা।

কিন্তু করোনা ভাইরাস অন্তত: আমাদের দেশে একটি নতুন ভাইরাস। গোটা পৃথিবীতেই। বিজ্ঞানীরা সকল উন্নত দেশেই সক্রিয়ভাবে সচেষ্ট আছেন এটিকে প্রতিরোধে সক্ষম এমন কোন টিকা বের করতে যার দ্বারা করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধ করা যায়। খবরে জানা যায় ঐ টিকা বা ভ্যাকসিন আবিস্কার বহুদূর এগিয়েছে এবং আশা করা যায় ২/১ মাসের মধ্যে প্রচেষ্টা সফল হবে। তবে ঐ ভ্যাকসিন পৃথিবীর সকল দেশের চাহিদা মেটানোর মত ডোজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে স্বভাবতই তার চাইতে বেশ কিছু সময় লেগে যাবে।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা আক্রান্তের খবর সর্ব প্রথম পাওয়া যায়। আজ তা অল্প দু’চারটি দেশ ব্যাতিরেকে গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। আমেরিকার মত উন্নত দেশেই সর্বাধিক।

যা হোক, ভাবতে হবে অন্তবর্তীকালী ব্যবস্থার কথা। সেটি হলো মাস্ক, হ্যা- গ্লাভস পরিধান, পি.পি.ই পরিধান, ঘন ঘন হাত ধোয়া, ঘর-দুয়ার প্রতিদিন দফায় দফায় জীবাণু মুক্ত করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, শারীরিক (সামাজিক) দূরত্ব বজায় রাখা, ঘরে থাকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, গরম জল ঘন ঘন খাওয়া এইগুলি। এর সাথে কোন সভা-সমাবেশের আয়োজন না করা এবং অন্যেরা করলেও তাতে অংশ গ্রহণ না করা ইত্যাদি।

এই নির্দেশনাগুলি বিজ্ঞান সম্মত। তার মানে এই নয়, এগুলি মানলেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আদৌ কোন আশংকা থাকবে না। তবে নিশ্চিতভাবেই এগুলি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ বহুলাংশে কম হবে।

তা, বেশ কিছু লোক নির্দেশানগুলি মানলেও, অনেকে মানেন নি। এক জেলা থেকে অপর জেলায় যাতায়াত নিষিদ্ধ রয়েছে সেই ২৬ মার্চ থেকে। কেন? যাতে যাত্রীরা ভাইরাস এক স্থান থেকে বহন করে নিয়ে অন্য স্থানে গিয়ে নতুন নতুন লোককে সংক্রমণের শিকারে পরিণত করতে না পারে। কিন্তু বাস না চললেও, ঐ নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিকল্প যান বাহনে অনেকে এ জেলায়, সে জেলায় যাতায়াত অব্যাহত রাখলেন।

বিমান সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হলো অবশ্য কিন্তু অনেক দেরীতে। সেই ফাঁকে আমেরিকা, ইতালী, ইংল্যা-, সৌদি আরব, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে অনেক যাত্রী চলে এলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের একমাত্র আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু ফ্লাইটে আমেরিকা, ইংল্যা-, ফ্রান্স, জার্মানী, সৌদি আরব, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে বহু বাংলাদেশী দেশে এলেন। এঁরা কেউ কেউ সংক্রমিত ছিলেন। কিন্তু সময় বিস্তর পাওয়া সত্বেও সেখানে আধুনিক টেষ্টিং ব্যবস্থা না থাকায় দিব্যি যাত্রীরা সকলে চলে গেলেন নিজ নিজ এলোকায়। সেই থেকে ঢাকায় সংক্রমণ শুরু।

