ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার দৃশ্য : ওবামা

২০২০ মে ৩১ ১০:৩৯:৩৯
আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার দৃশ্য : ওবামা

প্রবাস ডেস্ক : মার্কিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকাণ্ড ২০২০ সালে আমেরিকায় ‘স্বাভাবিক’ বিষয় হতে পারে না। আমি ভিডিওটি দেখেছি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

'ওই দৃশ্য আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এখনও লাখ লাখ মানুষকে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে নিগৃহীত হতে হয়। আমেরিকাকে অবশ্যই ভালো হতে হবে।'– গত শুক্রবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে ওবামা এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে দম বন্ধ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।

এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন– প্লিজ, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে মারবেন না। এক পথচারী সেই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে গোটা আমেরিকায় যখন ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে, তখন এক বিবৃতিতে আমেরিকার ইতিহাসে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মহামারীর মধ্যে মানুষ স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তখন এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারও সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না। সেই সঙ্গে আমেরিকায় বসবাসরত সব কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকায় সংখ্যালঘু বর্ণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নৃশংসতা আবার সামনে এসেছে। দেশটিতে পুলিশের গুলিতে ২০১৯ সালে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।

বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, পুলিশের গুলিতে নিহতদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে দাবি করা হয়েছে যে, আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যান কৃষ্ণাঙ্গরা।

(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০২০)