ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ

২০২০ জুন ০২ ১৪:৫৮:৫৩
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে নির্যাতনের পর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর। তবে এই বিক্ষোভের আগুন যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসা লোকজনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের বিক্ষোভকারীরা।

ব্রিটেন: ব্রিটেনে ত্রাফালগার স্কয়ারে রোববার সকালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা। লকডাউন ভঙ্গ করেই বিক্ষোভ করেছেন তারা। লকডাউনে বড় ধরনের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।

রাজধানীর নাইন এইমস এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জড়ো হতে দেখা গেছে। এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা অমান্য করায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জার্মানি: শনি ও রবিবার বার্লিনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। সে সময় বিক্ষোভকারীরা মাস্ক পরেছিলেন এবং তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। সেখানে লেখা ছিল, কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা বন্ধ কর, আমরা বিচার চাই।

ফ্রান্স: সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে মাস্ক পরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তারা হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানান। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, আমরা সবাই জর্জ ফ্লয়েড। এছাড়া অনেকের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল জর্জ ফ্লয়েডের শেষ উক্তি, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।

ডেনমার্ক: ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে রোববার রাজপথে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকেই রাজধানীতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ করেছেন।

ইতালি: ইতালির মিলান শহরে বহু মানুষকে এক সঙ্গে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ সময় তারা নিজেদের গলা চেপে ধরে জর্জ ফ্লয়েডের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। তাদের পাশে রাখা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা বন্ধ করো।

সিরিয়া: এদিকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের বিনিস শহরে আজিজ আসমার এবং আনিস হামদান জর্জ ফ্লয়েডের একটি ম্যুরাল তৈরি করেছেন। সেখানে জর্জ ফ্লয়েডের ছবির পাশে লেখা ছিল, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না এবং বর্ণবাদ নয়।

ব্রাজিল: রোববার ব্রাজিলের রিও ডে জেনেইরোতে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। তারা জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মেক্সিকো: এদিকে মেক্সিকোতে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে জর্জ ফ্লয়েডের ছবি টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে ফুল, মোমবাতি এবং প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড: জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। লোকজন প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছেন।

কানাডা: যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কানাডাতেও। সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় শনি ও রোববার রাজপথে নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ।

পোল্যান্ড: পোল্যান্ডেও বিক্ষোভ করেছেন লোকজন। রোববার সন্ধ্যায় মার্কিন দূতাবাসের বাইরে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় অনেকের হাতেই ছিল মোমবাতি। তারা জর্জ ফ্লয়েডকে স্মরণ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়া: সোমবার একটি বড় বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে আরও তিনটি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ০২, ২০২০)