বহু দিন ধরে চললো যেস লুকোচুরীর খেলা। না মানছেন মেডিক্যাল নির্দেশনা সাধারণ মানুষদের একাংশ না সরকার সময়ের ব্যবস্থা উপযুক্তভাবে যথাসময়ে নিলেন।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে বি.জি.এম.ই.এ ও বিকে এম ই এ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীও অভিনব খেল দেখালেন। লাখো শ্রমিক চলে এলেন ঢাকায় আবার তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হলেন রোগের বীজ বহন করে। যেন ঐ ভাইরাস গ্রামাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তাঁদেরকে ঢাকা আসা হয়েছিল আবার ফেরত পাঠানো হলো। ছুটলেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দরিদ্র শ্রমিকেরা পায়ে হেঁটে, রিক্সায়, স্কুটারে শত শত কিলোমিটার রাস্তা। অমানুষিক পথযাত্র আহার নিদ্রা ত্যাগ করে।

২৬ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণার বেশ কিছু কাল (বিলম্বের কারণ অজানা) পর মসজিদে নামায (তারাবি) না পড়ে বাড়ীতে পড়তে অনুরোধ জানালেন ধর্মমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব কেউ যাতে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না করেন তা দেখার। কিন্তু তিনি চুপচাপ। আবার ধর্মমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষিত হলো কিনা তার কোন খোঁজখবর তিনি নিলেন না। ভাবখানা এই, বাংলাদেশে বাইতুল মোকাররমই বুঝি একমাত্র মসজিদ। জানি না, বাদ-বাকী লক্ষ লক্ষ মসজিদে কি ঘটছে সে খবর তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয় রাখেন কি না। তবে কানে আসছে সকল মসজিদেই বিপুল সংখ্যক রোজদার (করোনার কারণে এবার রোজদারের সংখ্যাও বেশী) নিকটস্থ মসজিদে গিয়ে তারাবী নামায আদায় করে থাকেন। বিন্দুমাত্র বাধা নেই।
পরিণতি?

সম্প্রতি জনকণ্ঠে পরিণতি সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। “সংক্রমণের হার বাড়ছে, বিপজ্জনক পরিস্থিতির আভাষ” শিরোনামে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ

প্রতিদিন আক্রান্ত আর মৃত্যুর দিক বিবেচনায় রেকর্ড ভাঙছে করোনা। এ যাবত সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০২ জন আক্রান্ত ও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ১৮ জুন সোমবার। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৮মার্চ প্রথম দেশে করোনা রোগী সনাক্ত হয়। প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে চলতি মাস অর্থাৎ গেল ২৩ দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩০,২০৩ জন রোগী। বর্তমানে মোট রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৮৭০ জন। আর মোট ৪২৮ জনের মৃত্যু হলেও চলতি মাসেই মারা গেছে ২৩০ জনেরও বেশী। অর্থাৎ মোট মৃত্যুর অর্ধেকের বেশী হয়েছে চলতি মাসেই। আক্রান্তেরও বেশীর ভাগ এ মাসেই।

সব মিলিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় সামনের দিনগুলিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতির আভাস দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি যানবাহন ও মানুষ চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীন থেকে শুরু করে কোভিড-১৯ এ গোটা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে। বাড়তি মৃত্যু আর আক্রান্তের ঢল। বৈশ্যিক এই মহামারী থামাতে দেশে দেশে নেওয়া হয়েছে নানামুখী ব্যবস্থা। সে তুলনায় আমাদের দেশে কঠোর ব্যস্থঅর মধ্যে কারফিউ, জরুরী অবস্থা বা পূরোপূরি লক ডাউন কোনটাই হয় নি।

এই যখন অবস্থা তখন করোনা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিষেধাজ্ঞা শিথিল বা কোন কোন ক্ষেত্রে তা তুলে নেওয়ায় সংকটের মাত্রাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোগী ও মৃত্যু। বিশেষ করে ১০ মে থেকে মার্কেট সপিং মল ও দোকান-পাট খোলার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরিস্থি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুর জেলায় শিবচরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই নৌ রুটটিই সহজতর। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এ নৌরুটে গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখে থেকে লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরী প্রয়োজনে ফেরী চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন ধরেই ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের স্রোত। সব মিলিয়ে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। সড়ক মহাসড়কে চলছে যানবাহন। পন্যবাহী পরিবহন দিয়ে মানুষ নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক চরিত্রে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। বাস ছাড়া চলছে অন্য সব ধরণের যানবাহন।

বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর অন্যতম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে সংক্রমণের হার দিনে দিনে বাড়ছে। তিনি বলেন, সম্প্রতিক সময়ে কলকারখানা এবং দোকানপাট খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে শৈথিল্য দেখা গেছে সে কারণে হয়তো সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে। এটার ফল দেখতে হয়তো আমাদের সামনের সপ্তাহ পর্য্যন্ত অপেক্ষার করতে হবে। এখন আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমরা ঈদের নামে যেন কোন শৈথিল্য না দেখাই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিদিন যাতে ১৫ হাজার টেষ্ট করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। এ মাসের মধ্যেই প্রতিদিন ১০,০০০ টেষ্টের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চান তাঁরা। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় টেষ্টের এই সংখ্যা নগন্য। প্রায় আড়াই মাসেও দিনে ১০ হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব হয় নি। ২৩ দিনে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যু। প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত ও মৃত্যু। ২৩ তারিখে মোট আক্রান্ত ১৭ শতেরও বেশী মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৩০হাজারেরও বেশী জন। এই দিনেরও মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ৪২৮ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা আবু জমিল ফয়সাল বলেন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় এখন এটা কি বেড়ে যাবে? বাড়তেও পারে।

সংক্রমণের বর্তমান ধারা বজায় থাকলে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছুট হলেও চেষ্টা করা যাবে, অন্যথায় পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, যদি এই সপ্তাহে আর একটা লাফ না দেয়, তা হলে শহরাঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও একটু সময় পাওয়া যাবে। সব কিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য সব পক্ষ থেকেই আরও কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।

সরকারের অভ্যন্তরেই এগুলি বিশেষজ্ঞদের অভিমত। কিন্তু সরকারি কাজকর্মে এর প্রতিফলন নগণ্য। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু হাসপাতালের পরিস্থিতি, ডাকারের সংখ্যা, তঁঁদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা?
নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরাও জীবন বাজি রেখে রোগীর সেবা করে চলেছেন। প্রাণও দিচ্ছেন। এ অবস্থায় সরকারি উদ্যোগ প্রচেষ্টা তেমন একটা চোখে পড়ছে না কারও।

একটি দৃষ্টান্ত দেই। সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের দিন এবং তার আগের ও পারের দু দিন মোট ৫ দিন গোটা দেশে কারফিউ জারী করেছে।
আর আমরা?

আমাদের ধর্ম মন্ত্রী বলছেন কোন ময়দানে বড় জমায়েতে ঈদের নমায নয়, মজিদগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দফায় দফায় নমায পড়তে হবে। সেটা কি কার্যকর হবে? মসজিদগুলিতে মানা হবে স্বাস্থ্য বিধি? সে নিশ্চয়তা আছে? গাড়ীঘোড়া এখনই কি বন্ধ আছে? বাজার ঘাট কি আদৌ বন্ধ? টেলিভিশন চ্যানেলগুলি লাইভ দেখাচ্ছে ঢাকা তার পুরাতন চেহারায় ফিরেছে।

মানুষ জনও ঢাকা ছাড়াছেন। ঈদ করবেন নিজ নিজ এলাকায় যদিও তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষজন যেন কোথাও যাতায়ত না করতে পারে তার উপযুক্ত সরকারি ব্যবস্থা আদৌ নেই।
সবশেষে অভিনব আদেশ

সরকারি নির্দেশে বলা হলো ঈদ উপলক্ষ্যে কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না-বাইরে থেকে কেউ ঢাকা শহরে আসতে পারবেন না। কোন যানবাহনও চলাচল করতে পারবেন না। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই ঐ নির্দেশটি সংশোধন করে বলা হলো প্রাইভেট কার বা ব্যাক্তিগত অন্যান্য যানবাহনে করে ঈদে বাড়ী যাওয়া-আসা করা যাবে। দুষ্টু লোকেরা বলছেন- মন্ত্রী, এমপি ও ধনী লোকদের স্বার্থেই এমন অভিনব সংশোধনী জারী করা হলো।

তাই বিশ্ব কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলে “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা-বিপদে যেন না করি ভয়।”


লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।